Monthly Archives: September 2024

নিউজিল্যান্ডে মাওরিদের নতুন রানি

Asia Monitor18 নিউজিল্যান্ডের মাওরি জাতিগোষ্ঠী নতুন রানি পেয়েছে। নিউজিল্যান্ডের মাওরি জাতিগোষ্ঠীর রাজা তুহেইশিয়ার মৃত্যু হয় গত শুক্রবার। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। রাজার মৃত্যুর ফলে সিংহাসন ফাঁকা পড়ে থাকে ফলে নতুন উত্তরাধিকারী নির্বাচন করা হয়েছে। তবে কে তাতে আসীন হবে তা নিয়ে জল্পনা হয়েছে।

রাজা তুহেইশিয়ার মৃত্যুর পর তার মেয়ে এনগা ওয়াই হোনো ই তে পো- কে নতুন রানি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মাওরি গোষ্ঠীর জনজাতির প্রধানদের কাউন্সিলরা নতুন রানিকে নির্বাচন করেন। মৃত রাজার মেয়ের বয়স ২৭ বছর।

ঐতিহ্য অনুসারে ছেলেরা সিংহাসনে বসে কিন্তু সব প্রথা ভেঙে অবশেষে সিংহাসনের জন্য বেছে নেওয়া হল রাজার ছোট সন্তান তার কন্যাকে। রাজার দুই ছেলেও আছে। তাদের মধ্যেই কেউ একজন সিংহাসনে বসবেন বলে আন্দাজ করা হয়েছিল।

মাওরি রাজতন্ত্র চলমান ১৯ শতক থেকে চলমান। মাওরিদের রাজা বা রানির হাতে কোন আইনি ক্ষমতা নেই। এই পদটি কেবল আলংকারিক। তবুও এই পদটির একটি প্রভাব সহ এটি সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব। এর আগেও একজন মহিলা মাওরিদের রানি ছিলেন। তিনি ছিলেন ওয়াই –এর ঠাকুমা এবং প্রথম রানি। ওয়াই হলেন মাওরিদের দ্বিতীয় রানি। ২০০৬ সালে তার ঠাকুমা মারা যান।

ওয়াইকে রানি হিসেবে বেছে নেওয়ার পর তাকে নিয়ে আসা হয় এবং কাঠের সিংহাসনে এনে বসানো হয়। রানির মাথায় পাতার মুকুট পড়ান হয় এবং তার গলায় ছিল তিমির হাড়ের নেকলেস।  

নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যার মধ্যে ১৭ শতাংশ হলেন মাওরি। তাদের মধ্যে দারিদ্রতা অনেক বেশি। অন্যদের তুলনায় মাওরিরা সাত বছর কম বাঁচেন। তারা বেশিরভাগ ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এবং আত্মহত্যার দ্বারা আক্রান্ত হন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাল তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ সহ ২১ টি দেশ

 Asia Monitor18 যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত তথ্যে মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে মার্কিন নাগরিকদের ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ সহ ২১ টি দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের লাল তালিকায় রাখা হয়েছে। ২১ টি দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সর্বচ্চ পর্যায়ের ভ্রমণ সতর্কতা তথা চতুর্থ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বেসামরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছেন।

আওয়ামী লিগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের চাপে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ থেকে চলে যান। মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করে আরও বলা হয় যে এখন আগাম সতর্কতা না দিয়েই সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে। তাই মার্কিন নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কেউ এই ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিতে যাতে ভ্রমণ না করে তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এই দেশগুলোতে বিশেষ করে পর্যটন গন্তব্য, বাস, ট্রেন, বাজার, শপিংমল, ধর্মীয় স্থান, স্কুল,কলেজ প্রভৃতি স্থানে হামলা হতে পারে। যদি একান্ত কারোর ভ্রমণ অতি প্রয়োজনিয়তা থাকে তবে সে যেন বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে।

