Daily Archives: August 23, 2024

 ১২ টি জেলার মোবাইল টাওয়ার অচল বন্যায়  

Asia Monitor18 দেশের উত্তর- পূর্বাঞ্চলে হটাত বন্যায় নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ, ১২ টি জেলায় অচল হয়ে গেছে ২ হাজার ২৫ টি টাওয়ার এগুলি ৫ টি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ১২ হাজার ১৭৯ টি টাওয়াররের মধ্যে এখনও ১০ হাজার ১৫৪ টি টাওয়ার সচল রয়েছে। ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া এলাকার জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০ টি ভি- স্যাট প্রস্তুত করা হয়েছে যার মধ্যে ৫ টি ভি- স্যাট  ফেনীতে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত প্রায় ১৬। ৭ শতাংশ টাওয়ার অচল হয়েছে।

বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যানড  অপারেশন বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী। এই জেলাতে প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি টাওয়ার অচল হয়েছে। এই এলাকায় ৬৫৬ টি টাওয়ারের মধ্যে ৫৯০ টি অচল হয়ে গেছে।

এছাড়াও নোয়াখালীতে ৩৮০, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৩, হবিগঞ্জে ২, মৌলভীবাজারে ৩৯, সুনামগঞ্জে ১১, কুমিল্লায় ৫৩৩, চাঁদপুরে ৪৭, চত্যগ্রামে ৭৫, খাগড়াছড়িতে ৩৬, লক্ষ্মীপুরে ৫৪, রাঙ্গামাটিতে ১৭ টি  টাওয়ার কাজ করছে না।  

বন্যার মধ্যে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখার উদ্দেশ্যে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে বিটিআরসি। সংস্থাটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে ১৫ জনের এমারজেন্সি রেসপন্স দল গঠিত করা হয়েছে যারা দুর্যোগের সময় ও পরে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দায়িত্ব পালন করবে।

খোঁজ মিলল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরার

Asia Monitor18 আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় একটি হীরার সন্ধান পাওয়া গেছে। বতসোয়ানার খনিতে পাওয়া হীরাটি ২ হাজার ৪৯২ ক্যারেটের। এই হীরাটি বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোনের প্রায় ৫০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত কারোই খনি থেকে পাওয়া গেছে। এটি বিভিন্ন হীরার মধ্যে পাওয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরা। এই হীরাটি পাওয়া গেছে বতসোয়ানায় কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান লুকারা ডায়মন্ডের মালিকানাধীন একটি খনি থেকে।  

দেশটির সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এটি তাদের আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় হীরা। এর আগে তাদের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার ছিল ২০১৯ সালে একই খনিতে পাওয়া ১ হাজার ৭৫৮ ক্যারেটের একটি পাথর। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরিসংখ্যান অনুসারে,  বতসোয়ানা বিশ্বের বৃহত্তম হীরা উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। দেশটির আয়ের প্রধান উৎস হল হীরা উৎপাদন। দেশটির জিডিপির প্রায় ৩০ শতাংশ আসে হীরা থেকে। এছাড়াও খনি থেকে প্রাপ্ত ৮০ শতাংশ হীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়।

এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরাটি পাওয়া যায় ১৯০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায়। যেটি ছিল ৩ হাজার ১০৬ ক্যারেট বিশিষ্ট।  কুলিনান হীরাটি নয়টি অংশে ভাগ ছিল যার অধকাংশ ব্রিটিশ ক্রাউন জুয়েলসে।

এই অসাধারণ ২ হাজার ৪৯২ ক্যারেট হীরা খুঁজে পেয়ে আনন্দিত বলে প্রকাশ করেছে হীরা কোম্পানিটির প্রধান উইলিয়াম ল্যাম্ব। হীরাটির রত্নগুণ এবং এর মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি লুকারা ডায়মন্ডএর পক্ষ থেকে। হীরাটি  শনাক্তের জন্য এক্স- রে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। হীরা ভাঙন ও নষ্টের হাত থেকে রক্ষার জন্য ২০১৭ সাল থেকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে প্রতিষ্ঠানটি।

দক্ষিণ কোরিয়ার হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

Asia Monitor18 দক্ষিণ কোরিয়ার বুচিয়ন নামক একটি শহরে একটি আবাসিক হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। জানা গেছে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিটে নয়তলা ওই হোটেলের আট তলায় আগুন লাগে। এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে ৭ জনের মৃত্যু হয় এবং ১২ জন আহত হন। যারা মারা গেছেন তাদের অধিকাংশই ছিল হোটেলের অতিথি। আহতদের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা শোচনীয়।

হোটেলটিতে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যাইনি।তবে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা। ৭০ টি গাড়ি ও ১৬০ জন কর্মীকে আগুন নেভাতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দমকল বিভাগ। আগুন নেভাতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগেছিল। আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে না পড়লেও ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক পরিমাণে হয়েছে।

