Asia Monitor18 মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মং ডু শহরে দখল নিতে আরাকান আর্মিরা দেশটির সৈন্যদের সাথে তুমুল লড়াই চালাচ্ছে। আর শহরটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণ থেকে যাতে না বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়ে সেই ভয় দেশের সৈন্যরাও পালটা হামলা চালাচ্ছে। এই হামলার বিস্ফোরণের শব্দে গত তিনদিন ধরে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত।আরাকান আর্মিরা স্থল ,আকাশ, জলপথ থেকে হামলা চালাচ্ছে। এই যুদ্ধের ফলে প্রাণহানিও ঘটছে বহু। আরাকান আর্মিরা তাদের দখলে নিতে চাইছে শহরটি। মায়ানমারে এখন প্রায় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এর মধ্যে রাখাইন রাজ্যের বুথেডঙে আড়াই লাখ, মংডুতে তিন লাখ, এবং অবশিষ্টাংশ আকিয়াবসহ অন্য শহরে রয়েছে। মংডুতে হামলা চলছে যেখানে প্রায় অধিকাংশ রোহিঙ্গাদের বসবাস। হামলার জেরে তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ স্নাফ নদী অতিক্রম করে বাংলাদেশের টেকনাফে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছে।
এই গৃহযুদ্ধের ফলে মংডু শহরের সুদাপাড়া, হাদিবিল, মুন্নি পাড়া, সিকদার পাড়া এছাড়াও আরও বিবিধ পাড়া ছেড়ে জনগণ পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়াও নাফ তীরে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা নৌকা বোঝাই করে নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু শত শত নারী, পুরুষ, শিশুদের নিজদেশে ফিরিয়ে দিচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা। হাজার হাজার রোহিঙ্গারা জড় হয়ে সুযোগ পেলেই সীমান্তে পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে তবে তারা যাতে অনুপ্রবেশ না করতে পারে তাই সীমান্ত নাফনদে বিজিবি কোস্ট গার্ড সতর্কতা অবলম্বন করছেন। চলতি বছরের শুরু জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ৩ হাজার ৩৫৪ জন রোহিঙ্গাকে তারা আটক করে তাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠায়। এদের মধ্যে ৭৪৯ জন ছিল শিশু ও ৮৪৮ জন নারী এবং ৭৫৭ জন পুরুষ ছিল। তিনজনকে থানায় দেওয়া হয়। টানা সাড়ে তিন মাস ধরে এই লড়াই চলছে।