চীনের শীর্ষ নিরাপত্তা প্রধান চেন ওয়েনকিং শিনজিয়াং এর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সফরে সন্ত্রাসবিরোধী নীতি গুলিকে স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছেন । বিশেষজ্ঞদের মতে এর ভিত্তিতে সেখানে বসবাসকারী ১১ মিলিয়নেরও বেশি উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায়কে দমন করার প্রচেষ্টার নতুন ইঙ্গিত দিতে পারে।
মে মাসের ২২ থেকে ২৬ তারিখের সফরের সময় চেন(যিনি চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার মন্ত্রকের প্রাক্তন প্রধান) সন্ত্রাস এবং সহিংস অপরাধ দমন করা এবং সন্ত্রাসবাদকে দমন করে দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কথা বলেন।
২৭শে মে তার সফর শেষ হওয়ার পর তিনি বলেছিলেন যে চীন সাত বছর ধরে কোন সন্ত্রাসবাদী হামলা দেখেনি।
বেজিং, শিনজিয়াং এর কোন বড় নীতিগত পরিবর্তন করেনি। উইঘুরদের জন্য ওয়াশিংটনের এডভোকেসি গ্রুপ একটি প্রচারে বলেছিলেন যে -“চেনের সন্ত্রাস দমন প্রচেষ্টাকে আরো স্বাভাবিক করার আহ্বান অব্যাহত এবং প্রধানত উইঘুরদের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য এই আহ্বান”।
রূশান আব্বাস এর মতে, “চেন ওয়েনকিং এর এই বিবৃতি একটি স্পষ্ট স্বীকারোক্তি যে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি উইঘুরদের গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি স্থায়ী প্রচারণা চালিয়ে যেতে থাকে।
২০১৭ সালে চীন উইঘুর এবং অন্যান্য তুর্কি জনগণের ওপর দমন অভিযান চালিয়েছে এই অভিযানের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন এর অভিযোগ উঠেছে, যেমন যে অন্তত ১.৮ মিলিয়ন উইগুর এবং অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের গণগৃহবন্দী করা হয়েছে। বেইজিং এই অভিযোগগুলি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে যে কেন্দ্রগুলি “পেশাগত প্রশিক্ষণ” জন্য ছিল।