আগুনের হাত থেকে বাঁচতে দুই ব্যক্তি ফায়ার ডিপার্টমেন্টের দেওয়া ম্যাত্রেসের উপর দিয়েছিলেন কিন্তু গদি উল্টে যাওয়ার ফলে মাটিতে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। বুচিওন ফায়ার ষ্টেশনের কর্মকর্তা লি স্যাং- ডন বলেন, হোটেলটি ২০০৩ সালে তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেন আগুন নেভানোর জন্য জলের ব্যবস্থা না থাকায় তা আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে।

আগুন লাগার ক্ষেত্রে হোটেলের ম্যানেজারদের গাফিলতি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।  

ইউক্রেনের কুরস্ক আগ্রাসন বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় জনশক্তি সংকটের মুখে পড়েছে রাশিয়া

রাশিয়া সারা বছর ইউক্রেনে যত ভূখণ্ড দখল করেছে তার চেয়ে বেশি রুশ ভূখণ্ড দুই সপ্তাহে দখল করেছে ইউক্রেন।

কুরস্ক অভিযানের ফলে রাশিয়ার জন্য একটি বড় কৌশলগত আঘাত এসেছে, যা ইউক্রেনের আক্রমণাত্মক ক্ষমতা ও কৌশলগত দক্ষতাকে প্রদর্শন করছে। এই অভিযান, যা দ্রুত এবং কার্যকর সামরিক পদক্ষেপ দ্বারা চিহ্নিত করা হচ্ছে, এটা ইউক্রেনের জন্য শুধু ভূমি দখল নয় বরং রাশিয়ার সম্পদ এবং জনশক্তির উপর চাপও সৃষ্টি করেছে। রাশিয়ার বাহিনী বর্তমানে গুরুতর জনশক্তির সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে, যা দখলকৃত এলাকা নিয়ন্ত্রণ এবং ইউক্রেনীয় অগ্রগতি মোকাবেলাতে তাদের অসুবিধা বাড়াচ্ছে।

এই পরিস্থিতি রাশিয়ার সামরিক কৌশল ও ক্ষমতার একটি তীব্র পুনর্মূল্যায়নকে প্ররোচিত করে। ইউক্রেনীয় বাহিনীর দ্রুত অগ্রগতি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা অপারেশনগুলির দুর্বলতা প্রকাশ করেছে এবং তাদের বর্তমান সামরিক প্রতিশ্রুতির টেকসইতা সম্পর্কেও প্রশ্ন তুলেছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী এই অর্জনগুলিকে ব্যবহার করতে থাকলে, রাশিয়ার সামরিক সম্পদের উপর চাপ আরও বাড়বে, যা রাশিয়ার সামনের লাইন স্থিতিশীল করার এবং নিয়ন্ত্রণ পুনর্বহালের প্রচেষ্টাকে আরও জটিল করে তুলবে।

এই পরিবর্তিত সংঘাত অঞ্চলটিতে শক্তির ভারসাম্যেতার পরিবর্তনকে তুলে ধরে, ইউক্রেন উল্লেখযোগ্য ভূমি পুনরুদ্ধারের সক্ষমতা প্রদর্শন করছে এবং রাশিয়া তার ভূখণ্ড রক্ষা করতে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এই তীব্র সংঘাতের সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে চিহ্নিত , যা ভবিষ্যতের কৌশলগত সিদ্ধান্ত ও কূটনৈতিক আলোচনার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

রেল ফোর্স ওয়ান: প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিলাসবহুল ট্রেন সফর যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে

একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইউক্রেন সফরের জন্য একটি ট্রেন বিশেষভাবে সজ্জিত করা হয়, যা “রেল ফোর্স ওয়ান” ব্যবহার করে। এই সফর বা যাত্রা চলমান সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের মধ্যে দিয়েই অনুষ্ঠিত হয়।

রেল ফোর্স ওয়ান হল একটি বিলাসবহুল, কাস্টম-ডিজাইন করা ট্রেন যা উচ্চ পর্যায়ের অভ্যাগতদের জন্য তৈরি। এই এক্সক্লুসিভ ট্রেনটিতে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বিলাসবহুল আবাসন এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে যা যাত্রীদের নিরাপত্তা ও আরাম নিশ্চিত করে। ট্রেনটিতে ব্যক্তিগত কেবিন, বৈঠক কক্ষ, এবং খাবারের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত যা উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজন মেটায়।

সফরের সময়, ট্রেনটি ইউক্রেনের এমন অঞ্চলগুলোতে চলাচল করেছে যা ব্যাপকভাবে যুদ্ধের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, যা ট্রেনের বিলাসিতা এবং বাইরের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে একটি বৈসাদৃশ্য তুলে ধরে। সফরটি পরিকল্পিত ছিল যাতে যুদ্ধের প্রভাবিত অঞ্চলে নিরাপদভাবে চলাচল করা যায়, যা কূটনীতি এবং নিরাপত্তার সূক্ষ্ম ভারসাম্যকে তুলে ধরে।

