বিএনপি ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবি ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সমাবেশ ও মানববন্ধনে তিনি এ অভিযোগ করেন। হাছান মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনিদের হত্যার প্রতিবাদ না করে বিএনপি-জামায়াত ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট নিয়ে অপরাজনীতি করছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে তারা ইসরাইলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরাইলের এজেন্টদের সাথে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী গাজায় ইসরাইলের বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপি ও জামায়াত এই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি, এই ভয়ে যে কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ থাকা ইসলামী দলগুলোর সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মুকাররমের সামনে দাঁড়িয়ে যায়। নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মুকাররমের সামনে এসে তারা আন্দোলন করেছে। এখন কেন তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরাইলের বিপক্ষে তাদের একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না। এরা আসলে ইসলামপ্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, সরকারের সমালোচনাকারী নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনেকেরই দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়, শরীরের চেয়ে গাল বড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, বিষোদগার করে। কিন্তু নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তো তাদের কথা বলতে শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে?’
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন টয়েল এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, কেন্দ্রীয় যুবলীগনেতা মানিক লাল ঘোষ, স্বাধীনতা পরিষদের নেতা ফরিদুজ্জামান, মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান প্রমুখ।