Asia Monitor18 ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপে ভ্রমণের জন্য গিয়েছিলেন। পরে ভ্রমণ শেষ করে ফেরার পর নরেন্দ্র মোদী ভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই দ্বীপটির কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে। এই ছবি শেয়ার করার পরেই মালদ্বীপের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক তুমুল আলোচনা- সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
দেশটিতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রিসভার সদস্যরাও এর মধ্যে জড়িয়ে পড়েন। ভারতীয় পর্যটকরা যেন মালদ্বীপের পরিবর্তে লাক্ষাদ্বীপকে নিজেদের পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বেছে নেন—ছবির মাধ্যমে মোদী সেই বার্তাই দিয়েছেন বলে অভিযোগ তাদের।
এছাড়াও মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণাত্মক কথা বলেন এবং তাকে ‘ক্লাউন’ বলে উল্লেখ করেন। তাদের এরূপ মন্তব্যের জন্য গত জানুয়ারি মাসে তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এই তিনজন হল মারিয়াম শিউনা, মালসা শরিফ ও মাহজুম মজিদ। তাদের মধ্যে মারিয়াম ও মালসা মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। তবে মাহজুম মাজিদ এখনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি। কিন্তু তাদের এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতে ভারতীয়রাও সরব হয়ে ওঠে। পর্যটন গন্তব্য হিসেবে মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেন ভারতীয়রা।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন এক্স, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপে ‘বয়কটমালদ্বীপ’ হ্যাশট্যাগে চারিদিক ছড়িয়ে গেছে। বিশ্বের যেসব দেশ থেকে পর্যটকরা মালদ্বীপে যেতেন, তাদের অর্ধেকই ছিলেন ভারতীয়। কিন্তু মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেওয়ার পর চলতি বছর থেকে দেশটিতে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে যায়। ফলে মালদ্বীপের অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব বর্তমান।