Monthly Archives: August 2024

বৃষ্টির মধ্যেই স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান উপদেষ্টা। বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজান।পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে নিয়ে আবারও স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ড. ইউনূস স্মৃতিসৌধের দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছেন। ১০টার কিছু পরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা প্রথমে এককভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরে বাকি ১৩ উপদেষ্টাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই তাঁরা শ্রদ্ধা জানান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এ সময় ছাতা নিয়ে আসেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভকামনা জানালেন নরেন্দ্র মোদি

হাসিনার দেশত্যাগের তিন দিনের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হল বাংলাদেশে। গতকাল বাংলাদেশের বঙ্গভবনে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হল নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন ১৬ জন সদস্য।প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ায় তাঁকে শুভকামনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ নেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এই শুভকামনা জানান মোদি।

পাশাপাশি সেদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপরেও জোর দিয়েছেন। মোদি বলেন, ‘বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানাই, আমরা আশা করি খুব দ্রুত বাংলাদেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করা হবে।’

এদিন রাত ৯ টা নাগাদ বাংলাদেশের বঙ্গভবনের দরবার হলে মহম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি শাহবুদ্দিন। একই সঙ্গে ষোলো জন উপদেষ্টার মধ্যে ১৩ জন এদিনই শপথ নেন। টানা আন্দোলনের শেষে গত সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে আসেন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। তবে আগামীতে তাঁর গন্তব্য কী হবে তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জুড়ে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আক্রান্ত হন সংখ্যালঘু মানুষ। আওয়ামি লিগ নেতাকর্মীদের বাড়িও আক্রান্ত হয়। যদিও আন্দোলনরত ছাত্রদের পরামর্শ মেনেই মহম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করা হয়। আপাতত দেশে শান্তি ফেরানোর পাশাপাশি ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন করানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে ইউনূসের সামনে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানালো যুক্তরাষ্ট্র

হাসিনার দেশত্যাগের তিন দিনের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হল বাংলাদেশে। গতকাল বাংলাদেশের বঙ্গভবনে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হল নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন ১৬ জন সদস্য।

হাসিনার দেশত্যাগের তিন দিনের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হল বাংলাদেশে। সেই মতোই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে শপথ নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুস৷ গতকাল বাংলাদেশের বঙ্গভবনে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হল নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন ১৬ জন সদস্য।এর পরেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানায় আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে তারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

বৃহস্পতিবার মহম্মদ ইউনুসের শপথ গ্রহণের পরই আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিংসা বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন মহম্মদ ইউনুস৷ আমরা তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকার এবং মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সচেষ্ট। তাই আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং ইউনুসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত৷”

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধে ড. ইউনূসের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চায়। তাই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি।তিনি জানান, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার কূটনীতিক হেলেন লা ফাভে উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।এদিকে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, ইইউ বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের জটিল এ কাজে তাদের সহায়তা করা হবে। এ প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর ৬ আগস্ট বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এরপর ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে।

আমিরাত-সৌদি আরবে আশ্রয় খুঁজছেন শেখ হাসিনা

বুধবার দ্য হিন্দু ও টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে,গত ২৪ ঘণ্টা ধরে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার চূড়ান্ত গন্তব্য কোথায় হবে, সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের দরজা আপাতত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি এখন অন্যান্য বিকল্প খুঁজছেন।

ভারতের গণমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
যার ফলে তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবছেন।

দ্য হিন্দু আরও জানিয়েছে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু এটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। তবে তার পাসপোর্টে আগে থেকেই মার্কিন ভিসা লাগানো ছিল। তবে তিনি দেশ থেকে পালানোর পরই এটি বাতিল করে দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয় যেহেতু হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তাই তার এ ভিসাটি আর বৈধ থাকছে না।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বসবাস করেন হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। যদি হাসিনা দেশটিতে যেতে পারতেন তাহলে তিনি হয়তবা সজীবের বাসায় উঠতেন।