মোদীর এই সফর শুধুমাত্র এক প্রকাশ্য সমর্থন ছিল না, বরং ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করার উদ্দেশ্যও ছিল। রেল ফোর্স ওয়ান ব্যবহারের মাধ্যমে সফরের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে, যা ভারতের আন্তর্জাতিক কূটনীতির প্রতি গম্ভীর মনোভাবকে প্রতিফলিত করে।

কিয়েভে মোদি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ভারত কী অবসান ঘটাবে!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ ইউক্রেন সফরে গেছেন। ১৯৯২ সালে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এটিই হবে কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেনে প্রথম সফর।

“এটা ভারতের দৃঢ় বিশ্বাস যে যুদ্ধের ময়দানে কোনো সমস্যার সমাধান করা যায় না। যে কোনো যুদ্ধে, নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি হয় যা সমগ্র মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২২শে আগস্ট ওয়ারশতে তার পোল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড টাস্কের সাথে আলোচনার পর মিডিয়া কথোপকথনে জানান।

এই মন্তব্যের মাধ্যমে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার দুই দিনের পোল্যান্ড সফর শেষ করেছেন এবং এখন ট্রেনে করে ইউক্রেনে পৌঁচ্ছেছেন, যেখানে তিনি রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে দেখা করবেন। এই সফর অভূতপূর্ব; রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মোদির প্রথম এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন আলাদা হওয়ার পর ভারতীয় কোনো নেতার প্রথম যাত্রা।

ইউক্রেন বর্তমানে যে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদী ইউক্রেন সফরে আসায় তার কিছুটা সমাধান হতে পারে বলে মনে করছেন ভারতীয় প্রবাসীরা। ইউক্রেনিয়ানরাও এটা চায় যে প্রধানমন্ত্রী মোদী দুই দেশের মধ্যে শান্তির বার্তা দিক এবং যুদ্ধের অবসান হোক।

পোল্যান্ডের ওয়ারশতে একটি কমিউনিটি ইভেন্টের সময় ভারতীয় প্রবাসীদের ভাষণ দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মানবতার স্বার্থে বিশ্বে শান্তি ও সংলাপের পক্ষে কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন, “ভারত বুদ্ধের ঐতিহ্যে বিশ্বাস করে, তাই যুদ্ধে নয় শান্তিতে বিশ্বাস করে। ভারত এই অঞ্চলে শান্তির প্রবক্তা এবং এটা স্পষ্ট যে এটা যুদ্ধের সময় নয়। সংকটজনক পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের একত্রিত হতে হবে।”

চার দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বন্যায় বিপর্যস্ত ত্রিপুরার একাধিক এলাকা

ত্রিপুরার বন্যা পরিস্থিতি, গত চার দিনের ভারী বৃষ্টিতে বন্যায় ত্রিপুরা বিপর্যস্ত হয়েছে, বৃহস্পতিবারও তার ভয়াবহতা লক্ষ্য করা যায়। দক্ষিণ ত্রিপুরায় ধস নেমে মাটির নিচে চাপা পড়ে মহিলা ও শিশু সহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ ত্রিপুরার আটটি জেলায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারী করেছে, ত্রিপুরা প্রশাসন জানিয়েছেন।

গত চার দিনের ভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে ত্রিপুরায়। ত্রিপুরার বন্যায় নিহত হয়েছেন ১৯ জন যার মধ্যে ৭ জনের ধসের কারণে মৃত্যু ঘটে,২ জন নিখোঁজ,ঘরছাড়া প্রায় ৬৫ হাজারেরও বেশী মানুষ,রাজ্য সরকারের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে জানিয়েছেন ।

অবিরাম ভারী বৃষ্টি চলতেই থাকবে, রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে দক্ষিণ ত্রিপুরায়।এনডিআরএফ-এর বেশ কয়েকটি দল ত্রিপুরায় এয়ারলিফট করে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। ৬হাজার মানুষকে জলমগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে।
রাজ্যেজুড়ে প্রায় ৪৫০ টিরও বেশী ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।বন্যার কারণে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে,সড়কপথেও যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে,ভারী বৃষ্টির কারণে অনেক ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে।

২০৩২টি অঞ্চলে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ১,৭৮৯টি অঞ্চল সংস্কার করা হয়েছে এবং অন্যান্য স্থানে পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। ধলাই, খোয়াই, দক্ষিণ ত্রিপুরা, পশ্চিম ত্রিপুরা, উত্তর ত্রিপুরা ও উনাকোটি জেলার ছয়টি নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

“ত্রিপুরায় গতকাল ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে, বিশেষ করে দক্ষিণ ত্রিপুরায় (বগাফা: ৪৯৩.৬ মিমি), সেপাহিজলা (সোনামুরা: ২৯৩.৪ মিমি), পশ্চিম ত্রিপুরা (আগরতলা: ২৩৩ মিমি) এবং গোমাইপুরে : ১৫৫ মিমি)। ফলস্বরূপ, সমগ্র রাজ্য বন্যা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে গোমতি, দক্ষিণ ত্রিপুরা, উনাকোটি এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাগুলি, “ত্রাণ, পুনর্বাসন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে।

error: Content is protected !!