Asia Monitor18 বহু শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য অন্যতম জনপ্রিয় জায়গাগুলি হল কানাডা, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। যদিও এর নানাবিধ কারণও আছে। তবে হটাত করে এই তিনটি দেশে কমতে শুরু করেছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা। শিক্ষা সঙ্ক্রান্ত পোর্টালগুলির তরফ থেকে একথা জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই আগমনের অবনতির অন্যতম কারণ এই দেশগুলির দেশের অভিবাসন নীতিমালা। এই অভিবাসন নীতিমালাই কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার আকর্ষণ কমার মূল কারণ।
শিক্ষা পোর্টালগুলোর গবেষণার শিরোনাম ছিলঃ ‘জয়ী ও পরাজিত: যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ নীতিগুলো কীভাবে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করেছে’। প্রকাশিত গবেষণায় দেখানো হয়েছে, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অন-ক্যাম্পাস ব্যাচেলর ও মাস্টার প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এ বছরের জানুয়ারিতে খুব তাড়াতাড়ি করে বাড়ছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে এই শিক্ষার্থী বাড়ার প্রবণতা কিছুটা কমেছে, বিশেষত কানাডায় তীব্রভাবে কমেছে। মার্চে কিছুটা স্থিতিশীল হলেও পরে আবার তা কমতে শুরু করে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সামগ্রিক প্রবণতা ছিল নিম্ন অর্থাৎ কম।
এই সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বা জনপ্রিয়তা যুক্তরাজ্য বা কানাডার তুলনায় অনেক কম ছিল। ২০২৪ সালে প্রথম সপ্তাহের তুলনায় এ বছরের ২১ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ২৫ দশমিক ১ শতাংশ ও কানাডায় ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী হ্রাস পেয়েছে।
কানাডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শীর্ষ পাঁচ দেশের শিক্ষার্থীর আগমন কমেছে যার মধ্যে বিশেষভাবে রয়েছে ভারত এবং ইরান। যুক্তরাজ্যেও নাইজেরিয়া থেকে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।
অর্থাৎ যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।