Monthly Archives: August 2024

বাস্তিল দুর্গের পতন: ফরাসি বিপ্লবের সূচনা

১৪ জুলাই, ১৭৮৯ সাল। এই দিনটি ফরাসি বিপ্লবের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত। এদিনই ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত বাস্তিল দুর্গের পতন ঘটে, যা ফরাসি বিপ্লবের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হয়। বাস্তিল দুর্গ ছিল রাজতন্ত্রের নির্যাতন ও শাসনের প্রতীক, এবং এর পতন ফ্রান্সে একটি নতুন যুগের সূচনা করে, যা স্বাধীনতা, সাম্য, এবং ভ্রাতৃত্বের আদর্শে গড়ে উঠেছিল।

*বাস্তিল দুর্গ: রাজতন্ত্রের প্রতীক*

বাস্তিল দুর্গ প্যারিসের একটি সুদৃঢ় কেল্লা ছিল, যা মূলত একটি অস্ত্রাগার ও কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এটি ফ্রান্সের রাজতন্ত্রের ক্ষমতা ও নির্যাতনের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ছিল, যেখানে রাজনৈতিক বন্দীদের আটকে রাখা হতো। বাস্তিল কারাগারে বন্দীদের অধিকাংশই ছিলেন রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হওয়া লেখক, বুদ্ধিজীবী, এবং সাধারণ জনগণ। রাজতন্ত্রের অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণের ক্রোধ এই দুর্গের উপর আঘাত হানার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়।

*পতনের কারণ: জনরোষ ও বিদ্রোহ*

১৭৮৯ সালের গ্রীষ্মে ফ্রান্সের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে। জনগণ ক্ষুধা, দারিদ্র্য, এবং রাজতন্ত্রের নিষ্ঠুর অত্যাচারের শিকার হচ্ছিল। রাজা ষোড়শ লুইয়ের শাসন ব্যবস্থায় জনরোষ বাড়তে থাকে, এবং এ পরিস্থিতিতে ফরাসি বিপ্লবের আগুন ধীরে ধীরে জ্বলতে থাকে। জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা, খাদ্য সংকট, এবং বর্ধিত করের বোঝা তাঁদের ক্ষুব্ধ করে তোলে।

১৪ জুলাই, ১৭৮৯ সালে প্যারিসের জনগণ অস্ত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বাস্তিল দুর্গ আক্রমণ করে। তারা বিশ্বাস করেছিল যে, এই দুর্গে প্রচুর অস্ত্র মজুত রয়েছে, যা তাদের বিপ্লবী সংগ্রামের জন্য প্রয়োজন। জনগণের উত্তেজনা এতটাই তীব্র ছিল যে, তারা দুর্গের সৈন্যদের প্রতিরোধ ভেঙে ফেলে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্গ দখল করে নেয়। এ সংঘর্ষে কয়েকজন বিদ্রোহী ও সৈন্য নিহত হন, কিন্তু শেষপর্যন্ত জনগণ বিজয় লাভ করে।

*পতনের তাৎপর্য: স্বাধীনতার সূচনা*

বাস্তিল দুর্গের পতন ছিল ফরাসি বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই ঘটনাটি ফ্রান্স এবং সমগ্র বিশ্বের কাছে রাজতন্ত্রের পতনের প্রতীক হয়ে ওঠে। বাস্তিলের পতন শুধু একটি দুর্গের পতন ছিল না, এটি ছিল ফ্রান্সের জনগণের স্বাধীনতার সংগ্রামের সূচনা। ১৪ জুলাই দিনটি ফ্রান্সে ‘বাস্তিল দিবস’ হিসেবে পালিত হয় এবং এটি ফ্রান্সের জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃত।

বাস্তিল দুর্গের পতনের পর, ফ্রান্সে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে এবং নতুন গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। এটি একদিকে যেমন ফরাসি বিপ্লবের প্রথম পদক্ষেপ ছিল, তেমনি ইউরোপ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।