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, হাসিনা যদি বেশিদিন ভারতে থাকেন তাহলে এটি ভারতের জন্য বিব্রতকর হবে। কারণ বাংলাদেশের নতুন সরকার শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে ফেরত চাইতে পারে।

ঠিক এই কারণেই শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে এবং আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে ভারত আশ্রয় দেয়নি। -সূত্র: দ্য হিন্দু

শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল আমেরিকার ও ব্রিটেনের

গদিচ্যুত হয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। আপাতত দিল্লির সেফ হাউসে রয়েছেন তিনি। এখান থেকে ব্রিটেনে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু এখানেই বিপত্তি। তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে অস্বীকার করেছে ব্রিটেন। এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রভাব তাঁর রাজনৈতিক জীবনে পড়বে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ ছেড়ে প্রথমে ভারতেই পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা। আপাতত তাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে কিছু দিন তাকে সময় দেয়া হয়েছে বলে সর্বদলীয় বৈঠকে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি জানান, শেখ হাসিনার পরবর্তী পরিকল্পনা কী, তা তিনি ভারত সরকারকে জানালে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাজ্য আশ্রয় দেবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। কয়েকটি অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা ব্রিটেনে আশ্রয় চেয়েছেন। কিন্তু এখনো সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত পাননি।শেখ হাসিনা যে পদ্ধতিতে ব্রিটেনের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন, অভিবাসন আইন অনুযায়ী তা সম্ভব নয়। ওই পদ্ধতিতে কাউকে আশ্রয় দিতে পারে না ব্রিটেন। সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে এই তথ্য পেয়েছে ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি।

নেপালের আকাশে ফের দুর্ঘটনা,অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু

ফের দুর্ঘটনা নেপালের আকাশে।বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ এই কপ্টার দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।বুধবার দুপুরে নেপালের কাঠমান্ডু থেকে কপ্টারটি রওনা দিয়েছিল। গন্তব্য ছিল রসুয়া। তার মাঝে নুয়াকোট জেলার সূর্যচৌর এলাকায় পাহাড়ের সঙ্গে ওই কপ্টারের সংঘর্ষ হয়। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকার কারণে এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্তত পাঁচজনের।যান্ত্রিক ত্রুটির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এখনো উদ্ধার কাজ চলছে।

কিছু দিন আগে, ২৪ জুলাই নেপালে বিমান দুর্ঘটনা হয়েছিল। ত্রিভুবন বিমান বন্দর থেকে ওড়ার পরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল একটি ছোট বিমান। ওই মারাত্মক দুর্ঘটনায় ১৮ জন মারা গিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান, দিল্লির ‘মাথাব্যাথা’ নাকি ‘তুরুপের তাস’

শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে হবে বিচারের জন্য। অনেকটা হুংকারের সুরেই এমন বার্তা দিয়েছেন, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মেহবুব উদ্দিন খোকন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চেই আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তিনি সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেই, দেশের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ যেমন বদলেছে, তেমন ভারতীয় উপমহাদেশে কতগুলি জটিল প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশ্নটি দেখা দিয়েছে, মাত্র চার দিনে এমন কী খেলা হল, যার জন্য হাসিনার পায়ের তলা থেকে জমি সরে গেল অথচ তিনি আঁচও করতে পারলেন না?

অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী ডঃ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তদারকী সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই গঠন করা হচ্ছে তদারকী সরকারের সদস্যদের নাম। এই কর্মকাণ্ডে গুরু দায়িত্বে দেখা গিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে। তিনিও ছাত্রছাত্রীদের পাশে থেকে আশা প্রকাশ করেছেন,তদারকী সরকারের হাত ধরেই আগামী দিনে বাংলাদেশে নতুন নির্বাচন হবে এবং এক গণতান্ত্রিক কাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব হবে।

তদারকী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নাম ঘোষণার পরেই কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ডঃ মহম্মদ ইউনুস। তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে বার্তা দিয়েছেন, ভারত প্রতিবেশী দেশ এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমমর্যাদার সঙ্গে কাজ করতে চান। পাশাপাশি তিনি কিঞ্চিত আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশে অস্থীতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হলে, তার প্রভাব, পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতেও পড়বে।

