Monthly Archives: August 2024

 ভেনেজুয়েলায় মাদুরোর প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিজয়ী ঘোষণা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

Asia Monitor18 ব্যাপক অনিয়ম, কারছুপি, ও রক্তাক্ত সহিংসতার মধ্যে দিয়ে শেষ হল ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তবে ভেনেজুয়েলার বিতর্কিত এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিকোলা মাদুরোর জয় প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়াকে বিজয়ী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র এই স্বীকৃতি দেয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতির মাধ্যমে জানান, প্রয়োজনীয় তথ্য- প্রমাণের  ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভেনেজুয়েলার জনগণের কাছে এটি স্পষ্ট যে ২৮ জুলাইয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া বিজয়ী হয়েছেন।  

২০১৩ সালে ভেনেজুয়েলার ক্ষমতায় আসেন মাদুরো। দেশটির নির্বাচনী সংস্থা জানিয়েছেন, মাদুরো এবারে ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তবে বিরোধীরা বলেছে, ৯০ শতাংশ ভোট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মাদুরোর চেয়ে দ্বিগুণ বেশি ভোট পেয়েছেন গঞ্জালেজ। তিনি নির্বাচন-পূর্ব নিরপেক্ষ জরিপেও মাদুরোর চেয়ে এগিয়ে ছিলেন।

মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করার পর প্রকাশিত ফলাফলকে কেন্দ্র করে  বিক্ষোভে উত্তাল ভেনেজুয়েলা। বিরোধী দলীয় নেতা মারিয়া কারিনা মাচাদো দেশজুড়ে গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। শুক্রবার ঘোষণা করা হয় শনিবার প্রতিটি শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে।  বিরোধীদলীয় নেতা মাচাদো জানান চলমান বিক্ষোভে এ  অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গজালেঞ্জকে স্বীকৃতি দিলেও কোন পরিবর্তন আসবে মনে হয় না ভেনেজুয়েলার রাজনীতিতে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বিরোধীদের আন্দোলনকে চক্রান্ত অভিহিত করে রুখে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

সামুদ্রিক নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে, ভারত ৩০০ বিলিয়ান ডলার ঋণ দেবে ভিয়েতনামকে

ভারত ভিয়েতনামের সামুদ্রিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে, এবং দুই দেশই পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দ্বিগুণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফ্যাম মিন চিনের সাথে আলোচনায় জানান যে, ভারত ভিয়েতনামকে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী মনে করে। চিন সাংবাদিকদের জানান যে, বিশ্ব কঠিন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলেও সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, “এশিয়া ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলটি একটি উন্নয়নের লোকোমোটিভ, তবে এখানে প্রধান রাজনীতি তীব্রভাবে চলছে। আমাদের এমন একটি পদ্ধতির প্রয়োজন যা বিশ্বব্যাপী এবং বহুপাক্ষিকতাকে বজায় রাখে।”

দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী জানান যে, তারা প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্র যেমন- সেমিকন্ডাক্টর এবং সবুজ প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা,  ক্লাউড কম্পিউটিং এবং জলবায়ু কর্মে সহযোগিতা বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।মোদী এবং চিন ভার্চুয়ালি ভিয়েতনামে “আর্মি সফটওয়্যার পার্ক” উদ্বোধন করেছেন, যা ভারতের সহায়তায় স্থাপিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানে ভিয়েতনামের সৈন্যদের ডিজিটাল দক্ষতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

২০২২ সালে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২৭% বৃদ্ধি পেয়ে ১৪.১৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ভারতের ভিয়েতনামে রপ্তানি ৬.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, এবং ভারতের ভিয়েতনাম থেকে আমদানি ৭.৪৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ভারতের থেকে ভিয়েতনামে রপ্তানির মধ্যে লোহা ও ইস্পাত, তুলা, সিরিয়াল, মাংস এবং মৎস্য পণ্য, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, অটোমোবাইল যন্ত্রাংশ, সিমেন্ট, রাসায়নিক এবং ফার্মাসিউটিক্যালস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ভারত প্রধানত ভিয়েতনাম থেকে বৈদ্যুতিক এবং ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম, অজৈব রাসায়নিক, যন্ত্রপাতি এবং যান্ত্রিক যন্ত্র, তামা এবং রাবার, কফি এবং চা, মসলা, লোহা এবং ইস্পাত আমদানি করে।

ভিয়েতনামে ভারতের বিনিয়োগ প্রায় ১.৯ বিলিয়ন ডলার, যা শক্তি, খনিজ সন্ধান, কৃষি, তথ্য প্রযুক্তি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের মধ্যে বিস্তৃত, দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুযায়ী।

