Daily Archives: September 10, 2024

ইউক্রেনের আরও একটি শহর দখলের দাবি রাশিয়ার

Asia Monitor18 আরও একটি শহর হারাল ইউক্রেন। রাশিয়া দাবি জানিয়েছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে নভোরোদিভকা শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার। এছাড়াও তারা শহরটির অদূরে পোকরোভস্ক নগরীর দিকে রুশ বাহিনীর অগ্রসর হওয়ার কথা বলেছে। ইউক্রেনীয় সেনাদের জন্য এ শহরটি  ওই এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ একটি রেল ও সড়ক পরিবহণ কেন্দ্র।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, পোকরোভস্ক নগরী থেকে ১২ কিলোমিটার (৭ মাইল) দূরের নভোরোদিভকা শহর দখল করেছে রুশ বাহিনী। নভোরোদিভকা-সহ পোকরোভস্ক সেক্টরে লড়াইয়ের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ। যুদ্ধের আগে নভোরোদিভকা শহরের জনসংখ্যা ছিল ১৪,০০০।

ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ দাবি করেছেন রাশিয়ার অগ্রগতির ২৯ টি চেষ্টা প্রতিহত করা হয়েছে। রুশ বাহিনী পোকরোভস্ক থেকে ৭ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অন্তত দুটি স্থানে হামলা চালাচ্ছে বলে একটি মানচিত্র প্রকাশ করে ইউক্রেইন বংশদ্ভুত প্রভাবশালী রুশপন্থি সামরিক ব্লগার ইউরি পোদোলিয়াকা দেখিয়েছেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হয়েছে। তাপর থেকেই হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। লাখ লাখ ইউক্রেনীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বহু গ্রাম ও নগরী।

রুশ বাহিনীর লক্ষ্য গোটা দনবাস অঞ্চল দখল করা। যেটি  আয়তনে প্রায় যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও রাজ্যের অর্ধেক। যুদ্ধের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ইউক্রেইনের এক পঞ্চমাংশ দখল করেছে রুশ বাহিনী।

বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ বদলের দাবি  

Asia Monitor18 বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেক পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে সংবিধান বদলানোর সাথে সাথে জাতীয় সঙ্গীত বদলানোর দাবি করা হচ্ছে। ইসলামি কট্টরপন্থীরা দাবি করছে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বদলানোর। রবীন্দ্রনাথের লেখা সঙ্গীতকে বাদ দিয়ে অন্য কোন গানকে তারা জাতীয় সঙ্গীত করার দাবি জানাচ্ছে।

বাংলাদেশ এবং ভারত এই দুই দেশেরই জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই লেখা। এতদিন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গাওয়া হত ‘আমার সোনার বাংলা’। আমার সোনার বাংলা গানটি ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখেন। জাতীয় সঙ্গীত বদলানোর বিষয় সম্পর্কে প্রথম দাবি করেন বাংলাদেশ সেনার প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আজমি। তার মতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয়। এই গানের সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার কোন মিল নেই বলে তার মতামত। এই গান কিছুতেই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হতে পারে না বলে তিনি জানিয়েছেন।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের সরিয়ে দিয়েছে তেমনই বহু উগ্রপন্থীদের মুক্তি দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের এই দাবি মানা হবে না। অনেকে এই দাবির সমর্থনে আবার অনেকেই বিপক্ষে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে এই গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত রূপে বেছে নেন শেখ মুজিবর রহমান। তবে তার মৃত্যুর পর একের বেশি বার এই গান পরিবর্তনের দাবি উঠেছে।

ওপার বাংলার এক বিখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিন এই বিষয় আপত্তি জানিয়ে লিখেছেন, জাতীয় সঙ্গীত ছাড়া আমাদের দেশে গর্ব করার আর বেশি কিছু পাই না আমি। প্যারিসে যখন ছিলাম ফরাসি বন্ধুদের বলতাম তোমাদের জাতীয় সঙ্গীত লা মারসেইয়েজ এ কেবল রক্ত নেওয়া আর খুনোখুনির কথা আছে কিন্তু আমাদের জাতীয় সংগীতে ভালোবাসার কথা আছে।

বিদেশি শিক্ষার্থীর আগমন হ্রাস পেয়েছে কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ায়

Asia Monitor18 বহু শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য অন্যতম জনপ্রিয় জায়গাগুলি হল কানাডা, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। যদিও এর নানাবিধ কারণও আছে। তবে হটাত করে এই তিনটি দেশে কমতে শুরু করেছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা। শিক্ষা সঙ্ক্রান্ত পোর্টালগুলির তরফ থেকে একথা জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই আগমনের অবনতির অন্যতম কারণ এই দেশগুলির দেশের অভিবাসন নীতিমালা। এই অভিবাসন নীতিমালাই কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার আকর্ষণ কমার মূল কারণ।

 শিক্ষা পোর্টালগুলোর গবেষণার শিরোনাম ছিলঃ ‘জয়ী ও পরাজিত: যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ নীতিগুলো কীভাবে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করেছে’। প্রকাশিত গবেষণায় দেখানো হয়েছে, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে অন-ক্যাম্পাস ব্যাচেলর ও মাস্টার প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এ বছরের জানুয়ারিতে খুব তাড়াতাড়ি করে বাড়ছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে এই শিক্ষার্থী বাড়ার প্রবণতা কিছুটা কমেছে, বিশেষত কানাডায় তীব্রভাবে কমেছে। মার্চে কিছুটা স্থিতিশীল হলেও পরে আবার তা কমতে শুরু করে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সামগ্রিক প্রবণতা ছিল নিম্ন অর্থাৎ কম।

এই সময়  অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আর্ন্তজাতিক শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বা জনপ্রিয়তা যুক্তরাজ্য বা কানাডার তুলনায় অনেক কম ছিল। ২০২৪ সালে প্রথম সপ্তাহের তুলনায় এ বছরের ২১ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ২৫ দশমিক ১ শতাংশ ও কানাডায় ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী হ্রাস পেয়েছে।

কানাডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শীর্ষ পাঁচ দেশের শিক্ষার্থীর আগমন কমেছে যার মধ্যে বিশেষভাবে রয়েছে ভারত এবং ইরান। যুক্তরাজ্যেও নাইজেরিয়া থেকে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।

 অর্থাৎ যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

error: Content is protected !!