Asia Monitor18 রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি গভর্নর মাইকেল ডি পাত্রর মতে অপেক্ষা আর বেশিদিনের নয়। হ্যাঁ অর্থাৎ ২০৪৮ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না ভারতকে। তার অনেক আগেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ভারত। তিনি এও বলেছেন যে চলতি শতাব্দীর মাঝামাঝিতে পৌঁছে আর্থিক বৃদ্ধির দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাতে রয়েছে ভারত। যদিও লক্ষ্য অবধি পৌঁছাতে গেলে ভারতকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে ভারতকে। মাইকেল ডি পাত্রর এইরূপ মন্তব্য বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে।
মুসউরির ‘লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ অ্যাডমিনিস্ত্রেশনের’ একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়ে আরবিআইয়ের ডেপুটি গভর্নর বলেন আর্থিক দিক থেকে শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত। বলা যায় ভারত ২০৩১ সালের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পৌঁছতে পারে। ভারত মার্কিন অর্থনীতিকেও পিছনে ফেলে দিতে পারে। তার কথায় ২০৬০ সালের মধ্যে এই দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর জন্য উৎপাদন এবং পরিকাঠামোতে উন্নতির প্রয়োজন।
দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার যদি ৯.৬ শতাংশ পৌঁছায় তবে ভারত নিম্ন ও মধ্য আয়ের গণ্ডি পেরোতে পারবে। সেক্ষেত্রে উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হতে সমস্যা হবে না ভারতের। পাশাপাশি উন্নত দেশগুলির মাথাপিছু আয়ে ৩৪ হাজার মার্কিন ডলার পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে পিপিপি এর নিরিখে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হল ভারত। বিশেষজ্ঞদের দাবি ভারতের এই আর্থিক বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ জনসংখ্যা। বর্তমানে এদেশের ৬৫ শতাংশ বাসিন্দার বয়স ৩৫ বছরের কম।