Daily Archives: September 20, 2024

ভয়াবহ এক খাদ্য সঙ্কটের সম্মুখে কিউবা

Asia Monitor18 কিউবাকে বিশ্বের চিনির বাটি বলা হয়। এখন সেই চিনি মেশানো জল খেয়েই দিন কাটছে কিউবার বাসিন্দাদের। খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে কিউবাতে। বেশ কিছু বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার সাথে লড়াই করেছে কিউবা সরকার। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য কিউবা সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেছে। ১৯৬২ সালে যুক্তরাষ্ট্র কিউবার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তা আরও জোরালও হয়ে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার ফলস্বরূপ কিউবা নিত্যপন্য আমদানিতে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে খাদ্য সঙ্কট প্রবল আকার ধারণ করেছে। ভতুর্কি দেওয়া রেশনের খাবার না থাকলে অধিকাংশ কিউবানকে না খেয়ে দিন কাটাতে হত। সরকারি সিদ্ধান্তের ফলে ইতিমধ্যে রেশনের দেওয়া রুটির আকার ছোট করা হয়েছে। রুটির ওজন ৮০ গ্রাম থেকে ৬০ গ্রাম  করা হয়েছে।একজন মানুষের হাতের তালুর চেয়েও ছোট করা হয়েছে রুটির আকার। চাল, তেল ও কফি প্রায় দুষ্প্রাপ্য।

সরকারি তথ্যানুসারে, কিউবাতে প্রতি মাসে রুটি উৎপাদনের জন্য ৩ হাজার ৩০০ টন গমের প্রয়োজন হয়। সেখানে গত জুলাই ও আগস্ট মাসে দেশটি এই চাহিদার প্রায় এক- তৃতীয়াংশ জোগাড় করেছে। এই মাসের জন্য গম জোগাড় হয়েছে মাত্র ৬০০ টন। কিউবায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে অব্যাহতভাবে। এঁর ফলে দেশটির প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার পুষ্টি চাহিদা পূরণ অসাধ্য হয়ে পড়েছে।

গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে লড়ছে কিউবা। একজন মানুষের মাসিক গড় আয় মাত্র ৪২ ডলার মানে প্রায় ৫ হাজার ৪০ টাকা।

 নেতানিয়াহুকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইসরায়েলিকে নিয়োগ ইরানের

Asia Monitor18 এক ইসরায়েলই নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যাকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সহ শীর্ষ ইসরায়েলই কর্মকর্তাদের হত্যার পরিকল্পনার জন্য ইরান নিয়োগ করেছিল। দেশটির পুলিশ এবং শিন বেট ( অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা) এই তথ্য জানিয়েছে। নিয়োগ করা সেই ইসরায়েলই ব্যক্তিকে দুবার ইরানে পাচার করা হয়েছিল।

ওই ব্যক্তির পরিচয় হিসেবে মর্দেখাই মামান নামের উল্লেখ পাওয়া গেছে। উনি আস্কালানের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তার জন্ম হয় ১৯৫২ সালে। এবং তাকে ২৯ শে আগস্ট আটক করা হয় বলে জানা গেছে। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ইরানে বসবাস করছেন এবং তুর্কি ও ইরানের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। তারাই তাকে ফোনের মাধ্যমে এডি নামক এক ইরানি ব্যবসায়ীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। সন্দেহভাজন

এই ব্যক্তি প্রথমবার ২০২৪ সালের মে মাসে এডির সাথে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশ্যে ইরানে যান। তিনি সেখানে হাজ্জা নামক একজনের সাথে দেখা করেন যিনি সেখানকার নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। ওই সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ইসরাইলে নিরাপত্তা মিশনের জন্য অনুররোধ করা হয়। যার মধ্যে ‘অর্থ বা অস্ত্র স্থানান্তর করা’ জনাকীর্ণ স্থানের ছবি তোলা এবং তেহরানের নিয়োগকৃত অন্য ইসরায়েলিদের হুমকি দেওয়া অন্তর্ভুক্ত ছিল।

দ্বিতীয়বার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে একটি লরির মাধ্যমে ইরানে পাচার করা হয়েছিল সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে। সেখানে গিয়ে তিনি কিছু ইরানি গোয়েন্দা এজেন্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তারা তাকে ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের  অনুরোধ করেন, যেখানে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা  ছিল। এছাড়াও তাকে অন্য কিছু কাজও করতে বলা হয়েছিল।

প্রায় এক দশক পর ভোট জম্মু ও কাশ্মীরে

Asia Monitor18 এক দশক পর প্রথম আঞ্চলিক নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে। এটিই বিধানসভার প্রথম নির্বাচন  ২০১৪ সালের পর থেকে এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর। ২০১৯ সালে বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সময় রাজ্যটিকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামের দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়।  জম্মু ও কাশ্মীর এই প্রথম কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে নির্বাচন হতে দেখছে।

অঞ্চলটির ৯০ আসনের বিধানসভার এ নির্বাচন তিন পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৪টি আসনে বুধবার প্রথম পর্বে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এই আসনগুলির মধ্যে ১৬টি কাশ্মীর উপত্যকায় ও আটটি জম্মুর। দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ২৬ টি আসনে ২৫শে সেপ্টেম্বর এবং ৪০ টি আসনে ১লা অক্টোবর শেষ ভোট গ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনের সমাপ্তি ঘটবে। ৮ই অক্টোবর ভোট গণনা করে ওইদিনই ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৯০ লাখ। ভারতের নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে বুধবার প্রথম পর্বের ভোট স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়ার পর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে। জঙ্গি এলাকাগুলি যেমন পুলওয়ামা, অনন্তনাগ এরকম বহু অঞ্চলে ভোটদানের হার যথেষ্ট ভালো। জনগণ আগ্রহী হয়ে বুথমুখি হয়েছে ভোট দেওয়ার জন্য।

১৯৪৭ সালে ভারতে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত ১২ টি বিধানসভা ভোট হয়েছে। গত কিছুদিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ভারতীয় সেনা সদস্যসহ বেশ কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদীও নিহত হয়েছে। তাই কড়া নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।

এবারের নির্বাচনের বড় বৈশিষ্ট্য হলো, কাশ্মীরের অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাও এই ভোটে অংশ নিচ্ছেন।

error: Content is protected !!