ভিয়েতনাম ভারতে ২৮.৫৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে, যা প্রধানত ফার্মাসিউটিক্যালস, তথ্য প্রযুক্তি, রাসায়নিক এবং নির্মাণ সামগ্রীতে কেন্দ্রীভূত।

হবিগঞ্জে সংঘর্ষ, নিহত ১

হবিগঞ্জে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুরে জুমার নামাজ শেষে হবিগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম মোস্তাক মিয়া (৩০)। তিনি পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিজিবি) ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন। তার বাড়ি সিলেটের টুকেরবাজার। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মমিন উদ্দিন চৌধুরী।

পিজিবির ঠিকাদারের সুপারভাইজার নূর বখত বলেন, মোস্তাক আমার অধীনে কাজ করতেন। দুই দিন আগে আমরা হবিগঞ্জে কাজ করতে এসেছি, এখানে ভাঙাপুল এলাকায় ছিলাম। আজ জুমা নামাজের পর মোস্তাক শহরে যায় জুতা কিনতে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে এসে দেখি সে মৃত।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের বোর্ড মসজিদ এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে পূর্ব টাউন হল এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলে যোগ দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন জেলা ছাত্রদল ও অন্য দলের নেতা-কর্মীরা।

এরপর মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে টাউন হল এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে সেখানে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু জাহিরের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

এ সময় পুলিশ সেখানে এলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়। একপর্যায়ে দুই দিক দিয়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশের দিকে আসতে থাকেন।

যে কারণে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ হলো জামায়াত-শিবির

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে তাণ্ডবে সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরসহ অন্যান্য সব অঙ্গ সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে নির্বাহী আদেশে এই সংগঠন দুটিকে নিষিদ্ধ করেছে। ফলে এই দুই সংগঠন ও এর সব অঙ্গ সংগঠন ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে গণ্য হবে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারার ক্ষমতা বলে সরকার নির্বাহী আদেশে জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার যুক্তিসঙ্গ কারণ থাকলে সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে ওই ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারবে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারবে। এখানে ‘সত্তা’ বলতে কোনো আইনি প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যিক বা অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠী, অংশীদারী কারবার, সমবায় সমিতিসহ এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত যেকোনো সংগঠনকে বোঝায়।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী, ‘সত্তা’ বলতে কোনো আইনি প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যিক বা অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠী, অংশীদারি কারবার, সমবায় সমিতিসহ এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত যেকোনো সংগঠনকে বোঝায়।

সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদীর নেতৃত্বে ১৯৪১ সালে জামায়াত প্রতিষ্ঠার পর থেকে এবার নিয়ে দলটি চারবার নিষিদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৫৯ ও ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তানে এবং ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে অন্য তিনটি ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে জামায়াতও নিষিদ্ধ হয়েছিল। পরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৯ সালের ২৫ মে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রকাশ্য রাজনীতির সুযোগ পায় জামায়াত। দলটির ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘও নাম পরিবর্তন করে ইসলামী ছাত্রশিবির নামে আত্মপ্রকাশ করে।

জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্ব নাম জামায়াত-ই-ইসলামী, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং এর অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে (পূর্ব নাম ইসলামী ছাত্রসংঘ) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ ছাড়া এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। আপিল বিভাগ ওই রায় বহাল রেখেছেন।

এর আগে গত ২৬ জুলাই ১৪ দলের বৈঠকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও দলটির অঙ্গসংগঠন ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ‘নীতিগত সিদ্ধান্ত’ নেওয়া হয়। ওইদিন রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়।

১৪ দল মনে করে, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যে সন্ত্রাস এবং নাশকতা হয়েছে এর পিছনে জামায়াত-শিবির কলকাঠি নেড়েছে। ১৭ জুলাই থেকে ঢাকায় যে সন্ত্রাসী তাণ্ডব হয়েছে এর মূল কারিগর ছিল জামায়াত-শিবির।

বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দলটির শীর্ষ নেতাদের বিচার হয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নির্বাচন কমিশন যেহেতু জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে সেজন্য এখন আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সময় এসেছে। কারণ একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী যে চরিত্র তা এখনো বদলায়নি।

বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেন। এ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব ১৪ দলের বৈঠকে পাস হয়।

উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনলে ৩৮টি দলের সঙ্গে সংসদে প্রতিনিধিত্ব থাকা জামায়াতে ইসলামীও নিবন্ধিত হয়। আইন অনুযায়ী শুধু নিবন্ধিত দলগুলোই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।