 *উপসংহার:*

বাস্তিল দুর্গের পতন ফরাসি বিপ্লবের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। এটি ছিল রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভের বিস্ফোরণ, যা পরবর্তীতে ফ্রান্সের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করে। আজও এই ঘটনা ফ্রান্স এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে স্বাধীনতা, সাম্য, এবং গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। বাস্তিলের পতন শুধু ফ্রান্সের ইতিহাসেই নয়, বরং বিশ্ব ইতিহাসেও একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ইজরায়েলের উপর হামলা চালাতে তৈরি ইরান, পাঁচ দেশের অনুরোধ উপেক্ষার ইঙ্গিত

ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে, যখন ইরান ইজরায়েলের উপর হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইরান এই হামলার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে পাঁচটি দেশের অনুরোধ উপেক্ষা করার ইঙ্গিত দিয়েছে। এই ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিধর দেশ, যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স এবং জার্মানি রয়েছে, ইরানকে এই সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইরান সরাসরি এই অনুরোধগুলোকে প্রত্যাখ্যান না করলেও তাদের সামরিক প্রস্তুতি এবং কড়া বিবৃতি থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে, তারা এই অনুরোধ মানতে আগ্রহী নয়।

ইরান বলছে, ইজরায়েল তাদের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং তারা তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। ইরানের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এটি মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি করছে।

ইজরায়েল, ইতিমধ্যেই তাদের সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে এবং তারা জানিয়েছে, ইরানের যেকোনো আক্রমণের জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা কোনো ছাড় দেব না।”

বিশ্বের নেতারা এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত, এবং তারা কূটনৈতিক পথে এই সংঘর্ষের সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ইরানের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ও বিবৃতি দেখে মনে হচ্ছে, পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উত্তেজনা যদি সংঘর্ষে পরিণত হয়, তবে তা শুধু ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিপন্ন হতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় আরও সক্রিয় ও একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানে প্রথমবারের মতো বিচারের মুখে সাবেক আইএসআই প্রধান ফয়েজ হামিদ

পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন সাবেক আইএসআই (ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এই সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যা পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, সাবেক আইএসআই প্রধানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। সরকারি তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং এরপর আদালতে হাজির করা হয়। এই ঘটনা পাকিস্তানের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিচারের মাধ্যমে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক সংস্থাগুলির মধ্যে সম্পর্কের এক নতুন দিক উন্মোচিত হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে আইএসআই-এর কার্যকলাপ নিয়ে নানা সমালোচনা এবং অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে পাকিস্তানকে, তবে এই প্রথমবারের মতো কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সরাসরি বিচারের আওতায় আসছেন।

সাবেক আইএসআই প্রধানের পক্ষে আইনজীবীরা অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তারা বলেছেন, এই বিচার প্রক্রিয়া দেশের সামরিক বাহিনীর মর্যাদার জন্য হুমকিস্বরূপ।

সরকারি পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার অঙ্গীকার হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে একে ন্যায়বিচারের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন যে, এর ফলে দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

পাকিস্তানে এই বিচারের ফলাফল ভবিষ্যতে সামরিক ও বেসামরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত: আসিফ নজরুল

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিশিষ্ট অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিফ নজরুল। তিনি এই বিচার প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন যে, দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি ঘটনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিচার করা উচিত, যেন এসব অপরাধ আর কখনো পুনরাবৃত্তি না হয়।

আন্দোলনের সময় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বহু নিরীহ ছাত্র-জনতা প্রাণ হারায়। এ ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া এবং সমালোচনার ঝড় উঠে। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বিচারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন, এবং এর প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই সিদ্ধান্তকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন।

আসিফ নজরুল বলেন, “এই ধরনের গুরুতর অপরাধের বিচার দেশের ভেতরে সুষ্ঠুভাবে হওয়া উচিত, তবে যখন তা সম্ভব নয়, তখন আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হওয়াই সঠিক পদক্ষেপ।”

অপরদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দিয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এক নতুন মোড় আনতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন, এ ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা গেলে ভবিষ্যতে এমন অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে।

শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ‘হাস্যকর’: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে। এই প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, এই ধরনের অভিযোগ ‘হাস্যকর’ এবং ভিত্তিহীন।

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের পক্ষে নয়। তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সবসময়ই জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর উপর জোর দেয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে আরও জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখে এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বিবৃতি এমন সময় এলো, যখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়ছে এবং বিভিন্ন মহল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। সম্প্রতি কিছু রাজনৈতিক নেতা ও বিশ্লেষক দাবি করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনার সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এই ধরনের দাবিকে সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে এবং এটিকে ‘হাস্যকর’ আখ্যা দিয়েছে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই বিবৃতি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেছে এবং এটি বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত করতে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে একইসঙ্গে, তারা বলছেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার জন্য সব পক্ষেরই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা জরুরি।

বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে যে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, তা দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছে এবং এটি দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। ফলে, এই ধরনের অভিযোগ দুই দেশের সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই বিবৃতি সেই আশঙ্কা অনেকটাই দূর করবে বলে তারা মনে করছেন।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকার দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তাই, এই ধরনের অভিযোগ উত্থাপন এবং পরবর্তী সময়ে তা নাকচ করা দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতার প্রমাণ হিসেবে দেখা যেতে পারে।

লেবাননের বৈরুতে দরিদ্র মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে উঠছে, রয়েছে অতীতের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা…

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বাসিন্দারা নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কায় ভীত। প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে এবং মুদ্রাস্ফীতি ৪০% এ পৌঁছেছে, এমন পরিস্থিতিতে লেবানন নতুন সংঘাতের জন্য প্রস্তুত নয়।

২০২০ সালের ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরে ২,৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরণে শহরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল এবং এতে ২২০ জন নিহত ও ৭,০০০-এরও বেশি আহত হন। চার বছর পরও, এই বিস্ফোরণে আঘাতপ্রাপ্ত বহু পরিবার এখনও সেই ক্ষতি সামলে উঠতে অক্ষম।

২০১৯ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর, লেবাননের অর্থনীতি চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। লেবানিজ পাউন্ডের মান ২০১৯ সালের পর থেকে ৯৮% কমে গেছে এবং মুদ্রাস্ফীতি ৪০% পৌঁছেছে। জনগণের জীবনযাত্রার মান হয়েছে নিম্ন এবং সঠিক বেতন পর্যন্ত পান না।

২০২৩ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) লেবাননের দীর্ঘস্থায়ী সংকটের সতর্কতা প্রকাশ করেছিল। লেবাননের খাদ্য সরবরাহ বর্তমানে চার মাসের জন্য যথেষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে, তবে জ্বালানির সরবরাহ সপ্তাহের হিসাবে পরিমাপ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংকটের কারণে দৈনিক ব্ল্যাকআউট ঘটছে, যা সাধারণ নাগরিকদের জন্য আরো কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।

ইজরায়েল ও হেজবোলার মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে যদি সংঘাত বাড়ে, তাহলে লেবাননের জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। নাসের ইয়াসিন, পরিবেশ মন্ত্রী, জানান যে বর্তমান প্রস্তুতি খুবই সংকোচণীয় এবং সরকারী বাজেট প্রায় ৮০% কমে গেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সাময়িক আশ্রয়ের জন্য স্কুল বিল্ডিংয়ে আশ্রয় নিতে হতে পারে।
বৈরুতের বাসিন্দারা নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। যারা ভুক্তভোগি তারা এখনও সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছেন এবং বর্তমান পরিস্থতি তাদের জীবনযাত্রা আরও কঠিনতর হয়ে উঠেছে। যা দেশের মানবিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আগামী মাসে পদত্যাগ করবেন এবং পুনরায় নির্বাচনের জন্য প্রার্থী হবেন না..