বর্তমানে বাংলাদেশে সরকার না থাকায়, এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে, অবিলম্বে একটি সরকার গঠন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে ভারতও। কিন্তু দিল্লির কাছে কাঁটা হয়ে উঠছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে একটি ন্যারেটিভ সবচেয়ে জোরালো হয়ে দেখা দেয়, সেটি হল, নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে ভারত। এমনকী ২০২৪ সালের নির্বাচনেও এই বক্তব্য ভেসে ওঠে। যদিও ভারত স্পষ্টভাবে বার্তা দিয়েছিল, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এখানে দিল্লির কিছু করণীয় নেই। দিল্লি যাই বলুক, বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে বিরোধীদের তোলা বক্তব্যই ক্রমশ বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দুটি শক্তি ময়দানে না থাকায় কার্যত ফাঁকা মাঠেই গোল দেয় আওয়ামী লীগ। আর এই কর্মকাণ্ডের পিছনে পুরোপুরি ভারতের হাত রয়েছে, এমনই অভিযোগ তোলা হয়েছিল।

মাত্র সাত মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি আচমকাই যেন বিগড়ে গেল। শুধু বাংলাদেশেই নয়, অঙ্ক ক্রমশ জটিল হতে শুরু করল ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের। ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেনের অন্যতম প্রধান মুখ ডাঃ পিনাকী ভট্টাচার্য সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যে দেশ শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেবে, সেই দেশকে শত্রু মনে করবেন তাঁরা। তাঁদের বার্তা, শেখ হাসিনাসহ, তার সাগরেদদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার চালাতে হবে। এই দাবি, জামাত বা বিএনপির তরফে এখনও সেভাবে জোরালো ভাবে না উঠলেও, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি মেহবুব উদ্দিন খোকনের বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

সংবাদমাধ্যমগুলির রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমনকি ইউনাইটেড কিংডমে আশ্রয় নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন হাসিনা। কিন্তু দুই দেশই সেই আবেদন খারিজ করেছে। এখানেই একটা প্রশ্ন জোরালো হয়ে দেখা দিচ্ছে , এবার তাহলে কোথায় যাবেন শেখ হাসিনা? কোনও দেশ যদি হাসিনাকে আশ্রয় দিতে রাজি না হয়, তাহলে কি ভারতেই থাকবেন? ঘটনা হল, হাসিনা স্বল্প মেয়াদের জন্য ভারতে থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু পরিস্থিতি যদি যটিল হয়, তাহলে তাঁকে ভারতেই রাখতে হবে। কূটনৈতিক মহলের একটা অংশ মনে করছে, বর্তমানে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, ভারত বিরোধী জনমত এখনও যেভাবে ভেসে বেড়াচ্ছে, সেখানে শেখ হাসিনাকে দীর্ঘমেয়াদী ভাবে ভারতে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। বাংলাদেশে নতুন যারা ক্ষমতায় আসবে, তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে হাসিনা। তাহলে? তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেওয়া হয়, ঢাকার চাপ কমাতে হাসিনাকে যদি অন্য দেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করেও দেওয়া হয়, তাহলে কি শতবর্ষ প্রচীন ভারত বিরোধী তত্ত্ব এক লহমায় মুছে যাবে? নাকি এটা ভেবেই তারা আরও বেশি শক্তিশালী হবে, তাদের চাপেই মাথা নত করে দিল্লি হাসিনাকে দ্রুত বিদায় জানাতে পদক্ষেপ করেছে।