এরপর তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে জামায়াতকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।

ওই রিটের প্রেক্ষিতে জারি করা রুলের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রায় দেন। রায়ে সংবিধানের সঙ্গে দলটির গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক হওয়ায় নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হয়।

এরপর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে, যা গত বছরের ১৯ নভেম্বর খারিজ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম – ইসলামি ছাত্র শিবির নিষিদ্ধ ঘোষণা

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবার নিষিদ্ধ হওয়ার ৫০ বছরের বেশি সময় পরে আবার নিষিদ্ধ হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধীতাকারী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী।

কোটা আন্দোলনের জেরেই তৃতীয় বারের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে ওই দলের উপর। বৃহস্পতিবার হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই ঘোষণার গেজেট প্রকাশ করেছে। এ দিন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে কোটা আন্দোলনের সংঘর্ষ, হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উস্কানিতে জড়িত ছিল এই দল।

বৃহস্পতিবার হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই ঘোষণার গেজেট প্রকাশ করেছে। এ দিন বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিরাপত্তা বিভাগ থেকে জানানো হয়, সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর শাখা সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সম্প্রতি সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উস্কানিতে জড়িত ছিল। সরকার বিশ্বাস করে, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির-সহ সব শাখা সংগঠন জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত।

স্বাধীনতার পর সাধারণ ক্ষমার আওতায় জামায়াতের কিছু নেতাকর্মী কারাগার থেকে বেরিয়ে এলেও দল হিসেবে জামায়াত নিষিদ্ধ ছিল বহু বছর।পরে ১৯৭৬ সালে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলে আরো কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দল মিলে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (আই.ডি.এল) নামের একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্মের ব্যানারে জামায়াতে ইসলামী তৎপরতা শুরু করে। যদিও রাজনীতিতে সরাসরি সক্রিয় হতে শুরু করে আরো তিন বছর পরে।

“নিষিদ্ধ থাকার সময়ে এই দলের নেতারা অনেকে আটক বা আন্ডারগ্রাউন্ডে ছিলো। আর যারা বাইরে ছিলেন তারা আইডিএলে সম্পৃক্ত থেকে সংগঠন গুছিয়েছেন। ১৯৭৯ সালে জামায়াত ইসলামী সরাসরি রাজনীতি করার সুযোগ পায়। পরবর্তীতে আরও সুসংগঠিত হতে পেরেছে কারণ তারা ক্যাডার ভিত্তিক দল বলে নেতারা যেভাবে বলে কর্মীরা সেভাবেই অ্যাক্ট করে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন নয়া দিগন্ত পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবর।জামায়াতে ইসলামীর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে আইডিএল- এর ব্যানারে জামায়াতে ইসলামীর ছয় জন এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বিশ্ববাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে জ্বালানি তেলের মূল্য

Asia Monitor18 বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে গত বুধবার। ইরানে হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। সম্ভবত এই কারণেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ফিউচার মার্কেটে গতকাল ১ শতাংশ বা ৭৮ সেন্ট বেড়ে এর মূল্য প্রতি ব্যারেলে ৮১ ডলার ৬২ সেন্ট এ এসে দাঁড়িয়েছে। একই হারে দাম বেড়েছে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দামও। প্রতি ব্যারেলে  ৭৯ সেন্ট দাম বেড়ে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ৭৮ ডলার ৭০ সেন্ট পর্যন্ত দাম উঠেছে। এর আগে   গত মঙ্গলবার তেলের দাম সাত সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায় নেমে যায়। সামগ্রিক ভাবে তেলের বাজার ওঠানামা করছে।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল ব্যবহারকারী। সম্প্রতি জ্বালানি তেল নিয়ে প্রকাশ হওয়া মার্কিন তথ্যও তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। এছাড়া মার্কিন ডলারের দাম কমে যাওয়ার ঘটনাটি তেলের দাম বাড়ার পিছনে ভূমিকা রাখে।

যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের  তথ্যমতে, রফতানি চাহিদা বাড়ায় ২৬ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশটির অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ প্রায় ৩৪ লাখ ব্যারেল কমে গেছে। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি ২০২৪ সালে তেলের চাহিদার পূর্বাভাস হ্রাস করেছে। দৈনিক ১ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল তেলের পূর্বাভাস কমিয়ে দৈনিক পূর্বাভাস ১১ লাখ ব্যারেলে কমিয়ে এনেছে। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছে ওইসিডি ভুক্ত ধনী দেশগুলোর চাহিদা কমেছে।

