ভয়ঙ্কর ঘটনা
#ঢাকা: নৃশংসতায় ঠিক যেন মালদহের কালিয়াচকের রিপ্লে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কদমতলীতে নৃশংস ঘটনা। বাবা-মা ও বোনকে খুন করল পরিবারেরই বড় মেয়ে। আশ্চর্যজনক বিষয় হল, বাবা-মা ও বোনকে হত্যার পর নিজেই ফোন করে পুলিশকে সেই খবর দেন মেহজাবিন ইসলাম নামে ওই অভিযুক্ত। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধেও মামলা করেছে পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মেহজাবিন ইসলাম জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের উপর ক্ষোভ থেকেই হত্যা করেছেন তিনি। মেহজাবিনের বাবা দীর্ঘদিন ভিনদেশে ছিলেন, সেখানে আরেকটি বিয়েও করেছিলেন। তিন মাস আগে দেশে ফেরেন তিনি। মেহজাবিনের অভিযোগ, বাবা তাঁর মা ও দুই বোনকেই অসামাজিক কার্যকলাপে বাধ্য করতেন। সেখান থেকেই ক্ষোভ জন্মায় তাঁর। এরপরই মা-বাবা-বোনকে খুনের চক্রান্ত করে সে।
পুলিশের কাছে অভিযুক্ত মহিলা জানিয়েছেন, শনিবার মায়ের বাড়িতে এসে ঘুমের ট্যাবলেট গুড়ো করে চায়ের সাথে মিশিয়ে প্রত্যেককে খাওয়ায় মেহজাবিন। এরপর সকলে অচৈতন্য হয়ে পড়লে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে।
ওই এলাকার ওসি জামালউদ্দিন জানান, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে নিহত মাসুদ রানার মেয়ে মেহজাবিনকে। মামলার অপর আসামি মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলকে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসায় রাখা হচ্ছে। শফিকুল অসুস্থ থাকায় তাঁকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, আপৎকালীন নম্বর ৯৯৯-তে এক মহিলার ফোন পেয়ে কদমতলীর মুরাদপুরের লাল মিয়া সরকার রোডের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় যায় পুলিশ। সেখান থেকেই তিনজনের লাশ উদ্ধার হয়। বিকেলে মৃতদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতরা হলেন মাসুদ রানা (৫০), তাঁর স্ত্রী মৌসুমি ইসলাম (৪৫) ও মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম (২১)। পুলিশের কাছে মূল অভিযুক্ত মহিলা জানিয়েছেন, বোন জান্নাতুলের সঙ্গে তাঁর স্বামী শফিকুলের সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ ছিল। সেখান থেকেই পরিবারের বাকিদের প্রতি ক্ষোভ জন্মায় তাঁর। এরপরই এমন নৃশংস ঘটনা ঘটায় সে।
Follow us on
Download News18 App
Check Also
নেতানিয়াহুকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইসরায়েলিকে নিয়োগ ইরানের
Asia Monitor18 এক ইসরায়েলই নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যাকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সহ শীর্ষ ইসরায়েলই …