Monthly Archives: August 2024

প্রথম এফ-১৬ জঙ্গিবিমান পেয়েছেঃ ইউক্রেন

Asia Monitor18 ইউক্রেন প্রথম তার হাতে আমেরিকার তৈরি জঙ্গি বিমান এফ-১৬ পেয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজে একথা বলেছেন। জেলেনস্কি বলেন এফ-১৬ ইউক্রেনে পৌঁছেছে। আমরা সফল হয়েছি। আমি তাদের নিয়ে গর্বিত  যারা আমাদের এই যুদ্ধবিমান নিয়ন্ত্রণ করছে এবং দেশের জন্য ব্যবহার শুরু করেছে। ইউক্রেইন মূলত সোভিয়েত যুগের জঙ্গি বিমানের ওপর নির্ভর করে। তবে এখন এই এফ-১৬ জঙ্গিবিমানগুলো ইউক্রেইনের আকাশ প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করতে সাহায্যে সহায়ক হবে। জেলেনস্কি এমন জঙ্গিবিমান কতগুলো পেয়েছেন তা বলেননি, কিংবা এই বিমানগুলো তার উল্লিখিত তিন নেটো দেশই পাঠিয়েছে কিনা সেটিও তিনি খোলাসা করে বলেননি।

যুদ্ধবিমানগুলোর আগমন ইউক্রেনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে।তবে মোট কতটি যুদ্ধবিমান পাওয়া যাবে এবং এগুলোর যুদ্ধের ক্ষেত্রে প্রভাব কেমন হবে তা এখনও অস্পষ্ট। ইউক্রেন বহু দিন ধরে অপেক্ষা করছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ–১৬ জঙ্গিবিমানের জন্য। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসানের সময় এসেছে।  তারা প্রায় ১৮ মাস অপেক্ষার পর এই জঙ্গিবিমানগুলোর সহায়তা পেয়েছে। এবং তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন  ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রকে। সাথে তিনি বলেছেন এই ধরনের জঙ্গিবিমান আরও বেশি প্রয়োজন ইউক্রেইনের।

অন্যদিকে রাশিয়া এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলো ধ্বংস করার হুমকি দিয়েছে এবং বিমান মোতায়েন করার সম্ভাব্য স্থানগুলো লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে। এই  যুদ্ধবিমানগুলোতে  ২০ মিমি কামান রয়েছে এবং বোমা, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম।

যুক্তরাজ্যের বাহিনীতে এফ-১৬ নেই। যদিও তারা ইউক্রেইনকে দূর-পাল্লার স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে; যে ক্ষেপণাস্ত্র এফ-১৬ তে বহন করা যায়।

হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ জাপানের ধানক্ষেতে

Asia Monitor18 জাপানের টোকিওর দক্ষিণ- পশ্চিম সীমান্তের একটি ধানক্ষেতে একটি হেলিকপ্টার জরুরি অবতরণ করেছে। এই হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক হেলিকপ্টার। শনিবার (৩ আগস্ট ) জাপানি সম্প্রচার মাধ্যমের তরফ থেকে জানা যায়। এছাড়াও পুলিশ এবং স্থানীয় দমকলকর্মীরা এই তথ্য জানিয়েছেন। আতসুগি ঘাঁটি ছেড়ে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে কানাগাওতে প্রিফেকচারের ইবিনার মাঠে  ৩ আগস্ট বেলা ১০ টা ৫৫ মিনিটে এই ঘটনাটি ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।হেলিকপ্টারেও বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

ঘটনার সময় হেলিকপটারে ১২ জন সদস্য ছিলেন। সবাই নিরাপদে আছেন। এই ঘটনার কারণ হিসেবে মার্কিন সামরিক বাহিনী ইঞ্জিনের ত্রুটির কথা বলেছেন। ঘটনার প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পরে হেলিকপ্টারটি পুনরায় আকাশে ওড়ে। অন্যদিকে ইউএস নেভাল এয়ার ফ্যাসিলিটি আতসুগি বলেছে, আকাশে কিছু ত্রুটি ধরার পর জরুরি অবতরণ অবতরণ করা হয়েছিল। তারা আরো জানায়,ঘটনাটি তদন্ত করা হবে এবং কিন্তু ফ্লাইটের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।

 আবার দমকল কর্মীদের মতে, হেলিকপ্টারটি পশ্চিম জাপানের ইয়ামাগুচি প্রিফেকচারের ইওয়াকুনির একটি ঘাঁটির দিকে যাচ্ছিল। ঘটনার পর কোনো জ্বালানি ছিটকে পড়েনি বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলে রকেট হামলা হিজুবুল্লাহর