না রাজনীতির চিত্রনাট্য এখানেই শেষ নয়, বরং এর উল্টোপীঠও রয়েছে, হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে এক ঢিলে তিনটি পাখি মারতে পারে দিল্লি। এমনও তত্ত্ব উঠে আসছে কূটনৈতিকমহলে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশে এই নির্বাচিত (বিতর্ক রয়েছে) সরকারকে ফেলতে বড় খেলা খেলেছে আমেরিকা। আর একটি তত্ত্ব রয়েছে, এই খেলাতে সঙ্গত দিয়েছে চীন এবং পাকিস্তানের আইএসআই। এই পরিস্থিতিতে হাসিনার পাশে থাকা দিল্লির কাছে অগ্নিপরীক্ষার মতো। চীনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই, দলাই লামাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিল ভারত। তিনি এখনও শুধু ভারতে আছেন তাই নয়, এই একটি কারণে চীন এখনও কূটনৈতিক দিকে দিল্লির কাছে কিছুটা চাপে আছে।

কূটনৈতিক চাপে না পড়ে দিল্লির ভাবা উচিত, সাময়িক উঠে আসা সঙ্কটে নড়বড়ে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং সমস্যার মধ্যেই সমাধানের পথ খোঁজার। হাসিনাকে যদি ভারত দীর্ঘ মেয়াদী আশ্রয় দেয়, সেটা হবে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বড় গেম চেঞ্জার। আমেরিকাসহ পশ্চিমী দেশগুলিকে বার্তা দেওয়া যাবে, তাদের তৈরি করা সঙ্কটে ভীত নয় ভারত। পাশাপাশি ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির ক্ষেত্রেও বার্তা যাবে, যখনই কোনও দেশ সঙ্কটে পড়বে, তাদের জন্য সংকটমোচন হয়ে দাঁড়াবে ভারত। হাসিনার দুঃসময়ে যেভাবে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য নিজেদের রং বদলে নিয়েছে, কঠিন পরিস্থিতিতে ভারত কিন্তু সেই রং বদলায়নি।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পরেই, জামাত-শিবির, দুষ্কৃতীদের দাপটে, পুরোপুরি কোনঠাসা হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা লাগামছাড়া অত্যাচার চালানো হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম আঘাত হানা হচ্ছে। সেই অবস্থাতেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এই অবস্থায় শেখ হাসিনাকে ভারতে রেখেই পাল্টা একটা কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা যেতে পারে। যাতে আগামী দিনে বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে রূপদান করা যায়।

মনে রাখতে হবে, সময় ধারাবাহিকভাবে একই খাতে বয়ে চলে এমন ইতিহাস কোথাও নেই। বর্তমানে কঠিন পরিস্থিতি আছে, তা সময়ের সঙ্গে চলেও যাবে। কিন্তু বিশ্বের কাছে বার্তা দেওয়াটা জরুরি, ভারত মেরুদণ্ডহীন দেশ নয়।

হাসিনার দেশ ছাড়ার পরই,গণভবন জুড়ে চলল লুঠ!ভাঙা হল মুজিব স্মৃতি

কোটা সংস্কার আন্দোলনের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের তরফ থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবি তোলে। সোমবার হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়, এবং তার সাড়ে পনেরো বছরের রাজত্বের অবসান ঘটে। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েই নিজের দেশ থেকে পালিয়ে যান এবং বোন রেহানাকে নিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়।

শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার কিছু মুহূর্ত পড়েই উদ্বিগ্ন জনতা, হাসিনার গণভবন দখল করে।শয়ে শয়ে মানুষ গণভবনে ঢুকে ধংসলীলা চালায়।চালায় দেদার লুঠ, বাদ যায়নি কিছুই।হাসিনার পোশাক থেকে শুরু করে,ঘরের নানান আসবাবপত্র,ফ্রিজের খাবার,ছাগল,পুকুরের মাছ,হাঁস-মুরগি সমস্তটাই লুঠ করেছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমস্ত মূর্তি ভেঙে ফেলছে উত্তপ্ত জনতা এবং মুছে ফেলা হচ্ছে মুজিব স্মৃতি।কয়েকঘন্টার মধ্যেই সেই সমস্ত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে থাকে।

কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা যারা শুধুমাত্র বিজয়ের প্রত্যাশা নিয়ে বিক্ষোভ করেছিল তারা কি এই লুঠপাঠের বিষয়টিকে সমর্থন করেছে? কোনো শিক্ষিত সমাজের পক্ষে কি এই ঘৃণ্য কাজগুলি করা সম্ভব।এরাই সেই ভবিষ্যত প্রজন্ম যারা নতুন সোনার বাংলা গড়তে চায়।মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের কী কোনো মূল্যই নেই তাদের কাছে!

