Asia Monitor18 কিউবাকে বিশ্বের চিনির বাটি বলা হয়। এখন সেই চিনি মেশানো জল খেয়েই দিন কাটছে কিউবার বাসিন্দাদের। খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে কিউবাতে। বেশ কিছু বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার সাথে লড়াই করেছে কিউবা সরকার। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য কিউবা সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেছে। ১৯৬২ সালে যুক্তরাষ্ট্র কিউবার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর তা আরও জোরালও হয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার ফলস্বরূপ কিউবা নিত্যপন্য আমদানিতে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে খাদ্য সঙ্কট প্রবল আকার ধারণ করেছে। ভতুর্কি দেওয়া রেশনের খাবার না থাকলে অধিকাংশ কিউবানকে না খেয়ে দিন কাটাতে হত। সরকারি সিদ্ধান্তের ফলে ইতিমধ্যে রেশনের দেওয়া রুটির আকার ছোট করা হয়েছে। রুটির ওজন ৮০ গ্রাম থেকে ৬০ গ্রাম করা হয়েছে।একজন মানুষের হাতের তালুর চেয়েও ছোট করা হয়েছে রুটির আকার। চাল, তেল ও কফি প্রায় দুষ্প্রাপ্য।
সরকারি তথ্যানুসারে, কিউবাতে প্রতি মাসে রুটি উৎপাদনের জন্য ৩ হাজার ৩০০ টন গমের প্রয়োজন হয়। সেখানে গত জুলাই ও আগস্ট মাসে দেশটি এই চাহিদার প্রায় এক- তৃতীয়াংশ জোগাড় করেছে। এই মাসের জন্য গম জোগাড় হয়েছে মাত্র ৬০০ টন। কিউবায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে অব্যাহতভাবে। এঁর ফলে দেশটির প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার পুষ্টি চাহিদা পূরণ অসাধ্য হয়ে পড়েছে।
গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে লড়ছে কিউবা। একজন মানুষের মাসিক গড় আয় মাত্র ৪২ ডলার মানে প্রায় ৫ হাজার ৪০ টাকা।