Daily Archives: September 14, 2024

আন্দামান নিকবোর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানীর নাম পরিবর্তন

Asia Monitor18 আন্দামান ও নিকবোর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার। আন্দামান ও নিকবোর দ্বীপপুঞ্জের প্রবেশ পথ এই পোর্ট ব্লেয়ার। এই বন্দর শহরটির নামকরণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ঔপনিবেশিক নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন আর্চিবল্ড ব্লেয়ারের নামে। ভারত সরকার বর্তমানে এই পোর্ট ব্লেয়ারের নাম পরিবর্তন করে ‘শ্রী বিজয় পুরম’ করেছে। জাতিকে ঔপনিবেশিক ছাপ থেকে মুক্ত করতে এরূপ পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নয়া দিল্লি।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি পোস্টে বলেছেন,  শ্রী বিজয় পুরম আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অর্জিত বিজয়ের প্রতীক। কিন্তু ‘আগের নামটিতে  একটি ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার ছিল। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ইতিহাসের পাতায় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এক অন্যন্য স্থানে আছে। তিনি বলেছেন ঔপনিবেশিক চিহ্ন মুছে ফেলার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ মোদী সরকারের।

এছাড়াও তিনি বলেছেন সুভাষচন্দ্র বসু এখানের আকাশে ভারতের প্রথম পতাকা উড়িয়েছিলেন। বীর সাভারকার ও সেলুলর জেলের কথাও বলেছিলেন। এই জেলে অনেক স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বন্দি ছিলেন। কুখ্যাত এই জেল ভারতের জাতীয় স্মৃতি স্থাপনা।

২০১৮ সালে নরেন্দ্র মোদী আন্দামান সফরে গিয়ে সেখানকার তিনটি জায়গার নাম বদল করেন। হ্যাভলক আইল্যান্ডের নাম বদলে স্বরাজ দ্বীপ, নীল আইল্যান্ডের বদলে শহীদ দ্বীপ এবং রস আইল্যান্ডের বদলে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু দ্বীপ। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি ভবনের নাম বদলে অমৃত উদ্যান রাখা হয়েছে। গত কয়েক বছরে বহু জায়গার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে এবং নরেন্দ্র মোদী ২০২৩ সালে ২১ টি নামবিহীন দ্বীপের নামকরণ করেছেন পরম বীর পুরষ্কার প্রাপ্তদের নামে। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান, রেল ষ্টেশন আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেন তিনি।

পোর্ট ব্লেয়ার( শ্রী বিজয় পুরম) প্রায় ৫০০ টিরও বেশি আদিম দ্বীপের প্রবেশদ্বার। বর্তমানে এটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।  

প্রথমবারের জন্য পরমাণু কর্মসূচির ছবি প্রকাশ্যে আনল উত্তর কোরিয়া

Asia Monitor18 উত্তর কোরিয়া একনায়ক শাসিত দেশ। উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল বা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার ভেতরের ছবি দেখালেন গোটা বিশ্বকে। উত্তর কোরিয়ার নাম শুনলেই আমাদের চোখে এক গোপনীয়তার দৃশ্য ভেসে ওঠে। একটু কিছু ভুল হলেই সেখানে প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু সাধারণ মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

শুক্রবার অস্ত্র তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেন কিম। তিনি সেখানে কর্মরত মানুষের সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করছিলেন। কারখানাটিতে বিভিন্ন অস্ত্র সুসজ্জিত রয়েছে। ধাতব সেন্ত্রিফিউজের লম্বা সারির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে কিম। এই যন্ত্র গুলির ব্যবহৃত হয় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজে।উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রমের উপর জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। উত্তর কোরিয়া পশ্চিমি দেশগুলিকে আজীবনকাল তাচ্ছিল্য করে এসেছে। বিশেষ করে আমেরিকাকে। তিনি যে এই দেশগুলিকে গ্রাহ্য করেন না তার বার্তা দেওয়ার জন্যই মাঝে মাঝে ক্ষেপণাস্ত্রের বিবিধ পরীক্ষা করেন।

গত মঙ্গলবার কিম জানিয়েছিলেন, ‘আমরা দ্রুত পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা বাড়াতে চাই’। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিয়ে এরূপ ঘোষণা। স্বৈরাচারী শাসক হিসেবে বেশ খারাপ নাম আছে কিমের। অনেকে অভিযোগ করেছেন সেখানে নাকি ইন্টারনেট পরিষেবাও রাষ্ট্রের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।উত্তর কোরিয়ার কাছে কতগুলো পারমাণবিক অস্ত্র আছে তা না জানলেও এক হিসাবের মাধ্যমে এই সংখ্যা ৫০ টিতে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও আরও ৪০ টি উপাদান আছে অস্ত্র তৈরির জন্য।

অন্যদিকে আবার দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের জ্বালানি উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা করেছে।

error: Content is protected !!