অন্যদিকে, কানাডার তেল সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরেও বিশ্ববাজারে আজ তেলের দাম বেড়েছে। কানাডার তেলশিল্পের কেন্দ্র  ফোর্ট ম্যাকমুরের দিকে দাবানল ধেয়ে আসছে, যেখানে দৈনিক ৩৩ লাখ ব্যারেল তেল বা দেশটির মোট চাহিদার দুই-তৃতীয়াংশ তেল উৎপাদিত হয়। এ অনিশ্চয়তা যত দিন থাকবে, তত দিন তেলের বাজারে কিছুটা চাপ থাকবে।

রাশিয়ার সাথে বন্দিবিনিময়ে  প্রধান ভূমিকা জার্মানির  

Asia Monitor18 রাশিয়ার সঙ্গে বন্দিবিনিময় করল পশ্চিমা দেশগুলি। রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর ১৬ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, এবং পশ্চিমা দেশগুলো আটজন রাশিয়ার নাগরিককে মুক্তিদান করেছে। এই বন্দিবিনিময় প্রধান ভূমিকা পালন করছে জার্মানি। রাশিয়ার যে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন জার্মানিতে বন্দি ভাদিম ক্রাসকিভ, যার শাস্তি হয়েছিল বার্লিনে এক সাবেক চেচেন বিদ্রোহীকে হত্যা করার জন্য।    

এর আগে ২০২২ সালে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দিয়েছিল ক্রসিকভকে ছাড়া হলে তারা আমেরিকার বন্দিদের মুক্তি দেবে। কিন্তু ক্রসিকভ জার্মানিতে বন্দি থাকায়, যুক্তরাষ্ট্র ওই প্রস্তাবকে গুরুত্ব দেয়নি। ক্রসিকভকে ছাড়া জার্মানির পক্ষে সহজ ছিল না বলে জানানো হয়েছে।কারণ, দিনের বেলায়, পার্লামেন্টের খুব কাছে একটি পার্কে ক্রাসিকভ চেচেন বিদ্রোহী নেতাকে হত্যা করেছিল। তারপর আদালত তাকে শাস্তি দেয়। শলৎস বলেছেন, ‘হত্যার দায়ে যার জেল হয়েছে, এমন অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়ার কাজটা সহজ ছিল না।তবুও শলৎস জানিয়েছেন, ‘জার্মানির স্বার্থ ছিল, ক্রসিকভের বিনিময়ে রাশিয়া বেশ কিছু নিরপরাধ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে, যাদের রাজনৈতিক কারণে বন্দি করা হয়েছিল।’

জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছেন ‘ জার্মান নাগরিকদের স্বার্থে ও আমেরিকার প্রতি সংহতি দেখাতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিই। আমার সঙ্গে বিরোধী নেতা ফ্রেডরিখ মার্জও একমত হন।’   

অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, জার্মানি এই ছাড় দিয়েছে বলেই বন্দিবিনিময় সম্ভব হয়েছে। তিনি শলৎসের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছে। বাইডেনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুলিভান বলেছেন, ‘প্রথমে জার্মানি বলেছিল, তারা ওই বন্দিকে ছাড়তে পারবে না। কিন্তু গত জানুয়ারিতে বাইডেন ব্যক্তিগতভাবে শলৎসকে এই অনুরোধ করেন। তখন শলৎস জানান, আপনার জন্য আমি এই কাজ করব।

মৃত্যুদণ্ড না দেওয়ার শর্তে দোষ স্বীকারে রাজি গুয়ানতানামোর ৩ বন্দিঃ ৯/১১ হামলা

Asia Monitor18 দুই যুগ অর্থাৎ প্রায় ২৪ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা পৃথিবীকে পাল্টে দিয়েছিল। সেই নাইন-ইলেভেনের ষড়যন্ত্রের দায় স্বীকার করতে রাজি হয়েছেন গুয়ানতানামোর তিন বন্দি। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল-কায়েদার সেই হামলায় নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া ও পেনসিলভেনিয়ায় প্রায় তিন হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এর জের ধরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে  যুদ্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তান ও ইরাকে শুরু হয় অভিযান। ১৯৪১ সালে হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের পার্ল হারবারে জাপানি হামলার পর ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা।

 মৃত্যুদণ্ড না দেওয়ার শর্তে ওই তিনজন আদালতে দোষ স্বীকার করতে রাজি হয়েছেন। বিচারের আগে চুক্তিতে পৌঁছানো তিন ব্যক্তির নাম হল– ওয়ালিদ মুহাম্মদ সালিহ মুবারক বিন আতাশ, মুস্তাফা আহমেদ আদম আল-হাওসাভি এবং খালিদ শেখ মোহাম্মদ।তারা বিনা বিচারে কিউবার গুয়ানতানামো’ তে মার্কিন নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে বছরের পর বছর ধরে আটক রয়েছেন।

