Asia Monitor18 দুই যুগ অর্থাৎ প্রায় ২৪ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা পৃথিবীকে পাল্টে দিয়েছিল। সেই নাইন-ইলেভেনের ষড়যন্ত্রের দায় স্বীকার করতে রাজি হয়েছেন গুয়ানতানামোর তিন বন্দি। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল-কায়েদার সেই হামলায় নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া ও পেনসিলভেনিয়ায় প্রায় তিন হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এর জের ধরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তান ও ইরাকে শুরু হয় অভিযান। ১৯৪১ সালে হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের পার্ল হারবারে জাপানি হামলার পর ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা।
মৃত্যুদণ্ড না দেওয়ার শর্তে ওই তিনজন আদালতে দোষ স্বীকার করতে রাজি হয়েছেন। বিচারের আগে চুক্তিতে পৌঁছানো তিন ব্যক্তির নাম হল– ওয়ালিদ মুহাম্মদ সালিহ মুবারক বিন আতাশ, মুস্তাফা আহমেদ আদম আল-হাওসাভি এবং খালিদ শেখ মোহাম্মদ।তারা বিনা বিচারে কিউবার গুয়ানতানামো’ তে মার্কিন নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে বছরের পর বছর ধরে আটক রয়েছেন।
প্রধান কৌঁসুলি রিয়ার অ্যাডমিরাল অ্যারন রুঘের চিঠিতে বলা হয়, “মৃত্যুদণ্ডের সম্ভাব্য শাস্তি না দেওয়ার শর্তে অভিযোগপত্রে তালিকাভুক্ত ২,৯৭৬ জনকে হত্যা সহ সব অপরাধের দোষ স্বীকার করতে সম্মত হয়েছেন তিন অভিযুক্ত।”তাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা, আইন লঙ্ঘন করে হত্যা, উড়োজাহাজ ছিনতাই, সন্ত্রাসবাদসহ আরও নানরকমের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রধান কৌঁসুলি রুঘ তার চিঠিতে লিখেছেন, তিন আসামির সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে বলে বিষয়টি হালকা হয়ে যাচ্ছে তা মনে করার কিছু নেই। বিচারের জন্য এটি ‘সবচেয়ে ভালো পথ’। ৯/১১ হামলায় নিহত জিম স্মিথের স্ত্রী চুক্তির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই পশুগুলো আমাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে যা করেছে, তার বিচার আদালতে দেখার জন্য নিহতদের পরিবারগুলো ২৩ বছর ধরে অপেক্ষা করছে।