বাংলাদেশ ছাড়াও আরও যেসব দেশগুলি আছে সেগুলি হল আফগানিস্তান, বেলারুশ, বুরনিকা ফাসো, মিয়ানমার, ইরাক,লিবিয়া, মালি, উত্তর কোরিয়া, হাইতি, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, রাশিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, ইউক্রেন, ভেনেজুয়েলা, ইয়েমেন,সুদান,ইরান,লেবানন।

 দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদ ‘ইস্তিকলাল’ পরিদর্শন পোপ ফ্রান্সিসের

Asia Monitor18 চরমপন্থা ও অসহিস্নুতার মোকাবিলা করতে ধর্মীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি একথাই জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর সাথে সাক্ষাৎ করার পর। পোপ বলেছেন একটি শান্তিপূর্ণ ও ফলপ্রসূ সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আন্তঃধর্মীয় সংলাপ জোরদার করতে চায় চার্চ।

পোপ ফ্রান্সিস এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের চার দেশের সফরের অংশ হিসেবে এখন বিশ্বের সবচেয়ে মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়ায় আছেন। এরপর তিনি পাপুয়া নিউগিনি, পূর্ব তিমুর ও সিঙ্গাপুর যাবেন। শেষ ১৯৮৯ সালে পোপ দ্বিতীয় জন পল ইন্দোনেশিয়ার সফর করেছিলেন। বর্তমানে তৃতীয় পোপ হিসেবে ৮৭ বছর বয়সে পোপ ফ্রান্সিস ইন্দোনেশিয়া সফরে গিয়েছেন।

তিনি ইন্দোনেশিয়ার সফরে গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদ ‘ইস্তিকলাল’ পরিদর্শন ও সেখানে বিভিন্ন ধর্ম নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন। একই দিনে পোপ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জারকাতার একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে হাজারো মানুষের এক সমাবেশে যোগ দেবেন।সেখানে প্রায় ৮০ হাজারেও মানুষ উপস্থিত থাকবে। মসজিদ পরিদর্শন এবং ফুটবল স্টেডিয়ামে যোগদান এই দুটি সফরের প্রধান কর্মসূচী।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট উইডোডোও বলেছেন ভ্যাটিকানের সাথে মিলে ইন্দোনেশিয়া একটি ক্রমবর্ধমান অশান্ত বিশ্বের মধ্যে স্বাধীনতা ও সহনশীলতা ছড়িয়ে দিতে চায়।

২০২০ সালে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে ইন্দোনেশিয়া সরকার ‘ইস্তিকলাল’ মসজিদের সঙ্গে আওয়ার ‘লেডি অব দ্য আজাম্পশন’ ক্যাথেড্রালের সংযোগ স্থাপন করে ‘টানেল অব ফ্রেন্ডশিপ’ সুড়ঙ্গের মাধ্যমে। যা ২৮ দশমিক ৩ মিটার দীর্ঘ।  

ইন্দোনেশিয়া মোট ছয়টি ধর্মকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি দেয়। সেগুলি হল ইসলাম, খ্রিষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, প্রতেস্ত্যান্ত ও কনফুসিয়ানিস্ম।

ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ৮০ লাখ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান বসবাস করে যা মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশেরও কম। মুসলমানের সংখ্যা ২৪ কোটি ২০ লাখ যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭ শতাংশ।

আফ্রিকাকে ৫১ বিলিয়ান আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চিন, এটা কী চিনের নতুন ফাঁদ?

চীন সম্প্রতি ঋণ-দুর্দশাগ্রস্ত আফ্রিকান দেশগুলিতে ৫১ বিলিয়ান আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে,যা একটি নতুন ঋণ ফাঁদ হতে পারে বলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই বিশাল প্রতিশ্রুতি আফ্রিকাতে চীনের প্রভাব বাড়ানোর প্রচেষ্টার অংশ, যা অবকাঠামো প্রকল্প, ঋণ এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে এবং এর মূল অংশ হলো বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)। বেইজিংয়ে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা শীর্ষ সম্মেলনে ফোরামে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