Asia Monitor18 লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের ভূখণ্ডে কয়েক ডজন ‘কাতিউশা’ রকেট ছুড়েছে বলে জানাচ্ছে তারা। হিজুবুল্লাহ জানায় গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে তারা। সর্বশেষ এই হামলা চালাল তারা। এই হামলার ঘটনা মূলত ঘটছে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বেইত হিলেল এলাকায়। অবশ্য এর  আগে লেবাননের কেফার কেলা ও দেইর সিরিয়ানে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছিল। কয়েকজন বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছিলেন এই ঘটনায়। এর জবাব দেওয়ার জন্য ইসরায়েলই ভূখণ্ডে রকেট ছুঁড়ছে হিজুবুল্লাহ।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া ও হিজুবুল্লাহ সিনিয়র কামান্ডার এবং ফুয়াদ শুকরকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে চলছে চরম উত্তেজনা। দুই শীর্ষ নেতাকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করছে ইরান, হামাস ও হিজুবুল্লাহ। সেই সঙ্গে প্রতিশোধের কথাও বলছে তারা। এরপরই ইসরায়েলে হামলা হয়। তবে ইসরায়েল কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহত হয়েছে তা নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি।

ইসরায়েলই সামরিক বাহিনী জানিয়েছে রকেট নিক্ষেপের কিছুক্ষণ পরই বিমান বাহিনী হিজুবুল্লাহর লঞ্চারে আঘাত করে মূলত সেখান থেকেই এসব রকেট নিক্ষেপ করা হচ্ছিল। শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠী প্রায় ১০ মাস ধরে ইসরায়েলে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে।

পথে পথে বিজয়োল্লাস, দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাঁরা হেলিকপ্টারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা গণভবন থেকে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি সে সুযোগ পাননি।

সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ- জামান জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন, এমন ঘোষণা আসার পর মানুষের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি ছড়িয়ে পড়ে। শত শত মানুষ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় নেমে পড়ে। কোথাও কোথাও কর্তব্যরত সেনাসদস্যদের সঙ্গে মানুষকে হাত মেলাতে দেখা যায়। মানুষ হেঁটে যে যেমন যান বাহন পেয়েছেন, তাতে করে এগুতে থাকেন। কাউকে কাউকে রাস্তায় সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতাসূচক সেজদা দিতে দেখা যায়। আনন্দে কেঁদে ফেলেন অনেকে। স্বস্তির সঙ্গে বয়লতে থাকেন দেশ স্বাধীন হলো। নারী শিশুরাও পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে আসেন।

রামপুরায় আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘এতদিনের আন্দোলন স্বার্থক হলো। রিকশাচাল্কেরাও বিজয়োল্লাশে সামিল হয়েছেন।

একাধিক রিকশাচালককে ভাড়া ছাড়াই আন্দোলনকারীদের পরিবহন করতে দেখা গেছে। তাহিতুল ইসলাম নামের একজন রিকশাচালক বলেন, ‘আজকে আর ভাড়া নিমু না।’

একই চিত্র দেখা যায়, মিরপুর, মোহাম্মদপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। রামপুরা টিভি সেন্টারের মধ্যে সেনাবাহিনীকে অবস্থান কোরতে দেখা যায়। জনতার উদ্দেশ্যে তাদের তাদের হাত নাড়তে দেখা যায়।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, গণভবনের মধ্যে প্রবেশ করেছেন আন্দোলনকারীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন বল্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

দিনভর সংঘাত-সংঘর্ষ,সারা বাংলাদেশে পুলিশ সদস্যসহ নিহত ৯৮

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সর্বাত্মক অসহযোগের ডাক দেওয়া হয় রবিবার। আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা তুলে ধরেন। এর আগে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের পালটাপালটি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দিনভর সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় রাত ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সারা দেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮-এ।

এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী নিহতদের মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, ফেনীতে ৮ জন, লক্ষ্মীপুরে ৮ জন, সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ মোট ২২ জন, কিশোরগঞ্জে ৫ জন, রাজধানী ঢাকায় ১১ জন, বগুড়ায় ৫ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, ভোলায় ১ জন, রংপুরে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, সিলেটে ৫ জন, কুমিল্লায় পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন, শেরপুরে ২জন, জয়পুরহাটে ২ জন, হবিগঞ্জে ১জন, ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১ জন, সাভারে ১ জন, কক্সবাজারে ১ জন, বরিশালে ১ জন ও গাজীপুরের শ্রীপুরে ১ জনসহ ৯৮ জন নিহত হয়েছেন।

