Monthly Archives: September 2024

বিদেশি শিক্ষার্থীর আগমন হ্রাস পেয়েছে কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ায়

Asia Monitor18 বহু শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য অন্যতম জনপ্রিয় জায়গাগুলি হল কানাডা, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। যদিও এর নানাবিধ কারণও আছে। তবে হটাত করে এই তিনটি দেশে কমতে শুরু করেছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা। শিক্ষা সঙ্ক্রান্ত পোর্টালগুলির তরফ থেকে একথা জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই আগমনের অবনতির অন্যতম কারণ এই দেশগুলির দেশের অভিবাসন নীতিমালা। এই অভিবাসন নীতিমালাই কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার আকর্ষণ কমার মূল কারণ।

 শিক্ষা পোর্টালগুলোর গবেষণার শিরোনাম ছিলঃ ‘জয়ী ও পরাজিত: যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ নীতিগুলো কীভাবে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করেছে’। প্রকাশিত গবেষণায় দেখানো হয়েছে, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অন-ক্যাম্পাস ব্যাচেলর ও মাস্টার প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এ বছরের জানুয়ারিতে খুব তাড়াতাড়ি করে বাড়ছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে এই শিক্ষার্থী বাড়ার প্রবণতা কিছুটা কমেছে, বিশেষত কানাডায় তীব্রভাবে কমেছে। মার্চে কিছুটা স্থিতিশীল হলেও পরে আবার তা কমতে শুরু করে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সামগ্রিক প্রবণতা ছিল নিম্ন অর্থাৎ কম।

এই সময়  অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বা জনপ্রিয়তা যুক্তরাজ্য বা কানাডার তুলনায় অনেক কম ছিল। ২০২৪ সালে প্রথম সপ্তাহের তুলনায় এ বছরের ২১ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ২৫ দশমিক ১ শতাংশ ও কানাডায় ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী হ্রাস পেয়েছে।

কানাডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শীর্ষ পাঁচ দেশের শিক্ষার্থীর আগমন কমেছে যার মধ্যে বিশেষভাবে রয়েছে ভারত এবং ইরান। যুক্তরাজ্যেও নাইজেরিয়া থেকে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।

 অর্থাৎ যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

ডিসেম্বরের মধ্যে বাজেট সহায়তা এডিবির

Asia Monitor18 বাংলাদেশকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই তথ্যটি জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ডঃ সালেহউদ্দিন আহমেদ। সংস্থাটি সরকারকে বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে এই অর্থ দেবে। ডঃ সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল রবিবার সচিবালয়ে এডিবির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এই তথ্য জানান।

 এছাড়াও একই দিনে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) প্রতিনিধিদল এবং ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারও একই সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন। সালেহউদ্দিন বলেছেন জাইকা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রোজেক্টে জাইকাদের অর্থায়ন রয়েছে। তিনি আরও জানিয়ে বলেছেন আমরা ভৌত অবকাঠামো ঋণগুলো অব্যাহত রাখতে বলেছি এবং সেটা ওরা চলমান রাখবে। এটা ছাড়াও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং টেকনিক্যাল এই দুটি বিষয় কথা বলা হয়েছে।

সাক্ষাতের পর সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন যে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এবিডি, জাইকা ও অস্ট্রেলিয়া তিনজনই ইতিবাচক। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ( আইএমএফ ) ৪৭০ কোটি ডলার দেবে বলেছে। কিন্তু আমরা আরও ৩০০ কোটি ডলার চেয়েছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন অস্ট্রেলিয়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। কারণ তারা যেসব সহায়তা করে তা সরাসরি প্রভাব ফেলে। অস্ট্রেলিয়া অনেক বড় দেশ। তারা আঞ্চলিক বাণিজ্য বিষয় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সালেহউদ্দিন বলেছেন আঞ্চলিক বাণিজ্য বেশি প্রয়োজন। অস্ট্রেলিয়া এনার্জি ও অ্যাগ্রিকালচার খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার সাথে আমাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ আছে।

