Daily Archives: September 6, 2024

‘MIGA’, ‘ISA’ সাব-সাহারান আফ্রিকায় সৌর শক্তি বৃদ্ধির জন্য সৌর সুবিধা চালু করেছে

মাল্টিল্যাটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সি (MIGA) এবং ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স (ISA) সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সৌর শক্তি প্রকল্প শুরু করেছে যা সাব-সাহারান আফ্রিকার সৌর শক্তি অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়ক হবে। এই নতুন সৌর সুবিধাটি অঞ্চলের শক্তি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন প্রচারের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

এই উদ্যোগটি সাব-সাহারান আফ্রিকার সৌর শক্তি প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেয়, একটি অঞ্চল যেখানে প্রচুর সূর্যালোক রয়েছে কিন্তু নির্ভরযোগ্য বিদ্যুতের প্রবাহ সীমিত। MIGA-এর রাজনৈতিক ঝুঁকি বীমা প্রদান করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা এবং ISA-এর সৌর শক্তি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যবহার করে, প্রকল্পটি পাবলিক এবং প্রাইভেট উভয় ধরনের বিনিয়োগকে সৌর শক্তি প্রকল্পে আকর্ষণ করার লক্ষ্য রাখে।

এই সুবিধাটি সৌর শক্তি প্লান্টের উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণকে সহায়তা করবে, যেমন উচ্চ প্রাথমিক খরচ এবং নিয়ন্ত্রক চ্যালেঞ্জের মতো সাধারণ বাধাগুলি কাটিয়ে উঠতে আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে।শক্তি উৎপাদনের পাশাপাশি, এই উদ্যোগটি বেকারত্ব কমাতে এবং অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।এই সহযোগিতা বৈশ্বিক শক্তি সমস্যাগুলি মোকাবিলায় এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলি (SDGs) অগ্রগতিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বকে তুলে ধরে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির দিকে বিশেষভাবে সৌরশক্তি প্রতি মনোযোগ দিয়ে, প্রকল্পটি দারিদ্র্য মোকাবিলা এবং কার্বন নির্গমন কমানোর পাশাপাশি পরিবেশগত টেকসইতা প্রচারে অবদান রাখবে।

সার্বিকভাবে, ‘MIGA-ISA’ সৌর সুবিধাটি সাব-সাহারান আফ্রিকার সৌর সম্ভাবনা কাজে লাগানোর, শক্তি নিরাপত্তা উন্নত করার এবং বিশ্বের অন্যতম শক্তি চ্যালেঞ্জপূর্ণ অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন উৎসাহিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে প্রতিস্থাপন করে।

মার্কিন-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে মালয়েশিয়া সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়

মালয়েশিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান প্রতিযোগিতার মাঝে একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। চীনকে একটি প্রধান অর্থনৈতিক সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করার পাশাপাশি, মালয়েশিয়া দক্ষিণ চীন সাগরের সীমান্ত বিরোধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের উন্নতির ক্ষেত্রে একটি সাবধানী মনোভাব অবলম্বন করছে। এটি একটি কৌশলগত নীতি যা মালয়েশিয়াকে দুই প্রধান শক্তির সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে, তবে এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাজি, কারণ বড় শক্তিগুলি এই অবস্থানে সন্তুষ্ট নাও থাকতে পারে।

চীনের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি:

জুন মাসে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং মালয়েশিয়া সফর করেন এবং একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার মধ্যে একটি পাঁচ বছরের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা চুক্তির পুনর্নবীকরণ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

লি এবং আনোয়ার পূর্ব উপকূল রেল লিঙ্ক (ECRL) এর একটি ট্রেন স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।

মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক লাভ:

চীন ২০০৯ সাল থেকে মালয়েশিয়ার শীর্ষ বাণিজ্যিক পার্টনার। মালয়েশিয়া ডিজিটাল অর্থনীতি, আবাসন এবং শহুরে উন্নয়ন, ট্রান্সন্যাশনাল অপরাধ মোকাবেলা, উচ্চ শিক্ষা, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে চীনের সাথে চুক্তি করেছে। মালয়েশিয়া সম্প্রতি ‘BRICS’ ব্লকের সদস্য হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যেখানে চীন একটি মূল সদস্য।

দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তেজনা:

চীন দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরো অংশের দাবি করে, যদিও ২০১৬ সালের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল এই দাবিগুলিকে আইনগতভাবে ভিত্তিহীন ঘোষণা করেছে। মালয়েশিয়া আগের সরকারে চীনের দাবিকে “অবিচারপূর্ণ” বলে অভিহিত করেছিল, তবে বর্তমান সরকার এই বিষয়টি নিয়ে কম আলোচনা করছে।

যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রতিযোগিতা:

২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র চীনে উন্নত সেমিকন্ডাক্টর চিপের রপ্তানি নিষিদ্ধ করে, যা চীনের উচ্চ প্রযুক্তির সামরিক সিস্টেম তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। এতে মালয়েশিয়ার চীনে সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্র-মালয়েশিয়া সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।

আনোয়ার ইব্রাহিম যুক্তরাষ্ট্রের চাপের প্রতি সংবেদনশীল নন এবং তিনি জানিয়েছেন যে মালয়েশিয়া সব দেশের সাথে বাণিজ্য করবে।

জার্মান নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করবে কি না, তা নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন!

জার্মান যুদ্ধজাহাজগুলির ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে উপস্থিতি ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে । বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরের মতো বিতর্কিত এলাকায় তাদের সম্ভাব্য চলাচলের বিষয়ে। দুটি জার্মান নৌযানের বিরল মোতায়েন, যার মধ্যে ফ্রিগেট ‘FGS Baden’-‘Württemberg’ সহ একটি রিফুয়েলমেন্ট জাহাজ ।

টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে রিয়ার অ্যাডমিরাল অ্যাক্সেল শুলজ জোর দিয়েছিলেন যে মিশনের লক্ষ্য একটি নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা। এই মোতায়েন ২০০২ সালের পর জার্মানির প্রথম বড় সামুদ্রিক অভিযান হিসেবে চিহ্নিত, যা বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক নিরাপত্তায় এর বাড়তি ভূমিকা তুলে ধরে।

দক্ষিণ চীন সাগর, একটি কৌশলগত জলপথ যা সম্পদে সমৃদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক শিপিংয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বিশেষ করে চীন থেকে, যা এই অঞ্চলের উপর ব্যাপক সার্বভৌমত্বের দাবি করে। জার্মান নৌবাহিনীর তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রমের সম্ভাবনা একটি আলোচনার বিষয় ।

চীন দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালীতে যেকোন বিদেশী নৌ কার্যকলাপকে উত্তেজক হিসাবে দেখে,আন্তর্জাতিক বিরোধ সত্ত্বেও এই জলপথের উপর নিয়ন্ত্রণ দাবি করে।চীনের ক্রমবর্ধমান সামুদ্রিক দৃঢ়তাকে প্রতিহত করার জন্য বৃহত্তর পশ্চিমা কৌশলগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এবং সংঘাত রোধ করতে মিত্র ও অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা করার জার্মানির অভিপ্রায়ের উপর জোর দেয়।

যদিও জার্মান যুদ্ধজাহাজের সঠিক পথ অনিশ্চিত, তাদের মিশনটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে উন্মুক্ত সমুদ্রপথ বজায় রাখা।

মধ্যরাতে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান গ্রেপ্তার

সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানকে বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া।

আজ শুক্রবার গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি জানান, শাজাহান খানের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন শাজাহান খান। তিনি প্রথমবার ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে পরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ, ভিয়েতনামের থেকে পিছিয়ে পড়ল ভারত?

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত এক দশকে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশটির পণ্য ও পরিষেবার বাণিজ্য হ্রাস পাচ্ছে।

ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বর্ধনশীল হলেও, সেটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ব বাণিজ্যে দেশটির অংশীদারিত্ব বাড়েনি। বরং স্বল্প খরচে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে পিছিয়ে পড়ছে ভারত।

তথ্য অনুযায়ী, পোশাক, চামড়া, টেক্সটাইল ও ফুটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে ২০০২ সালে ভারতের হার ছিল দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশে।

কিন্তু বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশে। বিপরীতে, ২০২২ সালে এই পণ্যগুলোর বৈশ্বিক রপ্তানিতে বাংলাদেশের হার ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।

পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে, রপ্তানি বাড়াতে এবং চীন শ্রমঘন উৎপাদন থেকে সরে আসার সুবিধা নেওয়ার জন্য ভারতকে বাণিজ্যের খরচ কমানোর পাশাপাশি শুল্ক ও অ-শুল্ক বাধা কমাতে হবে এবং বাণিজ্য চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ নোরা দিহেল নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে ভারত মনোযোগ দিতে পারে।‘

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য, ভারতকে একটি উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করা। ইলেকট্রনিক্স এবং চিপ তৈরির মতো শিল্পে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে মোদির সরকার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিয়েছে।

ইউক্রেনের পার্লামেন্ট মন্ত্রিসভা রদবদলে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আন্দ্রি সিবিহাকে নিয়োগ করেছে

