নরওয়ের উপকূলে একটি বেলুগা প্রজাতির তিমি মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। রাশিয়া এ তিমিটিকে গুপ্তচর হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
ভলদিমির নামের ওই প্রাণীটির মরদেহ শনিবার নরওয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর রিসাভিকার কাছে দুই জেলে ভাসতে দেখে বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর সেটি উদ্ধার করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে।
ভলদিমিরকে প্রথম দেখা যায় গত পাঁচ বছর আগে। তার গলায় একটি যন্ত্র লাগানো ছিলো। এতেই ধারণা ছড়িয়ে পড়ে, ভলদিমির রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করছিলো।এতেই গুজব ছড়িয়েছিল যে এই স্তন্যপায়ী প্রাণিটি একটি গুপ্তচর তিমি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে।যদিও মস্কো কখনো এ ধরনের অভিযোগের কোন জবাব দেয় নি।মেরিন মাইন্ড নামের একটি সংগঠন সপ্তাহের শেষে ভলদিমিরের নিথর দেহটি আবিষ্কার করে।এ সংগঠনটি বছরের পর বছর ধরে তিমিটির গতিবিধি অনুসরণ করছিল।
মেরিন মাইন্ড নামের একটি সংগঠন সপ্তাহের শেষে ভলদিমিরের নিথর দেহটি আবিষ্কার করে। এ সংগঠনটি বছরের পর বছর ধরে তিমিটির গতিবিধি অনুসরণ করছিল।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্টিয়ান স্ট্রান্ড বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিমিটির মৃত্যুর কারণ অজানা বলে জানিয়েছেন। এমনকি ভলদিমিরের দেহে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
তিনি আরো বলেছেন, “ আমরা তার দেহাবশেষ উদ্ধার করতে পেরেছি। তার মৃত্যুর কারণ জানতে ভেটেরিনারি ইন্সটিটিউট যাতে পরীক্ষা – নিরীক্ষা করতে পারে সে কারণে তিমিটিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে রাখা হয়েছে”।
ভলদিমিরের আনুমানিক বয়স ১৫ বছর হতে পারে। যদিও একটি বেলুগা তিমির জন্য এটা তেমন কোন বয়স নয়। কারণ এ ধরনের তিমি ৬০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।