সাংবাদিকদের বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ কমে গেছে কিনা এরূপ প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেছেন বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ ঠিক ছিল। একেবারে কমে আসেনি। তবে এগুলোর ব্যবহার নিয়ে বহু প্রশ্ন আছে।

পাকিস্তানে নতুন পররাষ্ট্রসচিব নিয়োগ

Asia Monitor18 পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে ফরেন সার্ভিসের কর্মকর্তা আমনা বালুচ। বর্তমানে আমনা বালুচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে পাকিস্তানের রাষ্ট্র দূতের দায়িত্বে আছেন। ইইউতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসাবে যোগদানের পূর্বে মালয়েশিয়ায়ে পাকিস্তানের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আমনা বালুচ। পররাষ্ট্র সচিব পদে তিনি মুহাম্মদ সাইরাস সাজ্জাদ কাজীর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।

আমনা বালুচ ইতিহাসে স্নাকত্তর ডিগ্রী লাভ করেছে। ১৯৯১ সালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রও দপ্তরের চাকরিতে যোগ দেন। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে তার নতুন দায়িত্ব শুরু হবে। তিনি চীনের চেংদুতে কনস্যুল জেনারেল,  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং শ্রীলংকার কলম্বোতে মিনিস্টার কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিবেশে পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব অন্যতম। আরও নানা জটিল পরিস্থিতির চাপ রয়েছে যেমন ভারতের সঙ্গে বৈরিতা, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট এবং , কাশ্মির ইস্যুসহ আরও নানা কারণ।

ভারতের সেভেন সিস্টার্সের ৬০ কিলোমিটার চীনের দখলে 

ভারতীয় ভূখন্ডের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে চিনা সেনাবাহিনী, এমনটাই জানিয়েছে অরুণাচলের বাসিন্দারা, প্রায় ৬০ কিলোমিটার দখল করেছে চীনাবাহিনী। স্থানীয়দের দাবী অন্ধ্রের অন্জ জেলায় চীনা সেনার ক্যাম্প দেখা গেছে। অন্জ জেলার কাপাকু এলাকায় চীনা সেনার খোঁজ পাওয়া গেছে। ইন্ডিয়া টু ডের একটি প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে যে সপ্তাহখানেক আগে থেকেই নাকি সেখানে ঘাঁটি গেড়েছে চীনা সেনা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও একই কথা জানানো হয়েছে।
চীনা ক্যাম্পটি ম্যাকমোহন লাইন থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে হাদিগ্রা পাসের কাছে অবস্থিত। উল্লেখ্য এই অন্জ জেলার চাকলাগাম এলাকা থেকেই দু-বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যায় দুই ভারতীয়, তারা লাইন অফ এ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC) বাসিন্দা ছিল।চিনা সীমান্তবর্তী এলাকায় ঔষধি গাছের খোঁজে গিয়েই হারিয়ে যায় তারা। স্থানীয়দের দাবী চিনের পিপলস্ লিবারেশন আর্মিদের কাছে বন্দী আছে তারা।ভারতীয় সেনাদের কাছে বারবার নিখোঁজদের খোঁজ চেয়েও কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
অন্জর বিধায়ক তথা নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী দাসাংলু পুরল সেই সময় বলেছিলেন, চীন এখনো সরাসরি স্বীকার করেনি দুই যুবক তাদের হেফাজতে কিনা,তবে আমাকে বলা হয়েছে বেঁচে আছেন তারা। তবে অন্জতে প্রবেশ এখোনো চীনের চরফ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। দুই ভাই ছাড়াও চানের সীমান্ত থেকে নিখোঁজ হয়েছে বহু ভারতীয় । ২০২০ সালে সুবালসিঁড়ি জেলা থেকে নিখোঁজ হয় পাঁচ যুবক। এক সপ্তাহ চীনা সেনার হাতে বন্দী থাকার পড়ে ঘরে ফেরে তারা ,২০২২ সালেও এক কিশোর প্রায় ৯ দিন পর ঘরে ফেরে চীনা সেনার হাত থেকে।পাশাপাশি এই বারই প্রথমবার নয়, এর আগেও ভারতীয় ভূখন্ডে চীনা সেনার অনুপ্রবেশের খবর প্রকাশ্য়ে এসেছে।