কিশিদা আজ রাজধানীতে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে এলডিপি’র (লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি) নেতৃত্বের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে প্রার্থী হবেন না এবং আগামী মাসে পদত্যাগ করবেন। তিনি উল্লেখ করেন যে এলডিপি’কে একটি পরিবর্তিত দল হিসেবে উপস্থাপন করার প্রয়োজন।

কিশিদা বলেছেন,“স্বচ্ছ এবং খোলামেলা নির্বাচন এবং মুক্ত ও সজাগ বিতর্ক এখন অতীতের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এলডিপি’র পরিবর্তন দেখানোর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আমি পদত্যাগ করছি।”

কিশিদার পদত্যাগের মূল কারণ হচ্ছে দলের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি। এলডিপি’র দুটি প্রধান গোষ্ঠী অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে, তাদের আয় ও ব্যয়ের যথাযথ ঘোষণা না দেওয়ার এবং রাজনৈতিক তহবিলকে অবৈধভাবে আইনপ্রণেতাদের মধ্যে বিতরণ।
কিশিদার অর্থনৈতিক নীতির প্রতি জনগণের আস্থাও কমে গেছে। বিশেষ করে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দুর্বলতার কারণে অর্থনৈতিক উদ্বেগ বেড়েছে।

কিশিদার পদত্যাগের ঘোষণার পর, ইয়েনের মূল্য ডলারের বিরুদ্ধে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিক্কেই ২২৫ শেয়ার সূচক সামান্য কমেছে। মার্কেট বিশ্লেষকরা বলেছেন যে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

কিশিদার নেতৃত্বে জাপান আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমেরিকার জোট গঠনে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের সময় জাপান তার সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।

তবে এলডিপির ভেতরে বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশিত হওয়ায় ফুমিও কিশিদার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে।

দেশটির পার্লামেন্টে এলডিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তাই যিনিই দলটির নেতা নির্বাচিত হবেন, তিনিই হবেন জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

বাইডেন সাম্প্রতি ইউক্রেনের অনুপ্রবেশ নিয়ে পুতিনের উদ্দেশ্যে কী বললেন…

সাম্প্রতিককালে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এলাকার যুদ্ধের পরিস্থিতির ওপর গোটা দেশ নজর রেখেছে। ঠিক এরই মাঝে বাইডেন রাশিয়ার অনেকগুলি বিষয়ের উপর মন্তব্য করেন,যার মধ্যে কিছু মন্তব্য পুতিনেকে উদ্দেশ্যে করে বলা।

ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে একটি বৃহৎ আকারের আক্রমণে যুক্ত হয়েছিল, যা ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল এবং পূর্ব ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থনের সাথে চলা সংঘাতের একটি উল্লেখযোগ্য বিস্তার।এই আক্রমণ আন্তর্জাতিকভাবে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, যার মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা, ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা, এবং রাশিয়াকে বৈশ্বিক স্তরে বিচ্ছিন্ন করার কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও অন্তর্ভুক্ত।

বাইডেনের মন্তব্য:
বাইডেন বলেছেন যে,বর্তমান পরিস্থিতি পুতিনের জন্য একটি “বাস্তব সংকট” তৈরি করেছে। এটি সম্ভবত নির্দেশ করে যে পুতিন বিভিন্ন সামরিক, অর্থনৈতিক, এবং রাজনৈতিক চাপের কারণে একটি জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে।

যুদ্ধের ময়দানে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী, ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রতিরোধ করতে যথেষ্ট সরব, কিন্তু এতে প্রাণহানি বাড়ার সম্ভাবনাও অধিক রয়েছে। যা তাদের সামরিক লক্ষ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী কৌশলকে জটিল করে তুলেছে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলি রাশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এই অর্থনৈতিক চাপ পুতিনের প্রশাসনের ওপর বাড়তি বোঝা সৃষ্টি করেছে।

