চিন প্রদেশ, মিয়ানমার – মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত চিন প্রদেশে চরম খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
চিন প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় বাজারগুলোতে খাদ্যের মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে, ফলে সাধারণ মানুষ খাদ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা পুষ্টির অভাবে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “আমাদের গ্রামে এখন খাদ্যের জন্য হাহাকার চলছে। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের সঙ্কটে পড়েছি আমরা। শিশুদের জন্য দুধ এবং বৃদ্ধদের জন্য ওষুধ পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
“আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো এই অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা করলেও বিদ্রোহী এবং সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের কারণে অনেক এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। একটি ত্রাণ সংস্থার কর্মকর্তা বলেন, “আমরা যত দ্রুত সম্ভব খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ করার চেষ্টা করছি, কিন্তু সংঘর্ষের কারণে আমাদের কাজ অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।
“জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা বলছে, মিয়ানমারের চিন প্রদেশে খাদ্য সঙ্কট মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত হতে পারে যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়। সংস্থাটি সমস্ত পক্ষকে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
মিয়ানমার সরকার এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী সমাধান খোঁজার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সব পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা অপরিহার্য।