Daily Archives: September 1, 2024

দীর্ঘ  অপেক্ষার পর উন্মুক্ত সুন্দরবনে প্রবেশ

Asia Monitor18 অপেক্ষার অবসান দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলে দেওয়া হল সুন্দরবন। গতকাল শনিবার রাত ১২ টার পর সুন্দরবনে প্রবেশ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার সকালেই জেলেরা সুন্দরবনে সবাই দলযোগে  নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছে। বন বিভাগের কাছ থেকে বৈধ পাশ পারমিট সঙ্গে নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করছে পর্যটক, মৎস্যজীবী, এবং বনজীবীরা। ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়েছে। তিন মাস ১ জুন থেকে ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা থাকে।  

জুন, জুলাই এবং আগস্ট মাস মৎস্য প্রজজনের জন্য উপযুক্ত মৌসুম। এই সময় সাধারণত মাছেরা ডিম ছাড়ে এবং বন্যপ্রাণীদের ও প্রজনন মৌসুম তাই সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী এবং মৎস্য সম্পদ রক্ষার উদ্দেশ্যে ইনটিগ্রেটেড রিসোর্সেস  ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্স (আইআরএমপি ) এর সুপারিশ অনুসারে ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর এই তিনমাস প্রবেশ নিষেধ থাকে।  

বিশ্ব ঐতিহ্যময় এলাকা সহ ২৫ ফুটের কম প্রশস্ত সব খালে সারাবছর মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি গ্রামের জেলে দুলাল সহ আরও কিছু জেলেরা জানায় যে ৩০-৪০ বছর ধরে বংশ পরম্পরায় তারা মাছসহ বনজ সম্পদ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এবং তারা জানায় এই তিনমাস এই নিষেধাজ্ঞার জন্য তারা বহু কষ্টে জীবনযাপন করে।

পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, এই তিন মাস বন্ধের সময় বনের বিভিন্ন প্রান্তে জমে থাকা ময়লা, আবর্জনা, পরিষ্কার করে সুন্দরবনকে আবার নতুন করে সাজানো হয়। ছবি কর্নার, উঁচু ওয়াচ টাওয়ার, ঝুলন্ত ব্রিজসহ নানা স্থাপনা নতুনভাবে সংস্কার করে সাজানো হয়।

জাপানে তাণ্ডব টাইফুন শানশানের

Asia Monitor18 টাইফুন শানশানের প্রভাবে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। জাপানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় কিউশু দ্বীপের সাতসুমা সেন্দাই শহরের উপর দিয়ে স্থলে উঠে এসেছে এই টাইফুন শানশান। স্থানীয় সময় সকালে এই টাইফুন দমকা হাওয়া সহ ঘণ্টায় সর্বচ্চ ২৫২ কিলোমিটার বেগে তাণ্ডব দেখিয়েছে। এই টাইফুনের প্রভাবে বৃহৎ একটি এলাকাজুড়ে মুষলধারে বৃষ্টির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র থেকে শত কিলোমিটার দূরে ভূমিধ্বস এবং বন্যা সতর্কতা জারি করেছে।

 শানশান জাপানে গত কয়েক দশকের মধ্যে আঘাত হানা অন্যতম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। দেশটির দক্ষিণাঞ্চল থেকে লাখ লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ হয়েছে। শানশানের কারণে প্রায় ৩৫ হাজাররের ও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। দেশটির বিভিন্ন বিমানবন্দরে প্রায় সাতশরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। হণ্ডা, নিশানের মত বড় বড় গাড়ি কোম্পানিগুলি তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। কিছু বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। রেল চলাচল ও কলকারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে।

উপকূলীয় শহর মিয়াজাকিতে ২০০ টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও সেখানে প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে। কাগশিমা ও মিয়াজাকিতে ৫০ টিরও বেশি সুপারমার্কেট এবং ৯০০ টিরও বেশি সুবিধার দোকান বন্ধ করা হয়েছে সাময়িকভাবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানায়।

আজ রবিবার শানশান আরও দুর্বল হয়ে ক্রান্তীয় নিম্নচাপে রূপান্তরিত হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে তবে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হয়েছে।

চারদফা দাবিতে বন্ধের ঘোষণা চিকিৎসকদের

Asia Monitor18 ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে  চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিষপানে অসুস্থ হয়ে আসা এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে  চিকিৎসককে মারধর করা হয় এবং সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রাতে আবার  ১২ টার পর হাসপাতালের স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ঢুকে কম্পিউটার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে এবং সাথে চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়া হয়। অবহেলার অভিযোগ তোলা হয় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।  

অন্যদিকে, রাতেই খিলগাঁও থেকে আহত হয়ে এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন এবং সেই আহত যুবককে কেন্দ্র করে হাসপাতালে আসা দুই গ্রুপের মারামারির ও  একে অপরকে কোপানোর ঘটনাও ঘটে। এইসব কারণে জরুরি বিভাগে রাতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এইসব নানাবিধ কারণে চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপর তিনবার হামলা করা হয়। এই কারণে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রাতেই ধর্মঘট শুরু করে এবং রবিবার সকাল থেকে সব চিকিৎসকরা একযোগে কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

কর্মবিরতির ফলস্বরূপ হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ডের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই কর্মবিরতির ফলে দূরদুরান্ত থেকে আসা রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চারদফা দাবিতে এই বন্ধের ঘোষণা হয়। এই কর্মসূচীকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বলা হয়েছে। চার দফা দাবি হলো—

১. হাসপাতালের মতো জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে যেসব ব্যক্তি বা কুচক্রী মহল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের চিহ্নিত করা এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করা। দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে তাঁদের শাস্তির আওতায় আনা।

২. নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যে অবিলম্বে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য পুলিশের (আমর্ড ফোর্স) মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।।

৩. নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালে রোগীর ভিজিটর  ছাড়া বহিরাগত কাউকে কোনোভাবেই ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়া। বিষয়টি স্বাস্থ্য পুলিশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা।

৪. হাসপাতালে রোগীর সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো অবহেলা-অসংগতি পরিলক্ষিত হলে, তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ আকারে জানানো। এভাবে শাস্তি নিশ্চিত করা যেতে পারে, কিন্তু কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।

error: Content is protected !!