আন্তর্জাতিকভাবে,রাশিয়া বিভিন্ন দেশের দ্বারা কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা এবং নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে, যা তার অবস্থানকে আরও জটিল করেছে এবং পুতিনের লক্ষ্য অর্জনে বাধা সৃষ্টি করেছে।

৬ আগস্ট ইউক্রেন কুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে একটি বিস্ময়কর আক্রমণ চালায়। প্রায় ১,০০০ সৈন্য এবং ২৫টিরও বেশি সাঁজোয়া যান ও ট্যাঙ্ক ব্যবহৃত হয়। ইউক্রেনীয় সৈন্যরা কুরস্ক অঞ্চলের ২৮টি শহর ও গ্রাম দখল করেছে। কুরস্কের গভর্নর অ্যালেক্সি স্মিরনভ একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং প্রতিবেশী বেলগোরোড অঞ্চলেও পালানোর নির্দেশ দেয়।

উত্তরের গাজায় প্রাণঘাতী বিমান হামলার পর, দক্ষিণে নতুন করে সরানোর নির্দেশ; সংকটে বহু মানুষের জীবন

গাজা উপত্যকার উত্তরের একটি এলাকায় সাম্প্রতিক এক প্রাণঘাতী বিমান হামলায় অন্তত ৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণের কিছু অংশে নতুন করে মানুষ সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই হামলার ফলে উপত্যকাজুড়ে মানবিক সংকট আরও গভীর হয়েছে, আর লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

গাজায় চলমান সংঘর্ষে প্রতিদিনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে, যা হাজার হাজার পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করেছে। দক্ষিণের দিকে মানুষদের সরিয়ে নেওয়ার এই নতুন নির্দেশের ফলে, সংঘর্ষের এলাকা আরও বিস্তৃত হচ্ছে এবং আশ্রয়প্রার্থী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

এই সংকটের মধ্যে হামাস দাবি করেছে, গত মাসে যে চুক্তি হয়েছিল তার বাস্তবায়ন করা হোক এবং তারা নতুন কোনো আলোচনায় বসতে অস্বীকার করেছে। তাদের মতে, পূর্বে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, সেটাই সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায়। তবে, এই অবস্থানের ফলে, আলোচনা এবং কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।

সংকটটি এখন শুধু গাজার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই; বরং এটি পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলছে। প্রতিবেশী দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, কিন্তু কার্যকর সমাধান এখনও অধরা।

গাজায় এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ফলে যে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে, তা দ্রুত সমাধান না হলে, এটি আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অথচ, আপাতত শান্তি এবং স্থিতিশীলতার কোনো সুরাহা দেখা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রবল বিক্ষোভ মিছিল দেশজুড়ে, নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের দাবিতে জমায়েত শাহবাগে

বাংলাদেশে সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া সহিংস হামলা এবং বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিরাপত্তা ও সমান অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে ঢাকার শাহবাগে একটি বিশাল জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এবং বসতবাড়িতে হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। শাহবাগের কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ মিছিলটি দেশের অন্যান্য শহরেও অনুরূপ আন্দোলনের সূচনা করেছে।

বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, তাদের ধর্মীয় উৎসব এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে তারা চরম উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তারা সরকারের কাছে অবিলম্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানান। শাহবাগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, “আমরা আমাদের নিজ দেশে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। সরকারকে অবশ্যই আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অনেকেই জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দুদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে না। তারা আরও বলেন, এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, কিন্তু সঠিক পদক্ষেপের অভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া হিসেবে বলা হয়েছে, দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং যেকোনো ধরনের সহিংসতা কঠোরভাবে দমনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উপর নজর রাখবে বলে জানিয়েছে। তাদের মতে, দেশের শান্তি ও সহাবস্থান নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন জরুরি।

error: Content is protected !!