১৮৮৩ সালে প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেষ সফর করেছিলন অস্ট্রিয়াতে। প্রায় ৪০ বছরেরও বেশি সময় পর ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার অস্ট্রিয়া সফরে গিয়েছিলেন। মূলত এই সফরে অস্ট্রিয়া এবং ভারতের মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অস্ট্রিয়া সফরে নানান অবকাঠামোগত এবং প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা হয় পুনর্বীকরণ শক্তি এবং ষ্টার্টআপ সেক্টর সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিকে জোর দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এইসব সীমাবদ্ধ প্রতিনিধিস্তরের আলোচনা উচ্চ স্তরের ব্যবসায়িক ব্যস্ততা এবং ভারতীয় সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত থাকবে। এই সফরের মূল লক্ষ্যই ছিল সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন উপায় অন্বেষণ করা এবং বন্ধন গুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা।
ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের ১৯৫৩ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে অস্ট্রিয়ার আলোচনায় ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যার ফলে ১৯৫৩ সালে অস্ট্রিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিকশিত হয়, বেশ কয়েকবার উচ্চপর্যায়ে সফর এবং ইন্দো অস্ট্রিয়ান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, ১৯৮৩ সালে।
কমিশনের মধ্যে ২০০ টিরও বেশি সহযোগিতার সুবিধা রয়েছে। রয়েছে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং যৌথ উদ্যোগ, যেমন: ইস্পাত, উৎপাদন প্রযুক্তি, রেলপরিবহন এবং ধাতুবিদ্যা। ভারত ইলেকট্রনিক পণ্য, টেক্সটাইল, পাদুকা এবং যন্ত্রপাতি রপ্তানি করে। ভারত অস্ট্রিয়া থেকে যন্ত্রপাতি এবং ইস্পাত আমদানি করে। ২০১৩ সালে, ভারতের ‘PSLV-C20’ অস্ট্রিয়ার প্রথম দুটি উপগ্রহ, ‘TUGSAT-1/BRITE’ এবং ‘UniBRITE’, মহাকাশ প্রযুক্তিতে শক্তিশালী সহযোগিতা প্রদর্শন করে।
সফরের আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদি গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের ভাগ করা মূল্যবোধকে তুলে ধরেন যা ভারত ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে সম্পর্ককে ভিত্তি করে। তিনি বলেন, “আমি আমাদের দেশগুলির মধ্যে বন্ধন জোরদার করার এবং সহযোগিতার নতুন উপায়গুলি অন্বেষণ করার বিষয়ে আমাদের আলোচনার অপেক্ষায় রয়েছি।”
অস্ট্রিয়ান চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার মোদির সফরের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, “এই সফরটি একটি বিশেষ সম্মান কারণ এটি ৪০ বছরেরও বেশি সময়ে একজন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর এবং একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসাবে আমরা ভারতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর উদযাপন করছি৷ “