আজিম আনোয়ারুল প্রথম জীবনে এক ব্যবসায়ী ছিলেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন বিএনপি নেতা ও পরে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৯২ সালে আনোয়ারুল বিএনপি নেতা হিসেবে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয় ।১৯৯৫ সালে আব্দুল মান্নার বিএনপি ছেড়ে আওয়ামীলীগে যোগ দিলে আজিমও সেই দলে যোগ দেয় ।
২০১৪ সালের দশম ,২০১৮ সালের একাদশ এবং ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
যদি এই সাংসদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা হয় তবে দেখা যায়, যে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের অভিযোগে মামলা ছিল । আনোয়ারুল এর বিরুদ্ধে অস্ত্র ,বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ,স্বর্ণ চোরা চালান, চাঁদাবাজি ,টেন্ডারবাজি,দখল বাজি এবং জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়ার মত ৯টিরও বেশি মামলা চলছিল।
আনোয়ারুল আনার ১৯৮৬ সালের দিকে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন মাদক কারাবারে জড়িয়ে পড়েন । ভারতের বাগদা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের বাঘাভাঙ্গা সীমান্ত পথে চোরাচালান করতেন । এই মাদক পাচারের মাধ্যমে প্রচুর টাকার মুনাফা করেন সাংসদ।
ঝিনাইদহের আরেক চোরাকারবারি পরিতোষ ঠাকুরের সঙ্গে মিলে স্বর্ণ চোরাচালানোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯৬ সালে সাংসদ বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয় এবং তখন মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানোর কারবারের সঙ্গে অস্ত্র কারবারেও যোগ দেয়।
আনোয়ারুল এর খুনের খবর নিশ্চিত করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। সাংসদের খুনের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে উঠে আসে নানান চঞ্চলকর তথ্য। ছাত্রাবস্থা থেকেই নাকি অন্ধকার জগতের সাথে যোগাযোগ আনোয়ারুলের। জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, এমনকি আত্মীয়দের নৃশংসতা ভাবে খুন ও খুনের চেষ্টা করেন ঝিনাইদহ-৪ এর এই বাংলাদেশী সাংসদ।
এক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুসারে আনোয়ারুল নাকি আসলে একজন মাফিয়া। বাংলাদেশের চরমপন্থী ইসলামী জঙ্গিদের অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ, আশ্রয় দেওয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে , এছাড়াও মাদক ও সোনা পাচারের টাকার ভাগ দিত স্থানীয় দুষ্কৃতীদের।
আনোয়ারুল কে ধরতে একসময় ইন্টারপোলের নোটিশ পর্যন্ত জারি করা হয়। বাংলাদেশী পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও দুষ্কৃতীরা হামলার চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। সাংসদ হওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে থাকা নানান মামলা একের পর এক খারিজ হয়ে যায়। মনে করা হয় দেশ-বিদেশে কয়েক হাজার সাম্রাজ্য রয়েছে আনোয়ারুলের।