খুলনায় সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

খুলনায় কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে সুমন কুমার ঘরামী নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। এলাকাবাসীও সেখানে ভিড় করেছেন। তার মৃত্যুর খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।


শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে সুমন ঘরামী নামে ওই পুলিশ সদস্য নিহত হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহসীন হোসেন।

সুমন উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কিসমত মালিপাটন গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শুশীল ঘরামীর ছেলে। তিনি খুলনা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন।

গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিটন মোল্লা জানান, সুমন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ছিলেন। তার ৪ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

পরিবারের একমাত্র উপার্যনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে মুক্তিযোদ্ধা শুশীল ঘরামী বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। মা গীতা রানী ও স্ত্রী পাগলীনী। তার মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে বলেও জানান চেয়ারম্যান লিটন মোল্লা।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের মিছিল-বিক্ষোভে উত্তাল রাজশাহী

বৃষ্টি উপেক্ষা করে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারীদের নানা স্লোগানে উত্তাল রাজশাহী নগরী। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অংশ নেয়।

শনিবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে উঠে নগরীর তালাইমারী।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, শিক্ষার্থী হত্যার বিচার চাই। খুনি সরকারের পদত্যাগ চাই। দাবি এখন একটাই।

জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলা গেট এবং তালাইমারী সংলগ্ন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের গেট সহ বিভিন্ন স্থান থেকে দলবেধে বিক্ষোভ নিয়ে তালাইমারী মোড়ে জড়ো হন শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অবিভাবকসহ নানা পেশার প্রায় ২ হাজার মানুষ। বিক্ষোভ চলাকালে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ নিয়ে ভদ্রার দিকে যান আন্দোলনকারীরা। কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে অবস্থান নেয় তারা। ফেরার পথে তালাইমারী মোড়ের পুলিশ বক্সের জানালা ভাঙচুর করে এবং পুলিশকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে দিতে তারা মোড় ত্যাগ করে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

খাদ্য মূল্যস্ফীতির ‘লাল’ শ্রেণিতে বাংলাদেশ

খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে ‘লাল’ শ্রেণিতে আছে বাংলাদেশ। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে। বাংলাদেশ ছাড়াও আরও ১৪টি দেশ এই শ্রেণিতে আছে। বিশ্বব্যাংক গত এক বছরের খাদ্য মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি বিবেচনা করে বাংলাদেশকে এই শ্রেণিতে রেখেছে।

বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। এরপর তা ৮ শতাংশের ঘরে নেমে এলেও সম্প্রতি আবার ৯ শতাংশের ঘরে উঠেছে। চলতি বছরের জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বা ১০ শতাংশের কাছাকাছি উঠে গেছে।

তবে বিশ্বব্যাংকের খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক ওই হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বের অনেক দেশেই খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। এমনকি অর্থনৈতিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ শ্রীলঙ্কার খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৪ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে পাকিস্তানের খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমলেও এখনো প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ।

মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ, মিসর, জাপান, ভিয়েতনাম ও আর্জেন্টিনার খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার এখনো বাড়তি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল ও মালদ্বীপে মূল্যস্ফীতির সূচক নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ছাড়া সব দেশেই খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের মার্চ-জুন সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি ছিল জিম্বাবুয়েতে ৮০ শতাংশ। এরপর সবচেয়ে বেশি ছিল লেবাননে, সেখানেও তা ৪৪ শতাংশ। মিসরে ৩০ দশমিক ১ শতাংশ।

ছয় মাস আগেও বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে লাল শ্রেণিতে বেশ কয়েকটি উন্নত দেশও ছিল। ওই সময় এই শ্রেণিতে সব মিলিয়ে ছিল ৩৪টি দেশ। ছয় মাসের ব্যবধানে লাল শ্রেণি থেকে বের হয়ে গেছে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য। মূলত নানামুখী পদক্ষেপের কারণেই এসব দেশ উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছে। তাই দেশগুলোকে লাল শ্রেণি থেকে বাদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

গত এক বছরে বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। বিবিএসের হিসাবে, গত ১২ মাসের মধ্যে ৭ মাসই খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে ছিল। গত বছরের আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে উঠেছিল, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সর্বোচ্চ।

সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৭২ শতাংশে, যা অর্থবছরওয়ারি হিসাবে অন্তত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। পুরো অর্থবছরের কোনো মাসেই সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে নামেনি। আবার ১০ শতাংশও ছাড়িয়ে যায়নি। অন্যদিকে জাতীয় মজুরি হারের প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ৭ শতাংশের মতো।

