সেমিকন্ডাক্টর খাতে ২০৪১ সালে ১০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের

১৫ মে ঢাকায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সেমিকন্ডাক্টর খাতে ২০৪১ সালে ১০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমানে, বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর শিল্প থেকে বার্ষিক প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে, যার বেশিরভাগই ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) চিপ ডিজাইন পরিষেবা সরবরাহ করে, যখন ফ্যাব্রিকেশন, প্যাকেজিং, সংযোজন এবং পরীক্ষা অব্যবহৃত রয়েছে।বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং এলএলপি’র পার্টনার অভিষেক গুপ্ত, যেখানে সেমিকন্ডাক্টর ভ্যালু চেইন এবং বাংলাদেশের সম্ভাব্য গুরুত্বের ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে প্রযুক্তিখাতের সকল স্তরে ন্যানো চিপের বহুমুখী ব্যবহার বাড়বে, তাই আমাদেরকে এ ব্যাপারে এখনই মনোযোগী হতে হবে, বিশেষ করে শিল্পখাতের প্রয়োজনের নিরিখে দক্ষ জনবল তৈরিতে শিক্ষা কারিকুলাম যুগোপযোগী করতে হবে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ৪টি প্রতিষ্ঠান সেমিকান্ডাক্টিং খাতে বেশ ভালো করছে, তবে এ খাতের যথাযথ বিকাশে আমাদেরকে চিপ ম্যানুুফেকচারিং, এ্যাসেম্বিলিং ও প্যাকেজিং-এর উপর আরো বেশি হারে গুরুত্বারোপ করতে হবে।

ঢাকা চেম্বার সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানির তৈরি পোষাক খাতের নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে আমদানি বিকল্প শিল্পখাতের বিকাশ ও পণ্যের বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে সম্ভাবনাময় সেমিকন্ডাক্টর খাতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, মোবাইল হ্যান্ডসেট, রিফ্রিজারেটর, এসি ও গাড়ীর ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ অর্থবছরে আমাদের ব্যয় ছিল ১১৮.১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্থানীয় শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি এখাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে আমাদের দক্ষ জনবল তৈরির কোন বিকল্প নেই এবং এজন্য আমাদের শিক্ষাক্রমের আমূল পরিবর্তন ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানোর উপর মনোযোগী হতে হবে।

About Ipsita Mondal

Check Also

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীর্ঘ সময় পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন

Asia Monitor18 পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতের কোনো মন্ত্রী শেষবার ২০১৫ সালে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!