Daily Archives: October 5, 2024

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীর্ঘ সময় পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন

Asia Monitor18 পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতের কোনো মন্ত্রী শেষবার ২০১৫ সালে পাকিস্তান গিয়েছিলেন। আফগানিস্তানসংক্রান্ত একটি সফরে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ  সে দেশে গিয়েছিলেন। আবার ৯বছর ভারতের কোন মন্ত্রী সেখানে যাননি। ৯ বছর পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আন্ত সরকার সংস্থা সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে (এসসিও) যোগ দিতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন। আঞ্চলিক নিরাপত্তার সহযোগিতায় বড় ভূমিকা আছে এসসিওর। ভারতের  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চলতি অক্টোবরের মাঝামাঝি এই সফর হতে পারে বলে জানা গেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর ইসলামাদে অনুষ্ঠিত এসসিওর সম্মেলনে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক আন্ত রাষ্ট্রীয় সংস্থা হল এই এসসিও। এসসিও ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারত-পাকিস্তান ছাড়াও রাশিয়া, চীন, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তান এই সংস্থার সদস্যের তালিকায় বর্তমান।

এর আগে গতবছর ভারতে এসসিও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এমন এক বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশ নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন ২০১১ সালের পর ভারত সফর করা প্রথম পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ। আর সেই সফরের পর জয়শঙ্কর এবার পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন।

ভারত ও পাকিস্তান এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দীর্ঘ বছর ধরে শত্রুতা চলে আসছে। ১৯৪৭ সালের পর থেকে যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে তার মধ্যে দুটিই ছিল কাশ্মীরকে নিয়ে। ভারত পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে টানাটানি চললেও অবস্থার আরও অবনতি ঘটে ২০১৯ সালে। ওই বছরেই কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাদের ওপর জঙ্গি হামলা করলে ভারত ও পাল্টা জবাব দেওয়ার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে হামলা করে।

হাইতিতে অপরাধী চক্রের হামলায় বৃদ্ধি পেয়েছে নিহতের সংখ্যা

Asia Monitor18 হাইতিতে এক ছোট শহরে সশস্ত্র অপরাধী চক্রের হামলায় পুর অঞ্চল অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছে। এই নৃশংস হামলার জেরে সিশুসহ প্রায় ৭০ জন মারা গেছেন। ১৬ জন গুরুতর ভাবে আহত এই ঘটনার ফলে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। রাজধানী পোর্ট- অ- প্রিন্সের প্রায় ৭১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে কেন্দ্রীয় আর্টিবোনিট অঞ্চলের পন্ট-সোন্ডে শহরে তাণ্ডব চালায় এই গ্র্যান গ্রিফ গ্যাং সদস্যরা।

প্রায়  ৬ হাজার মানুষ এই ঘটনার জেরে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। পালিয়ে যাওয়া জনগণের মধ্যে বেশিরভাগই আশেপাশের সেন্ট-মার্ক এবং অন্যান্য শহরে বসবাসকারী পরিবারের কাছে আশ্রয় নিয়েছে, অবশিষ্টাংশ অস্থায়ী শিবিরে অবস্থান করছে। একটি ভিডিও ফুটেজে প্রকাশিত হয়েছে বহু মানুষ মোটর সাইকেলের সাহায্যেও এই সহিংসতা থেকে পালাচ্ছে।

জাতিসংঘ বলেছে, গ্যাংয়ের সদস্যরা কমপক্ষে ৪৫টি বাড়ি এবং ৩৪টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে চতুর্দিক লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। এই গ্র্যান গ্রিফ গ্যাঙকে হাইতির অন্যান্য গ্যাঙের তুলনায় সবচেয়ে সহিংস বলে মনে করা হয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এর সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশ স্টেশনে হামলা এবং ছয়জন কর্মকর্তার উপর হত্যার  অভিযোগ আনা হয়েছিল।

এই গ্যাংটির প্রায় ১০০ সদস্য রয়েছে। এই সমস্ত ঘটনায় জড়িত মানুষের নামে হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি এবং অপহরণসহ অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সাত লাখের বেশি মানুষকে পরিষেবা দেওয়া একটি হাসপাতাল বন্ধ করতে বাধ্য করার জন্যও দায়ী করা হয় এদেরই। 

 এই হামলার কারণ হিসেবে গ্র্যান গ্রিফ গ্যাং নেতা লাকসন এলান  জানিয়েছেন, পুলিশ এবং অন্যান্য গোষ্ঠী যখন তাদের সেনাদের হত্যা করেছিল, তখন বেসামরিক লোকজন চুপ ছিল। এর প্রতিশোধ হিসেবে তারা এই হামলা চালিয়েছে।

error: Content is protected !!