Asia Monitor18 অপেক্ষার অবসান দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলে দেওয়া হল সুন্দরবন। গতকাল শনিবার রাত ১২ টার পর সুন্দরবনে প্রবেশ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার সকালেই জেলেরা সুন্দরবনে সবাই দলযোগে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছে। বন বিভাগের কাছ থেকে বৈধ পাশ পারমিট সঙ্গে নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করছে পর্যটক, মৎস্যজীবী, এবং বনজীবীরা। ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়েছে। তিন মাস ১ জুন থেকে ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা থাকে।
জুন, জুলাই এবং আগস্ট মাস মৎস্য প্রজজনের জন্য উপযুক্ত মৌসুম। এই সময় সাধারণত মাছেরা ডিম ছাড়ে এবং বন্যপ্রাণীদের ও প্রজনন মৌসুম তাই সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী এবং মৎস্য সম্পদ রক্ষার উদ্দেশ্যে ইনটিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্স (আইআরএমপি ) এর সুপারিশ অনুসারে ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর এই তিনমাস প্রবেশ নিষেধ থাকে।
বিশ্ব ঐতিহ্যময় এলাকা সহ ২৫ ফুটের কম প্রশস্ত সব খালে সারাবছর মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি গ্রামের জেলে দুলাল সহ আরও কিছু জেলেরা জানায় যে ৩০-৪০ বছর ধরে বংশ পরম্পরায় তারা মাছসহ বনজ সম্পদ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এবং তারা জানায় এই তিনমাস এই নিষেধাজ্ঞার জন্য তারা বহু কষ্টে জীবনযাপন করে।
পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, এই তিন মাস বন্ধের সময় বনের বিভিন্ন প্রান্তে জমে থাকা ময়লা, আবর্জনা, পরিষ্কার করে সুন্দরবনকে আবার নতুন করে সাজানো হয়। ছবি কর্নার, উঁচু ওয়াচ টাওয়ার, ঝুলন্ত ব্রিজসহ নানা স্থাপনা নতুনভাবে সংস্কার করে সাজানো হয়।