Asia Monitor18 ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের প্রায় ৮১ টি গণমাধ্যম নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া। নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে জানা গেছে ওই গণমাধ্যমগুলি দীর্ঘদিন ব্যাপি রাশিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্প্রচার করছিল। অর্থাৎ গণমাধ্যম গুলি নিষিদ্ধ করার অর্থ হল রাশিয়ার মানুষ আর ওই গণমাধ্যমগুলি দেখতে পাবে না। এছাড়াও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তারা কিছু অসত্য তথ্য প্রদান করছিল বলে অভিযোগ রাশিয়ার। ফলে রুশ জনগণ এগুলি আর দেখতে পাবে না। রাশিয়ার মতে ইউক্রেনের অভিযান যুদ্ধ নয় এটিকে আসলে সেনা অভিযান বলেছে রাশিয়া। কেউ এটিকে যুদ্ধ বললে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে রাশিয়া। কিন্তু অধিকাংশ গণমাধ্যমই এটিকে যুদ্ধ বলে স্বীকার করছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে গেলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এমন সিদ্ধান্তের পিছনে মে মাসের একটি ঘটনা জড়িত। সেই সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন চারটি গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই সময় অভিযোগ ছিল ক্রেমলিনের হয়ে অপপ্রচার করছে ওই গণমাধ্যমগুলি। প্রাগের ভয়েস অফ ইউরোপ ও সেই তালিকাভুক্ত ছিল যারা সরাসরি পশ্চিমা বিশ্বের বিরোধিতা করে। যে গণমাধ্যমগুলি বন্ধ করা হয়েছে তার মধ্যে ফরাসি সংবাদসংস্থা এএফপি , জার্মানির স্পিগেল, স্পেনের এল প্যারিস এবং অস্ট্রিয়া ও ইতালির জাতীয় সংবাদসংস্থাও উপস্থিত। বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইইউর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে ‘নন্সেন্স’ বলেছেন। মস্কো জানিয়েছে তারা এই পদক্ষেপ ফিরিয়ে নিতে পারে তবে সেজন্য ইইউ যে গণমাধ্যমগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা তুলে নিতে হবে। রাশিয়া বলেছেন আমরা বার বার সতর্ক করেছিলাম ইইউতে যে সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলি রাশিয়ার পক্ষে কথা বলছে তাদের সমস্যায় ফেলা যাবে না। কিন্তু ইইউ তখন কথা শোনেনি।