২০১৯ সালে চীন অরুণাচল সীমান্তে আমাকো ক্যাম্পের কাছে দৈমরু নালার ওপর কাঠের অস্থায়ী ব্রিজ বানিয়েছিল। ২০২০ সালেও ঢুকে পড়েছিল চিন বাহিনী।

তবে বারবার চিনের এই অনুপ্রবেশ এর খবর মোদী সরকারের তৃতীয় দফার প্রধানমন্ত্রীত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।তবে এককসংখ্যাগরিষ্ঠতায় ভোট না পাওয়ায় বারবার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধির প্রশ্নবানের মুখোমুখি হচ্ছেন মোদী সরকার।

‘MIGA’, ‘ISA’ সাব-সাহারান আফ্রিকায় সৌর শক্তি বৃদ্ধির জন্য সৌর সুবিধা চালু করেছে

মাল্টিল্যাটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সি (MIGA) এবং ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স (ISA) সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সৌর শক্তি প্রকল্প শুরু করেছে যা সাব-সাহারান আফ্রিকার সৌর শক্তি অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়ক হবে। এই নতুন সৌর সুবিধাটি অঞ্চলের শক্তি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন প্রচারের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

এই উদ্যোগটি সাব-সাহারান আফ্রিকার সৌর শক্তি প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেয়, একটি অঞ্চল যেখানে প্রচুর সূর্যালোক রয়েছে কিন্তু নির্ভরযোগ্য বিদ্যুতের প্রবাহ সীমিত। MIGA-এর রাজনৈতিক ঝুঁকি বীমা প্রদান করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা এবং ISA-এর সৌর শক্তি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যবহার করে, প্রকল্পটি পাবলিক এবং প্রাইভেট উভয় ধরনের বিনিয়োগকে সৌর শক্তি প্রকল্পে আকর্ষণ করার লক্ষ্য রাখে।

এই সুবিধাটি সৌর শক্তি প্লান্টের উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণকে সহায়তা করবে, যেমন উচ্চ প্রাথমিক খরচ এবং নিয়ন্ত্রক চ্যালেঞ্জের মতো সাধারণ বাধাগুলি কাটিয়ে উঠতে আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে।শক্তি উৎপাদনের পাশাপাশি, এই উদ্যোগটি বেকারত্ব কমাতে এবং অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।এই সহযোগিতা বৈশ্বিক শক্তি সমস্যাগুলি মোকাবিলায় এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলি (SDGs) অগ্রগতিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বকে তুলে ধরে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির দিকে বিশেষভাবে সৌরশক্তি প্রতি মনোযোগ দিয়ে, প্রকল্পটি দারিদ্র্য মোকাবিলা এবং কার্বন নির্গমন কমানোর পাশাপাশি পরিবেশগত টেকসইতা প্রচারে অবদান রাখবে।

সার্বিকভাবে, ‘MIGA-ISA’ সৌর সুবিধাটি সাব-সাহারান আফ্রিকার সৌর সম্ভাবনা কাজে লাগানোর, শক্তি নিরাপত্তা উন্নত করার এবং বিশ্বের অন্যতম শক্তি চ্যালেঞ্জপূর্ণ অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন উৎসাহিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে প্রতিস্থাপন করে।

মার্কিন-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে মালয়েশিয়া সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়

মালয়েশিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান প্রতিযোগিতার মাঝে একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। চীনকে একটি প্রধান অর্থনৈতিক সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করার পাশাপাশি, মালয়েশিয়া দক্ষিণ চীন সাগরের সীমান্ত বিরোধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের উন্নতির ক্ষেত্রে একটি সাবধানী মনোভাব অবলম্বন করছে। এটি একটি কৌশলগত নীতি যা মালয়েশিয়াকে দুই প্রধান শক্তির সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে, তবে এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাজি, কারণ বড় শক্তিগুলি এই অবস্থানে সন্তুষ্ট নাও থাকতে পারে।

