Daily Archives: September 24, 2024

 ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজারের সুবিধা প্রদান চীনের

Asia Monitor18 চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত ৫ সেপ্টেম্বর গঠিত হওয়া চীন-আফ্রিকান শীর্ষ সম্মেলনে আফ্রিকার ৩৩টি দেশ সমেত স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ যেগুলোর সাথে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে সেগুলিকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

স্বল্পোন্নত দেশ বাংলাদেশকে  চলতি বছরের শেষ মাস অর্থাৎ আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ট্যারিফ কোটা ব্যবস্থাপনার আওতাধীন সব রকমের পণ্য রপ্তানিতে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা প্রাপ্ত করবে। কোটার পরিমাণ অতিক্রম করা পণ্যের ক্ষেত্রে মূল শুল্ক হার প্রযোজ্য হবে।

বাংলাদেশের একক বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার ছিল চীন ২০২২-২৩ অর্থবছরে। ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণের মধ্যে বাংলাদেশ  ৬০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং অবশিষ্টাংশ করেছে চীন।

২০২০ সালে ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়। আবার ২০২২ সালে চীন বাংলাদেশি পণ্যের উপর শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয় ৯৮ শতাংশ।যেখানে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ ৩৮৩টি নতুন পণ্য ছিল।

চীন বিশ্বের ২৯টি অংশী দেশের সঙ্গে ২২টি এফটিএ চুক্তি করেছে। এর মধ্যে উন্নয়নশীল ও উন্নত দুই ধরনের দেশই বর্তমান।  

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, এলডিসি থেকে কোনো দেশের উত্তরণ ঘটলে সেই দেশ আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় না। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আরো তিন বছর ওই সুবিধা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১ ডিসেম্বর। পুনরায় ওই একই দিনে চীন বাংলাদেশের জন্য এই বাণিজ্য সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে।

বাইডেনকে রূপোর তৈরি ট্রেনের মডেল উপহার দিলেন মোদী

Asia Monitor18 প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ফের একবার আমেরিকা সফরে যান তিনি। তিন দিনের সফরে যান এবং সেখানে কোয়াড সম্মেলনে যোগদান করেন তিনি। ২০২৪ সালের অর্থাৎ চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমান। বিশ্বের ক্ষমতাশালী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে দেখা হলেই তাঁদের কিছু না কিছু উপহার দেন মোদী। তাই এবারেও প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে রুপোর কারুকার্য করা স্টিম ইঞ্জিন চালিত ট্রেনের মডেল এবং তার স্ত্রী তথা আমেরিকার ফার্স্ট লেডি জিলকে পশমিনা শাল উপহার দিয়েছেন তিনি।

জিলকে দেওয়া এই পশমিনা শাল বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। ঐতিহ্যবাহী ও কারুকার্যমণ্ডিত একটি বাক্সে ওই শালটি রাখা ছিল যেটি হস্তশিল্পীদের দ্বারা তৈরি। শালকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলার উদ্দেশ্যে গাছপালা ও খনিজ থেকে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করে থাকেন তারা। বরফে ঢাকা হিমালয়ের উপত্যকায় লাদাখের চাংথাঙ্গি ছাগলদের অবাধে বিচরণ করতে দেখা যায়। এবং ওই ছাগলের গায়ের লোম বা পশম থেকে পশমিনা কথাটির উৎপত্তি।

উপহার দেওয়া ট্রেনটি রূপোর তৈরি। সূক্ষ্ম কারুকার্য তার উপর। ট্রেনটির গায়ে লেখা ‘দিল্লি-ডেলাওয়্যার’। যদিও পাশে হিন্দি ভাষায়ও লেখা রয়েছে। অন্য পাশে ইংরেজিতে লেখা, ‘ইন্ডিয়ান রেলওয়ে’। ট্রেনটিতে ব্যবহিত রুপার পরিমাণ ৯২.৫ শতাংশ। এটি তৈরি করেছেন মহারাষ্ট্রের শিল্পীরা।

error: Content is protected !!