কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাঁরা হেলিকপ্টারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা গণভবন থেকে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি সে সুযোগ পাননি।
সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ- জামান জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন, এমন ঘোষণা আসার পর মানুষের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি ছড়িয়ে পড়ে। শত শত মানুষ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় নেমে পড়ে। কোথাও কোথাও কর্তব্যরত সেনাসদস্যদের সঙ্গে মানুষকে হাত মেলাতে দেখা যায়। মানুষ হেঁটে যে যেমন যান বাহন পেয়েছেন, তাতে করে এগুতে থাকেন। কাউকে কাউকে রাস্তায় সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতাসূচক সেজদা দিতে দেখা যায়। আনন্দে কেঁদে ফেলেন অনেকে। স্বস্তির সঙ্গে বয়লতে থাকেন দেশ স্বাধীন হলো। নারী শিশুরাও পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে আসেন।
রামপুরায় আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘এতদিনের আন্দোলন স্বার্থক হলো। রিকশাচাল্কেরাও বিজয়োল্লাশে সামিল হয়েছেন।
একাধিক রিকশাচালককে ভাড়া ছাড়াই আন্দোলনকারীদের পরিবহন করতে দেখা গেছে। তাহিতুল ইসলাম নামের একজন রিকশাচালক বলেন, ‘আজকে আর ভাড়া নিমু না।’
একই চিত্র দেখা যায়, মিরপুর, মোহাম্মদপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। রামপুরা টিভি সেন্টারের মধ্যে সেনাবাহিনীকে অবস্থান কোরতে দেখা যায়। জনতার উদ্দেশ্যে তাদের তাদের হাত নাড়তে দেখা যায়।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, গণভবনের মধ্যে প্রবেশ করেছেন আন্দোলনকারীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন বল্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে।