ঢাকা, ২২ জুলাই ২০২৪: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে একটি বড় সংস্কারমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানে সংরক্ষণ নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় গুরুত্বপূর্ণ। এই সিদ্ধান্তের ফলে, পূর্বে বিদ্যমান সংরক্ষণ শতাংশের পরিবর্তে এখন শুধুমাত্র ৭ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে।
এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন, কারণ তারা মনে করছেন যে এটি মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করবে এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে, সংরক্ষণের পক্ষে থাকা কিছু গোষ্ঠী এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, কারণ তারা মনে করেন সংরক্ষণের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়গুলোর উন্নতি সম্ভব হয়।
পড়ুয়াদের দাবির কথা বিবেচনা করে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় প্রদান করেছে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা সংরক্ষণ নীতি নিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন, বিশেষ করে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়ায়। তাদের দাবি ছিল যে, সংরক্ষণ নীতির মাধ্যমে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরো উদ্যমী হবে এবং তাদের মেধার যথাযথ মূল্যায়ন হবে।
এই রায়ের প্রেক্ষিতে সরকারও কিছু সংশোধনী আনবে বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষায় সরকার কতটা কার্যকরী পদক্ষেপ নেয় তা এখন দেখার বিষয়।
এই গুরুত্বপূর্ণ রায়টি দেশের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে, এবং এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নতুন পথ নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।