চীনের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি:

জুন মাসে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং মালয়েশিয়া সফর করেন এবং একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার মধ্যে একটি পাঁচ বছরের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা চুক্তির পুনর্নবীকরণ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

লি এবং আনোয়ার পূর্ব উপকূল রেল লিঙ্ক (ECRL) এর একটি ট্রেন স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।

মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক লাভ:

চীন ২০০৯ সাল থেকে মালয়েশিয়ার শীর্ষ বাণিজ্যিক পার্টনার। মালয়েশিয়া ডিজিটাল অর্থনীতি, আবাসন এবং শহুরে উন্নয়ন, ট্রান্সন্যাশনাল অপরাধ মোকাবেলা, উচ্চ শিক্ষা, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে চীনের সাথে চুক্তি করেছে। মালয়েশিয়া সম্প্রতি ‘BRICS’ ব্লকের সদস্য হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যেখানে চীন একটি মূল সদস্য।

দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তেজনা:

চীন দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরো অংশের দাবি করে, যদিও ২০১৬ সালের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল এই দাবিগুলিকে আইনগতভাবে ভিত্তিহীন ঘোষণা করেছে। মালয়েশিয়া আগের সরকারে চীনের দাবিকে “অবিচারপূর্ণ” বলে অভিহিত করেছিল, তবে বর্তমান সরকার এই বিষয়টি নিয়ে কম আলোচনা করছে।

যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রতিযোগিতা:

২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র চীনে উন্নত সেমিকন্ডাক্টর চিপের রপ্তানি নিষিদ্ধ করে, যা চীনের উচ্চ প্রযুক্তির সামরিক সিস্টেম তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। এতে মালয়েশিয়ার চীনে সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্র-মালয়েশিয়া সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।

আনোয়ার ইব্রাহিম যুক্তরাষ্ট্রের চাপের প্রতি সংবেদনশীল নন এবং তিনি জানিয়েছেন যে মালয়েশিয়া সব দেশের সাথে বাণিজ্য করবে।

জার্মান নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করবে কি না, তা নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন!

জার্মান যুদ্ধজাহাজগুলির ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে উপস্থিতি ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে । বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরের মতো বিতর্কিত এলাকায় তাদের সম্ভাব্য চলাচলের বিষয়ে। দুটি জার্মান নৌযানের বিরল মোতায়েন, যার মধ্যে ফ্রিগেট ‘FGS Baden’-‘Württemberg’ সহ একটি রিফুয়েলমেন্ট জাহাজ ।

টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে রিয়ার অ্যাডমিরাল অ্যাক্সেল শুলজ জোর দিয়েছিলেন যে মিশনের লক্ষ্য একটি নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা। এই মোতায়েন ২০০২ সালের পর জার্মানির প্রথম বড় সামুদ্রিক অভিযান হিসেবে চিহ্নিত, যা বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক নিরাপত্তায় এর বাড়তি ভূমিকা তুলে ধরে।

দক্ষিণ চীন সাগর, একটি কৌশলগত জলপথ যা সম্পদে সমৃদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক শিপিংয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বিশেষ করে চীন থেকে, যা এই অঞ্চলের উপর ব্যাপক সার্বভৌমত্বের দাবি করে। জার্মান নৌবাহিনীর তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রমের সম্ভাবনা একটি আলোচনার বিষয় ।

চীন দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালীতে যেকোন বিদেশী নৌ কার্যকলাপকে উত্তেজক হিসাবে দেখে,আন্তর্জাতিক বিরোধ সত্ত্বেও এই জলপথের উপর নিয়ন্ত্রণ দাবি করে।চীনের ক্রমবর্ধমান সামুদ্রিক দৃঢ়তাকে প্রতিহত করার জন্য বৃহত্তর পশ্চিমা কৌশলগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এবং সংঘাত রোধ করতে মিত্র ও অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা করার জার্মানির অভিপ্রায়ের উপর জোর দেয়।

যদিও জার্মান যুদ্ধজাহাজের সঠিক পথ অনিশ্চিত, তাদের মিশনটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে উন্মুক্ত সমুদ্রপথ বজায় রাখা।

মধ্যরাতে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান গ্রেপ্তার

সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানকে বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া।

আজ শুক্রবার গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি জানান, শাজাহান খানের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন শাজাহান খান। তিনি প্রথমবার ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে পরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ, ভিয়েতনামের থেকে পিছিয়ে পড়ল ভারত?