প্রধান কৌঁসুলি রিয়ার অ্যাডমিরাল অ্যারন রুঘের চিঠিতে বলা হয়, “মৃত্যুদণ্ডের সম্ভাব্য শাস্তি না দেওয়ার শর্তে অভিযোগপত্রে তালিকাভুক্ত ২,৯৭৬ জনকে হত্যা সহ সব অপরাধের দোষ স্বীকার করতে সম্মত হয়েছেন তিন অভিযুক্ত।”তাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা, আইন লঙ্ঘন করে হত্যা, উড়োজাহাজ ছিনতাই, সন্ত্রাসবাদসহ আরও নানরকমের অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রধান কৌঁসুলি রুঘ তার চিঠিতে লিখেছেন, তিন আসামির সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে বলে বিষয়টি হালকা হয়ে যাচ্ছে তা মনে করার কিছু নেই। বিচারের জন্য এটি ‘সবচেয়ে ভালো পথ’। ৯/১১ হামলায় নিহত জিম স্মিথের স্ত্রী চুক্তির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই পশুগুলো আমাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে যা করেছে, তার বিচার আদালতে দেখার জন্য নিহতদের পরিবারগুলো ২৩ বছর ধরে অপেক্ষা করছে।

হানিয়ার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ খামেনির

Asia Monitor18 হানিয়া হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধের জন্য ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইরানি কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার সকালে ইরান জানিয়েছেন,হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে এবং এটা জানানোর কিছু সময় পরেই দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে খামেনি ওই আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন তারা।

তবে ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধরত ইসরায়েল হানিয়া হত্যার কথা স্বীকার বা অস্বীকার, কোনোটাই করেনি। স্বীকার না করলেও ইসরায়েলের এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটানোর প্রমাণ আছে। এর আগেও তারা ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী ও সামরিক কমান্ডারদের এ ধরনের গুপ্ত হামলা চালিয়ে হত্যা করেছিল।  

মঙ্গলবার হানিয়া তেহরানে গিয়েছিলেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। ওই অনুষ্ঠান শেষের কয়েক ঘণ্টা পর বুধবার দুপুর রাতে তেহরানে নিজ বাসভবনে সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন হানিয়া।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাস কম্পাউন্ডে ইসরায়েলি হামলায় বেশ কয়েকজন ইরানি কমান্ডার নিহত হওয়ার পর এপ্রিলে ইসরায়েলের ওপর প্রকাশ্যে সবচেয়ে বড় হামলাটি চালিয়েছিল তেহরান। হামলাটি চালাতে কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছিল তারা।

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি আরও বলেন, “হানিয়ার রক্তের বদলা নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।” কারণ তার হত্যাকাণ্ড ইরানের অভ্যন্তরে ঘটেছে। ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান, অন্য কর্মকর্তারা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গার্ডস ও ইরানের জাতিসংঘ মিশন, সবাই প্রকাশ্যে বলেছেন, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে এবং সার্বভৌমত্বে সীমা লঙ্ঘনের জবাব দেওয়ার অধিকার তাদের আছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার অভিযোগে নতুন মামলাঃ চট্টগ্রামে

Asia Monitor18  চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একটি নতুন মামলা করা হয়েছে সহিংসতার অভিযোগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৩০শে জুলাই রাতে কর্ণফুলী থানায় এই মামলাটি করা হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি-পিআর) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজের তরফ থেকে জানা যায়, ‌চট্টগ্রাম নগরীতে কোটা আন্দোলনে হত্যা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নাশকতার অভিযোগে নতুন একটি মামলা সহ বিভিন্ন থানায়  ২৩টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে নগর পুলিশের অভিযানে এ পর্যন্ত ৫৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।     

অন্যদিকে, জেলার থানাগুলোতে মামলা রয়েছে ১১টি। নগরী ও জেলায় সহিংসতার অভিযোগ মিলিয়ে মোট মামলার সংখ্যা ৩৪টি। মামলা গুলিতে আসামির সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় এই মামলাগুলিতে আরও ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশের অভিযানে  গ্রেফতার করা হয়েছে  প্রায়১২ জন এবং ৫ জন।  সব মিলিয়ে বুধবার বিকাল পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা ৩৪ মামলায় ৯৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু তৈয়ব জানিয়েছেন,, ‌‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সহিংসতার অভিযোগে জেলার বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জেলায় এ পর্যন্ত এসব মামলায় ৪০৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

error: Content is protected !!