চাষাবাদের খামারের মধ্যে গোপনে চলছে সিন্থেটিক ড্রাগের কারখানা, গ্রেফতার দুই মেক্সিকান, ঘটনা সাউথ আফ্রিকার

জোহানেসবার্গ, ২২ জুলাই ২০২৪: সাউথ আফ্রিকার একটি চাষাবাদের খামারের মধ্যে গোপনে সিন্থেটিক ড্রাগের কারখানা পরিচালনা করার অভিযোগে দুই মেক্সিকান নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাউথ আফ্রিকার পুলিশ একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই ড্রাগ কারখানার সন্ধান পায় এবং ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ সিন্থেটিক ড্রাগ, রাসায়নিক পদার্থ ও ড্রাগ তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

পুলিশি অভিযান

সাউথ আফ্রিকার পুলিশ বাহিনী এবং বিশেষ গোয়েন্দা ইউনিট যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে। দীর্ঘদিন ধরে গোপন নজরদারির পর পুলিশ জানতে পারে যে, একটি বড় চাষাবাদের খামারের ভিতরে এই ড্রাগ কারখানাটি চলছে। অভিযানের সময় পুলিশ বিপুল পরিমাণ সিন্থেটিক ড্রাগ এবং ড্রাগ তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করে।

গ্রেফতার ও তদন্ত

অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে দুই মেক্সিকান নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এই দুই ব্যক্তি আন্তর্জাতিক ড্রাগ চক্রের সঙ্গে জড়িত এবং সাউথ আফ্রিকায় এসে তারা এই গোপন ড্রাগ কারখানা পরিচালনা করছিল। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু নথিপত্র এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যা তদন্তের জন্য জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশের বক্তব্য

সাউথ আফ্রিকার পুলিশ প্রধান ব্রিগেডিয়ার জ্যাকব মালেকা বলেন, “এই অভিযান আমাদের দেশের মাদক বিরোধী অভিযানের একটি বড় সফলতা। আমরা জানতে পেরেছি যে, এই কারখানা থেকে উৎপাদিত ড্রাগ বিভিন্ন দেশে পাচার করা হত। গ্রেফতারকৃত দুই মেক্সিকান নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং আমরা আশা করছি তাদের কাছ থেকে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

এই ঘটনা জানার পর এলাকাবাসীরা বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই বলেন, “আমরা কখনও ভাবিনি যে, আমাদের খামারের পাশে এমন একটি গোপন ড্রাগ কারখানা থাকতে পারে। পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই এই অভিযান চালানোর জন্য।

আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের ইঙ্গিত

এই গ্রেফতারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের উপস্থিতি সাউথ আফ্রিকায় পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশের দাবি, এই ঘটনা আরও বড় ধরনের আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে এবং তদন্তের মাধ্যমে এই চক্রের মূল হোতাদের ধরার চেষ্টা চলছে।

উপসংহার

সাউথ আফ্রিকার মাদক বিরোধী অভিযানে এই গ্রেফতার ও ড্রাগ কারখানা উদ্ঘাটন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাদক নির্মূলের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে। দেশের নিরাপত্তা ও সমাজের কল্যাণের জন্য পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় সতর্ক থাকবে।

About Ritu Saha

Check Also

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীর্ঘ সময় পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন

Asia Monitor18 পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতের কোনো মন্ত্রী শেষবার ২০১৫ সালে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!