এই প্রতিশ্রুতির লক্ষ্য উচ্চ ঋণ সহ অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন আফ্রিকান দেশগুলিকে সমর্থন করা। সমর্থকরা যুক্তি দেন যে এই আর্থিক সহায়তা প্রবৃদ্ধি (অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি বলতে মোট দেশজ উৎপাদনের বর্ধিত অংশের শতকরা মানকে বোঝায়) উদ্দীপিত করতে পারে, অবকাঠামো উন্নত করতে এবং বেকারত্ব কমাতে সাহায্য করবে, যা অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।

সমালোচকরা উদ্বিগ্ন যে মূলধনের এই নতুন প্রবাহ বিদ্যমান ঋণ সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। অনেক আফ্রিকান দেশ ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে ঋণগ্রস্ত, অতিরিক্ত ঋণের ফলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে। কিছু আফ্রিকান দেশ পূর্বের চীনা ঋণের পরিশোধই এখনও করতে পারেনি।যার ফলে একটি “ঋণ ফাঁদ”এ জড়িয়ে পরার আশঙ্কা করা হচ্ছে,যেখানে দেশগুলি ঋণ গ্রহণ এবং পরিশোধের চক্রে আটকে যেতে পারে।

আফ্রিকায় চীনের ভূমিকাকে প্রায়শই সম্পদের অ্যাক্সেস সুরক্ষিত করতে এবং তার ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব প্রসারিত করার কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়। নতুন ঋণের শর্তাবলী, সুদের হার এবং পরিশোধের সময়সূচী এই ঋণ সমস্যা কমাতে বা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই নতুন আর্থিক সহায়তা আফ্রিকান দেশগুলিকে আরও ঋণ সঙ্কটে যাতে না পরে, তা নিশ্চিত করার জন্য স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বশীল ঋণদান অপরিহার্য।

চীন এবং প্রাপক দেশ উভয়ের জন্যই বিদ্যমান আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলিকে এড়াতে সাবধানতার সাথে এই ঋণদান পরিচালনা করা গুরুত্বপূর্ণ।

হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন ইসির পদত্যাগ

অবশেষে গুঞ্জনের সমাপ্তি টেনে পদত্যাগ করেছে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে আউয়াল কমিশন।সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নির্ধারণ করা থাকলেও মাত্র আড়াই বছরেই বিদায় নিলো কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।সংবাদ সম্মেলন শেষে ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলেও জানা গেছে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনিসহ তাঁর কমিশনের সদস্যরা পদত্যাগ করার মনস্থির করেছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়ার জন্য পদত্যাগপত্রগুলো ইসি সচিবালয়ের সচিবের কাছে তাঁরা জমা দিয়েছেন।

সৌজন্য বিনিময়ে অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবীব খান ও মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুই কমিশনার রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।

নিজের বক্তব্য পড়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন সিইসি। নিজের বক্তব্যে তিনি ১৯৭৩ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন পর্যন্ত সব কটি নির্বাচনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পরদিনই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকে ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। আজ হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন ইসি পদত্যাগের ঘোষণা দিল।

আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করলে নিহতদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে:মন্তব্য রিজভীর

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার নির্দেশে যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তাদের হত্যাকারীদের ক্ষমা করলে নিহতদের আত্মার সঙ্গে বেইমানি করা হবে। একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা বলছেন আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। গণহত্যাকারীদের কিসের ক্ষমা করতে বলেছেন তারা, মন্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

জামায়েত ইসলামীর প্রতি ইঙ্গিত করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, তারা বলছেন-আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। গণহত্যাকারীদের কিসের ক্ষমা করতে বলেছেন তারা। যদি শেখ হাসিনাসহ অপরাধীদের বিচার না করা হয় তাহলে বাংলাদেশ কবরস্থানে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি-নিরপরাধ কেউ যেন মামলার শিকার না হয়। কিন্তু যারা অপরাধী তাদের ক্ষমা করা যাবে না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘আপনারা কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের কাজ করতে দিন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বিষয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন।’

এ সময় বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু, ডা. জাহিদুল কবির, মেহেবুব মাসুম শান্ত ও আরিফুর রহমান তুষার উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসা সেবা বন্ধ, ভোগা‌ন্তি চরমে