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত এক দশকে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশটির পণ্য ও পরিষেবার বাণিজ্য হ্রাস পাচ্ছে।

ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বর্ধনশীল হলেও, সেটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ব বাণিজ্যে দেশটির অংশীদারিত্ব বাড়েনি। বরং স্বল্প খরচে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে পিছিয়ে পড়ছে ভারত।

তথ্য অনুযায়ী, পোশাক, চামড়া, টেক্সটাইল ও ফুটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে ২০০২ সালে ভারতের হার ছিল দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশে।

কিন্তু বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশে। বিপরীতে, ২০২২ সালে এই পণ্যগুলোর বৈশ্বিক রপ্তানিতে বাংলাদেশের হার ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।

পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে, রপ্তানি বাড়াতে এবং চীন শ্রমঘন উৎপাদন থেকে সরে আসার সুবিধা নেওয়ার জন্য ভারতকে বাণিজ্যের খরচ কমানোর পাশাপাশি শুল্ক ও অ-শুল্ক বাধা কমাতে হবে এবং বাণিজ্য চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ নোরা দিহেল নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে ভারত মনোযোগ দিতে পারে।‘

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য, ভারতকে একটি উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করা। ইলেকট্রনিক্স এবং চিপ তৈরির মতো শিল্পে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে মোদির সরকার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিয়েছে।

ইউক্রেনের পার্লামেন্ট মন্ত্রিসভা রদবদলে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আন্দ্রি সিবিহাকে নিয়োগ করেছে

ইউক্রেনের পার্লামেন্ট, ভেরখোভনা রাডা, বৃহস্পতিবার অ্যান্ড্রি সিবিহাকে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছে। এই পদক্ষেপটি রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রশাসনের একটি বড় পরিবর্তনের অংশ। সিবিহা ২৫৮ ভোটে নির্বাচিত হন, যা তার নিয়োগের ব্যাপারে সুস্পষ্ট সমর্থন প্রদর্শন করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের আগে, সিবিহা ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির অফিসের ডেপুটি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই ভূমিকার মাধ্যমে তিনি কূটনৈতিক এবং কৌশলগত বিষয়ে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তার পটভূমি তাকে ইউক্রেনের জটিল পররাষ্ট্রনীতি সমস্যাগুলি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত করেছে।

জেলেনস্কি প্রশাসন এই পরিবর্তনটি করার মাধ্যমে নতুন শক্তি এবং কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি আনতে চাইছেন। রাশিয়ার সাথে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে, সিবিহার নিয়োগের মাধ্যমে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতিতে নতুন দিশা দেওয়া হতে পারে। সরকারে এই পরিবর্তনটি একটি বড় ধরনের পুনর্গঠনের অংশ, যা বর্তমান রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন ও কূটনৈতিক কৌশল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সিবিহার নতুন দায়িত্বের মাধ্যমে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৌশলগত নেতৃত্ব দেওয়া প্রত্যাশিত। এই নিয়োগ ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও প্রভাবিত করতে পারে।

সিবিহার নিয়োগ জনমত এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে, নির্ভর করে কতটা কার্যকরভাবে তিনি পররাষ্ট্র সম্পর্ক পরিচালনা করতে পারেন এবং যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে পারেন।

জেলেনস্কি তার নির্বাচনের পর ইউক্রেনের প্রশাসনিক সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছেন, যার মধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং রাষ্ট্রযন্ত্র আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টা রয়েছে। সিবিহার নিয়োগ এই বৃহত্তর সংস্কার পরিকল্পনার অংশ।

error: Content is protected !!