ইউক্রেনের পার্লামেন্ট, ভেরখোভনা রাডা, বৃহস্পতিবার অ্যান্ড্রি সিবিহাকে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছে। এই পদক্ষেপটি রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রশাসনের একটি বড় পরিবর্তনের অংশ। সিবিহা ২৫৮ ভোটে নির্বাচিত হন, যা তার নিয়োগের ব্যাপারে সুস্পষ্ট সমর্থন প্রদর্শন করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের আগে, সিবিহা ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির অফিসের ডেপুটি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই ভূমিকার মাধ্যমে তিনি কূটনৈতিক এবং কৌশলগত বিষয়ে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তার পটভূমি তাকে ইউক্রেনের জটিল পররাষ্ট্রনীতি সমস্যাগুলি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত করেছে।

জেলেনস্কি প্রশাসন এই পরিবর্তনটি করার মাধ্যমে নতুন শক্তি এবং কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি আনতে চাইছেন। রাশিয়ার সাথে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে, সিবিহার নিয়োগের মাধ্যমে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতিতে নতুন দিশা দেওয়া হতে পারে। সরকারে এই পরিবর্তনটি একটি বড় ধরনের পুনর্গঠনের অংশ, যা বর্তমান রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন ও কূটনৈতিক কৌশল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সিবিহার নতুন দায়িত্বের মাধ্যমে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৌশলগত নেতৃত্ব দেওয়া প্রত্যাশিত। এই নিয়োগ ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও প্রভাবিত করতে পারে।

সিবিহার নিয়োগ জনমত এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে, নির্ভর করে কতটা কার্যকরভাবে তিনি পররাষ্ট্র সম্পর্ক পরিচালনা করতে পারেন এবং যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে পারেন।

জেলেনস্কি তার নির্বাচনের পর ইউক্রেনের প্রশাসনিক সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছেন, যার মধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং রাষ্ট্রযন্ত্র আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টা রয়েছে। সিবিহার নিয়োগ এই বৃহত্তর সংস্কার পরিকল্পনার অংশ।

নিউজিল্যান্ডে মাওরিদের নতুন রানি

Asia Monitor18 নিউজিল্যান্ডের মাওরি জাতিগোষ্ঠী নতুন রানি পেয়েছে। নিউজিল্যান্ডের মাওরি জাতিগোষ্ঠীর রাজা তুহেইশিয়ার মৃত্যু হয় গত শুক্রবার। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। রাজার মৃত্যুর ফলে সিংহাসন ফাঁকা পড়ে থাকে ফলে নতুন উত্তরাধিকারী নির্বাচন করা হয়েছে। তবে কে তাতে আসীন হবে তা নিয়ে জল্পনা হয়েছে।

রাজা তুহেইশিয়ার মৃত্যুর পর তার মেয়ে এনগা ওয়াই হোনো ই তে পো- কে নতুন রানি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মাওরি গোষ্ঠীর জনজাতির প্রধানদের কাউন্সিলরা নতুন রানিকে নির্বাচন করেন। মৃত রাজার মেয়ের বয়স ২৭ বছর।

ঐতিহ্য অনুসারে ছেলেরা সিংহাসনে বসে কিন্তু সব প্রথা ভেঙে অবশেষে সিংহাসনের জন্য বেছে নেওয়া হল রাজার ছোট সন্তান তার কন্যাকে। রাজার দুই ছেলেও আছে। তাদের মধ্যেই কেউ একজন সিংহাসনে বসবেন বলে আন্দাজ করা হয়েছিল।

মাওরি রাজতন্ত্র চলমান ১৯ শতক থেকে চলমান। মাওরিদের রাজা বা রানির হাতে কোন আইনি ক্ষমতা নেই। এই পদটি কেবল আলংকারিক। তবুও এই পদটির একটি প্রভাব সহ এটি সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব। এর আগেও একজন মহিলা মাওরিদের রানি ছিলেন। তিনি ছিলেন ওয়াই –এর ঠাকুমা এবং প্রথম রানি। ওয়াই হলেন মাওরিদের দ্বিতীয় রানি। ২০০৬ সালে তার ঠাকুমা মারা যান।

ওয়াইকে রানি হিসেবে বেছে নেওয়ার পর তাকে নিয়ে আসা হয় এবং কাঠের সিংহাসনে এনে বসানো হয়। রানির মাথায় পাতার মুকুট পড়ান হয় এবং তার গলায় ছিল তিমির হাড়ের নেকলেস।  

নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যার মধ্যে ১৭ শতাংশ হলেন মাওরি। তাদের মধ্যে দারিদ্রতা অনেক বেশি। অন্যদের তুলনায় মাওরিরা সাত বছর কম বাঁচেন। তারা বেশিরভাগ ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এবং আত্মহত্যার দ্বারা আক্রান্ত হন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাল তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ সহ ২১ টি দেশ

 Asia Monitor18 যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত তথ্যে মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে মার্কিন নাগরিকদের ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ সহ ২১ টি দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের লাল তালিকায় রাখা হয়েছে। ২১ টি দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সর্বচ্চ পর্যায়ের ভ্রমণ সতর্কতা তথা চতুর্থ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বেসামরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছেন।

আওয়ামী লিগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের চাপে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ থেকে চলে যান। মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করে আরও বলা হয় যে এখন আগাম সতর্কতা না দিয়েই সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে। তাই মার্কিন নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কেউ এই ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিতে যাতে ভ্রমণ না করে তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এই দেশগুলোতে বিশেষ করে পর্যটন গন্তব্য, বাস, ট্রেন, বাজার, শপিংমল, ধর্মীয় স্থান, স্কুল,কলেজ প্রভৃতি স্থানে হামলা হতে পারে। যদি একান্ত কারোর ভ্রমণ অতি প্রয়োজনিয়তা থাকে তবে সে যেন বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে।

বাংলাদেশ ছাড়াও আরও যেসব দেশগুলি আছে সেগুলি হল আফগানিস্তান, বেলারুশ, বুরনিকা ফাসো, মিয়ানমার, ইরাক,লিবিয়া, মালি, উত্তর কোরিয়া, হাইতি, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, রাশিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, ইউক্রেন, ভেনেজুয়েলা, ইয়েমেন,সুদান,ইরান,লেবানন।

 দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদ ‘ইস্তিকলাল’ পরিদর্শন পোপ ফ্রান্সিসের

Asia Monitor18 চরমপন্থা ও অসহিস্নুতার মোকাবিলা করতে ধর্মীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি একথাই জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর সাথে সাক্ষাৎ করার পর। পোপ বলেছেন একটি শান্তিপূর্ণ ও ফলপ্রসূ সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আন্তঃধর্মীয় সংলাপ জোরদার করতে চায় চার্চ।

পোপ ফ্রান্সিস এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের চার দেশের সফরের অংশ হিসেবে এখন বিশ্বের সবচেয়ে মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়ায় আছেন। এরপর তিনি পাপুয়া নিউগিনি, পূর্ব তিমুর ও সিঙ্গাপুর যাবেন। শেষ ১৯৮৯ সালে পোপ দ্বিতীয় জন পল ইন্দোনেশিয়ার সফর করেছিলেন। বর্তমানে তৃতীয় পোপ হিসেবে ৮৭ বছর বয়সে পোপ ফ্রান্সিস ইন্দোনেশিয়া সফরে গিয়েছেন।

তিনি ইন্দোনেশিয়ার সফরে গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদ ‘ইস্তিকলাল’ পরিদর্শন ও সেখানে বিভিন্ন ধর্ম নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন। একই দিনে পোপ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জারকাতার একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে হাজারো মানুষের এক সমাবেশে যোগ দেবেন।সেখানে প্রায় ৮০ হাজারেও মানুষ উপস্থিত থাকবে। মসজিদ পরিদর্শন এবং ফুটবল স্টেডিয়ামে যোগদান এই দুটি সফরের প্রধান কর্মসূচী।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট উইডোডোও বলেছেন ভ্যাটিকানের সাথে মিলে ইন্দোনেশিয়া একটি ক্রমবর্ধমান অশান্ত বিশ্বের মধ্যে স্বাধীনতা ও সহনশীলতা ছড়িয়ে দিতে চায়।

২০২০ সালে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে ইন্দোনেশিয়া সরকার ‘ইস্তিকলাল’ মসজিদের সঙ্গে আওয়ার ‘লেডি অব দ্য আজাম্পশন’ ক্যাথেড্রালের সংযোগ স্থাপন করে ‘টানেল অব ফ্রেন্ডশিপ’ সুড়ঙ্গের মাধ্যমে। যা ২৮ দশমিক ৩ মিটার দীর্ঘ।  

ইন্দোনেশিয়া মোট ছয়টি ধর্মকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি দেয়। সেগুলি হল ইসলাম, খ্রিষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, প্রতেস্ত্যান্ত ও কনফুসিয়ানিস্ম।

ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ৮০ লাখ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান বসবাস করে যা মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশেরও কম। মুসলমানের সংখ্যা ২৪ কোটি ২০ লাখ যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭ শতাংশ।

error: Content is protected !!