বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই পক্ষের চরম যুদ্ধ হয়।ইউক্রেনের সেনা এবং কিয়েভপন্থী যোদ্ধারা কুরস্ক অঞ্চল দখল করার চেষ্টা করে।গত মঙ্গলবার রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিতে ইউক্রেনের সেনা এবং কিয়েভপন্থী যোদ্ধারা ঢুকে পড়ে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয় জানায় যে, কুরস্কের পুরো অঞ্চলটি ইউক্রেন ও কিয়েভের সেনারা দখল করার চেষ্টা করে কিন্তু রুশ সেনারা তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে। ২০২২ সালের ইউক্রেনে হামলার পর থেকে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কিয়েভপন্থী যোদ্ধারা অনেকবার অনুপ্রবেশ করেছে।আবার কখনো কখনো ইউক্রেন সেনাদের অনুপ্রবেশের খবরও পাওয়া যায়।
গতকাল ইউক্রেন ও কিয়েভের সেনারা কুরস্কে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে রাশিয়ার সেনাদের সাথে বাঁধে তীব্র লড়াই।রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয় থেকে এটিও জানানো হয় যে,রুশ সেনারা বুধবার ইউক্রেনের ৭টি যুদ্ধট্যাঙ্ক,সেনা পরিবহনের ৮টি গাড়ি, ৩১ টি যুদ্ধপরিবহনের গাড়িসহ মোট ৫০ টি যান ধ্বংস করে।ইউক্রেনের সেনা এবং কিয়েভপন্থী যোদ্ধারা কুরস্ক অঞ্চলে অনুপ্রবেশকে ‘বড় ধরণের উস্কানি’ বলে মন্তব্য করে রুশ প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার সকালে দুই ডজন সাঁজোয়া নিয়ে প্রায় এক হাজার ইউক্রেনীয় সেনা কুরস্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়ে।প্রথমদিকে রুশ সরকার অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও সীমান্ত থেকে সেনাদের হাটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটিও নিশ্চিত করে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইএসডব্লিউ সর্বশেষ পরিস্থিতির তথ্য দিয়ে জানায়, রুশ ভূখণ্ডের এ অভিযানে কুরস্ক প্রশাসনিক এলাকার প্রায় ১০ কিলোমিটার ভেতরে অগ্রসর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
সুদঝা শহরেই রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম রাখার কেন্দ্র। এই শহরকে ঘিরেই ইউক্রেনীয় সেনারা অগ্রসর হয়।প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দার এই শহর ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।