জামাত,বিএনপি বা অন্য রাজনৈতিক দলের যে এই সমস্ত ঘটনাগুলির সাথে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে তা স্পষ্ট।একটা দেশ যেখানে বর্তমানে না আছে কোনো আইন ব্যবস্থা আর না আছে কোনো পুলিশ বাহিনী! দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাও এখন প্রশ্নের মুখে।এবং এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ।

কোটা সংস্কার আন্দোলন এর ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই রক্তাক্ত হয়েছিল বাংলাদেশ।শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেছিলেন,যারা নাশকতা ছড়িয়েছে তারা ছাত্র নয়,তারা জঙ্গি। 

ইউক্রেনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মালি

Asia Monitor 18 পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি ইউক্রেইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেছে। গত মাসে আলজেরিয়ার সীমান্তের কাছে যুদ্ধে কিইভ ভূমিকা পালন করেছিল দাবি করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসভ গত সপ্তাহে জানিয়েছেন , বিদ্রোহীদের হামলা চালানোর জন্য ‘প্রয়োজনীয় তথ্য’দেওয়া হয়েছিল। ইউক্রেনকে মালির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে এবং সরকার দাবি শুনে হতবাক হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মালির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা কর্নেল আবদৌলায়ে মাইগা।

কর্নেল মাইগারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইউসভের মন্তব্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কাপুরুষোচিত, বিশ্বাসঘাতক এবং বর্বর আক্রমণে ইউক্রেইন জড়িত তা  স্বীকার করা হয়েছে, যে  হামলায় মালির সেনারা নিহত হয়েছে। তাই মালি তাৎক্ষণিকভাবে ইউক্রেইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপের কয়েক ডজন মালিয়ান সেনা এবং ভাড়াটে যোদ্ধা নিহত হয়েছে তুয়ারেগ বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদার সংশ্লিষ্ট যোদ্ধাদের সঙ্গে কয়েকদিনের সংঘর্ষের ফলে। এর আগে মালির সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, ২৫ জুলাই শুরু হওয়া লড়াইয়ে তারা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আলজেরিয়ার সীমান্তবর্তী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর টিনজাউয়াতেনের কাছে মরুভূমিতে এ সংঘর্ষ ঘটে। মালির সামরিক বাহিনী বা ওয়াগনার কেউই নিহতের সঠিক পরিসংখ্যান দেয়নি। তবে নিহত ওয়াগনার যোদ্ধাদের সংখ্যা ২০ থেকে ৮০–এর মধ্যে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সীমান্তে কারফিউ জারি মেঘালয়ের

Asia Monitor 18 বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশজুড়ে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্য তাদের আন্তর্জাতিক সীমান্তে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে।  মেঘালয় রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী প্রেস্টোন টাইনসং কারফিউ জারির ঘোষণা দেন গতকাল সোমবার। সোমবার রাত থেকে শুরু হয়েছে এই কারফিউ এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জারি থাকবে।

 মেঘালয় রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী প্রেস্টোন টাইনসং বলেছেন, ‘অস্থির পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তে রাত্রীকালীন কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ২০০ মিটারের মধ্যে কারফিউ কার্যকর থাকবে। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পাহারা  দেওয়ার জন্য ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের  ৯টি ব্যাটালিয়ন আছে। প্রয়োজনে সরকার সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর আরো সদস্য পাঠাবে। সেই সঙ্গে মেঘালয় পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনে বিএসএফকে সহায়তা করার জন্য।

প্রেস্টোন টাইনসং বাংলাদেশে চলমান সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বৈঠক করেছেন বিএসএফের ডিআইজি (অপারেশন), রাজ্যের পুলিশ মহাপরিচালক, মুখ্য সচিব ও পুলিশ বিভাগের অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে। ওই বৈঠেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কারফিউ জারির।

error: Content is protected !!