তুরস্কে বন্ধ জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রাম   

Asia Monitor18 সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রাম  নিষিদ্ধ করেছে তুরস্কের সরকার। নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে দেশটির তথ্য যোগাযোগ মন্ত্রী ফাহরেত্তিন আলতুন এক বিবৃতিতে জানান ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষ নেতা ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার নিহত হওয়ার সংবাদ এবং এই ঘটনায় যারা সান্ত্বনা জানিয়েছেন তাদের পোস্ট ‘সেন্সর’ করায়  এই ঘোষণা করা হয়। হানিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে যারা পোস্ট দিতে চাইছেন তারা পোস্ট দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আর এমনটা ঘটেছে সেন্সরশিপের কারণে।

ইন্সটাগ্রামের প্রতি নিন্দা জানিয়ে আলতুন আরও বলেন যে ইসমাইল হানিয়ার নিহতের ঘটনা সংক্রান্ত কোন সংবাদ ইন্সটাগ্রামে নেই। এছাড়াও তিনি বলেন যে প্রতিষ্ঠান মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে আমরা তাদের প্রতি কঠোর নিন্দা জানাই।

ইন্সটাগ্রাম হল তুরস্কের যোগাযোগ মাধ্যমগুলির মধ্যেসবচেয়ে জনপ্রিয়। দেশটির পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশের মোট ৮ লাখ ৩০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করে।

অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্সটাগ্রাম বন্ধ করা হয়েছে তুরস্কে। তুরস্কে যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করার ঘটনাটি এবারেই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৪ সালে দুই সপ্তাহের জন্য এক্স(সাবেক টুইটর) এবং দুই মাসের জন্য ইউটিউব বন্ধ করা হয়েছিল দেশটিতে। আবার ২০১৭-২০২০ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ তিন বছর উইকিপিডিয়া বন্ধ ছিল।

নাইজেরিয়ায় জারি ২৪ ঘণ্টার কারফিউ

Asia Monitor18 নাইজেরিয়ায় জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় নিয়ে বিক্ষোভের মাঝে দেশটির উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি রাজ্যে ২৪ ঘন্টব্যাপী কারফিউ জারি হয়েছে। গতকাল স্থানীয় সরকার কানো, জিগাওয়া, ইয়োবে ও কাতসিনা রাজ্যজুড়ে দিবারাত্রি কারফিউ জারি করেছে। এবং অঞ্চলগুলোর লাখ লাখ বাসিন্দাকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার ও প্রতিবাদে অংশগ্রহণ না করার নির্দেশ দিয়েছে।  এই কারফিউ জারির কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘দুষ্কৃতকারীরা’ লুট ও সম্পত্তি ভাংচুর করতে প্রতিবাদ ছিনতাই করেছে, তাই কারফিউ জারি করা প্রয়োজন হয়েছে বলে মনে করা হয়।

উত্তরাঞ্চলীয় চার রাজ্যের আরেক প্রতিবেশী  রাজ্য বর্নোতে বৃহস্পতিবার দিবারাত্রি কারফিউ জারি করা হয়। তবে সেখানে বিধিনিষেধের কারণ  প্রাণঘাতী এক বোমা হামলা। পুলিশসূত্রে খবর, বুধবার রাতে গ্রামীণ বাজার কায়োরির এক চায়ের দোকানে বিস্ফোরণের কারণে ১৬ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন, তাদের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানানো হয়েছে। এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে স্থানীয়দের ধারণা জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের এই কাজটি করেছে। এ গোষ্ঠীটি ২০০৯ সাল থেকে নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলজুড়ে তৎপরতা চালিয়ে আসছে ।

অন্যদিকে প্রায় নয় দিনেরও বেশি সময় ধরে  নাইজেরিয়াজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। এ সময় দেশব্যাপী নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচুর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।  নয়দিনের মধ্যে প্রথম দিন কানোতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়। হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টায় পুলিশ টিয়ার শেল ও গুলি ছোড়ে এবং গরম জল ছিটায়। এ সময় গুলিতে অন্তত তিনজন নিহত এবং বহু আহত হন।

লুটপাটকারীরা কানোর গভর্নর হাউজের কাছে একটি গুদাম ভেঙে ২৫ লিটারের বাদাম তেলের কার্টুন ও অন্যান্য সামগ্রী লুট করে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার পর থেকে ২৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করে লুট হওয়া অনেক মালামাল উদ্ধার করেছে তারা।

error: Content is protected !!