গত সোমবার রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন এবি পার্টির নেতারা।দেশের জনগণকে না জানিয়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের চুক্তিকে সার্বভৌমত্ববিরোধী চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার যে অন্যায় চুক্তি করেছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করি, নিজেদের আত্মমর্যাদা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি।’
এ সময় তিনি পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে টেনে বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কতিপয় কর্মচারী কীভাবে এত পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছে, তা দেশের মানুষের জানার অধিকার আছে, এই জবাব জনগণকে দিতে হবে। আমি বুঝতে পারি না পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন মতো একটি সংগঠন দুর্নীতিবাজদের পক্ষ নিয়ে কেন বিবৃতি প্রদান করল। যারা ক্ষমতার দাপটে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে তদন্তের কারণে তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কথা, কিন্তু পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন কেন আতঙ্কিত হচ্ছে, আমরা তা জানতে চাই।’
এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। দলটির সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, কেন্দ্রীয় নেতা লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আমরা দিল্লিকে বলতে চাই- বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে একটি অবৈধ, অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চুক্তি করে হয়তো সাময়িক সুবিধা নিতে পারবেন, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এ দেশের জনগণ এই অসম চুক্তি মেনে নেবে না।