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলার কথা ছিল। তবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে কোনো চিকিৎসক আসেনি। আউটডোর সেবা সম্পূর্ণ বন্ধ না থাকলেও চিকিৎসক না আসায় রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে। তবে জরুরি বিভাগে সীমিত আকারে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

নিগ্রহ করার প্রতিবাদে খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনরা।

এদিকে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোয় বহির্বিভাগে চিকিৎসা- সেবা বন্ধ থাকায় গতকাল সোমবারও ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের। অনেককেই চিকিৎসা না পেয়ে ফিরতে হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল বিকেলে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পক্ষে হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে মঙ্গলবার থেকে সীমিত পরিসরে আউটডোর সেবা
চালু করা হবে।

‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের কর্মপরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে এবং যারা আমাদের গায়ে হাত তুলেছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আমরা কর্মবিরতিতে চলে যাব।’

নিউরো সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন এটি অত্যন্ত নেককারজনক ঘটনা। আমরা হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক এবং বিইউবিটির ভিসি ও শিক্ষার্থীদের সাথে সভাকক্ষে আলোচনা করেছি।

ঘটনার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি হবে এবং যারা এই চিকিৎসকদের গায়ে হাত দিয়েছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ রোববার রাত আটটার মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে গ্রেপ্তার করার জন্য বলা হয়েছে। এরপর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না দিলে চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী মারা গেছে। আমরা মর্মাহত, কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমাদের চিকিৎসকদের তারা মারপিট করতে পারেন। আমার চিকিৎসকদের যদি কোনো অবহেলা থাকে বা কোনো ধরনের গাফিলতি থাকে তাহলে তারা হাসপাতালের পরিচালকের কাছে এসে অভিযোগ করতে পারতেন। কিন্তু তারা সেটি না করে আমাদের তিন চিকিৎসককে মারপিট করেছে, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এবং মানা যায় না।’

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা শনিবারই ঢাকা মেডিকেলে ‘উই ওয়ান জাস্টিস’ স্লোগান দিয়ে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে মিছিল করছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি করেন তারা।

ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা শনিবার রাতে বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কর্মবিরতি শুরু হবে।

এদিকে শনিবার মধ্যরাতে খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসা নিতে আসেন। ওই সময় অন্য আরেকটি গ্রুপ চাপাতিসহ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এ সময় চালানো হয় ভাঙচুর। হাতেনাতে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীতে দেয় কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং আমি চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করছি তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমি নিলাম। আমি সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের সাথে কথা বলেছি, এখানে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় জরুরি বিভাগে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন হবে এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

হামাসের সাথে যুদ্ধের মধ্যেই যুক্তরাজ্য ইজরায়েলে অস্ত্র রপ্তানির লাইসেন্স বন্ধ করল, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এতে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই

ইজরায়েল-হামাস সংঘাতের ৩৩৪ তম দিন,সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্যের ৩০টি অস্ত্র রপ্তানি কোম্পানি লাইসেন্স স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে এই অস্ত্রগুলি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। এই স্থগিতকরণের পেছনে কারণ হিসেবে গাজা টানেলে ছয় ইজরায়েলি হোস্টেজদের -এর হত্যার ঘটনা উঠে এসেছে, যা সংঘাতকে আরও তীব্র করেছে ।

ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে বলেছেন যে, অস্ত্র সরবরাহ থাকুক বা না থাকুক, ইজরায়েল এই যুদ্ধ জিতবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে, যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মন্তব্য করতে বিরত থেকেছে।

এই সংঘাতের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) গাজায় ৪০,৭৩৮ জনের মৃত্যু এবং ৯৪,১৫৪ জনের আহত হওয়ার রিপোর্ট করেছে, সংঘাত ৭ অক্টোবর থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওইদিন হামাসের আক্রমণে ১,১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং প্রায় ২৫০ জনকে অপহরণ করা হয়। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, হামাস দ্বারা অপহৃত ২৫১ জনের মধ্যে ৯৭ জন এখনও গাজায় রয়েছে। হামাস পূর্বে নভেম্বরের শেষদিকে একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির সময় ১০৫ জন নাগরিক মুক্তি দেয় এবং তার আগে চারজন হোস্টেজ মুক্তি পেয়েছে।

