Daily Archives: September 23, 2024

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

দূষণ স্কোর ২১৫ নিয়ে বিশ্বে বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশের ঢাকা। যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২১৩ স্কোর। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।

এ ছাড়া একই সময়ে একিউআই স্কোর ১৮৬ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। ১৭৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৬০ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা এবং ১৪২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

ঢাকায় গত জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারিতে মোট নয় দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আইকিউএয়ার নিয়মিত দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

বিশ্বের ১২০টি শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান আজ শীর্ষে। সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে ঢাকার অবস্থান ছিল ২৭৮। বাতাসের এ মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই অনুযায়ী, ঢাকার পরে অবস্থানে পাকিস্তানের লাহোর, যার স্কোর ১৭৭। ১৬৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দিল্লি।

ঢাকায় গত জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারিতে মোট নয় দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আইকিউএয়ার নিয়মিত দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের ও ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক’ বলা হয়।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

আগামী মাসেই বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করতে চায় নেপাল

বাংলাদেশ শিগগিরই নেপাল থেকে ভারতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য নেপাল ও ভারতের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তবে বাংলাদেশ ও ভারত কেউই এখন পর্যন্ত চুক্তির দিন-তারিখ নিশ্চিত করেনি বলে জানিয়েছেন নেপালের বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ এবং সেচ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চিরঞ্জীবি চাতাউত।

৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেয় নেপাল। আর এই বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি। যদি চুক্তি হয় তাহলে নেপালের বিদ্যুৎ ভারতের সঞ্চালন লাইন হয়ে বাংলাদেশে আসবে।

পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। আবাসিক সমন্বয়কারী বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও জোরদার এবং বিস্তৃত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিবের দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক নতুন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান। পররাষ্ট্রসচিব এ বছর বাংলাদেশ-জাতিসংঘ অংশীদারিত্বের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গোয়েনকে অভিনন্দন জানান এবং স্বাধীনতার প্রথম দিন থেকে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় সহায়তার জন্য জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের জন্য জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক (ইউএনএসডিসিএফ) ২০২২-২০২৬-এর গুরত্ব তুলে ধরেন।

সচিব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনগুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায়। উভয়পক্ষ মানবাধিকার, আইনের শাসন, সুশাসন এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে তাদের মতামত বিনিময় করেন।

আইএমএফ থেকে নতুন ঋণের পরিকল্পনা, থাকবে নতুন শর্তও

আজ সোমবার ঢাকায় আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পাঁচ সদস্যের একটি মিশন।আগামীকাল মঙ্গলবার সংস্থাটির একটি প্রতিনিধিদল সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক শুরু করবে। এসব বৈঠকে বাংলাদেশে আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনার পাশাপাশি নতুন ঋণ অনুমোদন নিয়েও আলোচনা হবে।

আইএমএফের সঙ্গে এবারের বৈঠকে কর আদায় বৃদ্ধি, কম ঋণ গ্রহণ ও ভর্তুকি কমানো—এ তিনটিই হচ্ছে মূল আলোচ্য বিষয়। তবে সংস্থাটি অন্তর্বর্তী সরকারকে গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির চাপও দিতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে গতকাল রোববার এমন আভাস পাওয়া গেছে।

মূল বৈঠক শুরুর আগে গতকাল ঢাকায় সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে গেছেন বাংলাদেশে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আইএমএফ আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। বড় বাজেট সহায়তা দেয় তারা। তাদের একটি মিশন আসছে, যাদের সঙ্গে বসব।’

সংস্থাটির কাছ থেকে চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির বাইরে আরও ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহেমদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আগেও কথা বলেছেন। বাড়তি ঋণের জন্য আলাদা প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে কি না, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আলাদাই হবে। এর বাইরে আইএমএফের মিশন নিয়ে কিছু বলেননি অর্থ উপদেষ্টা।

আগামী ২১ থেকে ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হবে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। ওই সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ বাংলাদেশের একটি দল যোগ দেওয়ার কথা। জানা গেছে, বহুজাতিক সংস্থাটির ওই সভার ফাঁকে ফাঁকে আইএমএফের সঙ্গে সাইডলাইন বৈঠকে ঋণ কর্মসূচির আকার বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হবে। পরের মাসে, অর্থাৎ নভেম্বরে বাংলাদেশ আইএমএফের আরেকটি দল আসবে। তবে সেটি আসবে চলমান ঋণ কর্মসূচির তৃতীয় পর্যালোচনা বৈঠক করতে।

আইএমএফ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর দুই দিন পরই ঋণের প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে আসে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। চলতি বছরের জুনে তৃতীয় কিস্তিতে ছাড় হয় ১১৫ কোটি ডলার। তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিশ্রুত ঋণের মধ্যে আর বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার, যা ২০২৬ সালের মধ্যে আরও চার কিস্তিতে পাওয়ার কথা।

error: Content is protected !!