সাংঘাতিক পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে, এবং ইজরায়েলে যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় মানবিক সঙ্কটের সমাধানের জন্য ক্রমাগত দাবি উঠছে।

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবিতে মৃত ১২

Asia Monitor18 গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ইংলিশ চ্যানেলে একটি শরণার্থীবাহী নৌকা উল্টে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু ঘটেছে। সাথে দুইজন নিখোঁজ এবংকিছুজন আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর তরফ থেকে। ইংলিশ চ্যানেলে দুর্ঘটনার পর বড় অনুসন্ধান এবং উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা নিখোঁজদের খোঁজার চেষ্টা করছে।

মানুষ ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর আফ্রান চেষ্টা করতে গিয়ে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার শিকার হয়। ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে নৌকাটি উল্টে যায়। তবে ওই সময় নৌকায় কতজন উপস্থিত ছিল তা সম্পর্কে কিছু জানা যাইনি।

চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ এখনও পর্যন্ত ইংলিশ চ্যানেলে পাড়ি দিয়েছে। এর ফলে নতুন যুক্তরাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ছে যে সরকার ইংলিশ চ্যানেলে পাড়ি দেওয়া মানুষের ঢল কমাতে সংকল্পবদ্ধ।

ইয়েত্তেভে কোপার এই নৌকা ডুবির দুর্ঘটনাকে মর্মান্তিক বলে মন্তব্য করেছে। তিনি বলেছেন পরিস্তিথির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়ায় তিনি ফ্রান্স উদ্ধারকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।

ব্রিকসে যোগদানের উদ্দেশ্যে অনুরোধ ন্যাটোর সদস্য তুরস্কের

Asia Monitor18 প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্র মঙ্গলবার এই তথ্য দিয়েছেন যে  প্রধান উদীয়মান বাজারের দেশগুলোর গোষ্ঠী ব্রিকসে যোগ দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জমা দিয়েছে তুরস্ক। যদি এই অনুরোধ গৃহীত হয় তাহলে প্রথম ন্যাটো সদস্য দেশ হিসেবে এই গোষ্ঠীতে যোগদান করবে তুরস্ক। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের গোঁড়ার দিকে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চিনের সংক্ষিপ্ত রূপ নিয়ে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়। আবার পরবর্তীকালে ২০০৯ সালে এই চারটি দেশ মিলিত হয়ে একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম গঠন করে, যা ব্রিক নামে পরিচিত।

এর আবার ঠিক এক বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকা যোগ দিলে ব্রিক থেকে ব্রিকস তৈরি হয়। সর্বশেষ এই বছরের শুরুতে সৌদি আরব, আর্জেন্টিনা, মিশর, ইরান, ইথিওপিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এই গোষ্ঠীটিতে যোগদান করে। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত এই ব্রিকস সম্মেলনে তুরস্ক অংশ নিয়েছিল। এক সংবাদ সম্মেলনে  সেলিক বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে বলেছেন, তুরস্ক ব্রিকসহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে অংশ নিতে চায়। এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেছিলেন আমাদের প্রেসিডেন্ট অনেকবার বলেছেন যে আমরা ব্রিকসের সদস্য হতে চাই। এখন এই পক্রিয়া চলছে।

এরদোয়ান শনিবার বলেছিলেন, তুরস্ক একটি শক্তিশালী দেশ হয়ে উঠতে পারে এবং সমৃদ্ধ এবং সাম্মানিত হতে পারে যদি এটি পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সম্পর্ক একযোগে উন্নত করে। সদস্যপদ নিয়ে ২০০৫ সালে আলোচনা শুরু হয়। তবে ২০১৬ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের কারণে বিরোধী দলগুলোর উপর দমন- পীড়নের পর থেকে কোন আলোচনায় কোন অগ্রগতি হয়নি।

error: Content is protected !!