Daily Archives: August 13, 2024

উত্তরের গাজায় প্রাণঘাতী বিমান হামলার পর, দক্ষিণে নতুন করে সরানোর নির্দেশ; সংকটে বহু মানুষের জীবন

গাজা উপত্যকার উত্তরের একটি এলাকায় সাম্প্রতিক এক প্রাণঘাতী বিমান হামলায় অন্তত ৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণের কিছু অংশে নতুন করে মানুষ সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই হামলার ফলে উপত্যকাজুড়ে মানবিক সংকট আরও গভীর হয়েছে, আর লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

গাজায় চলমান সংঘর্ষে প্রতিদিনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে, যা হাজার হাজার পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করেছে। দক্ষিণের দিকে মানুষদের সরিয়ে নেওয়ার এই নতুন নির্দেশের ফলে, সংঘর্ষের এলাকা আরও বিস্তৃত হচ্ছে এবং আশ্রয়প্রার্থী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

এই সংকটের মধ্যে হামাস দাবি করেছে, গত মাসে যে চুক্তি হয়েছিল তার বাস্তবায়ন করা হোক এবং তারা নতুন কোনো আলোচনায় বসতে অস্বীকার করেছে। তাদের মতে, পূর্বে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, সেটাই সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায়। তবে, এই অবস্থানের ফলে, আলোচনা এবং কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।

সংকটটি এখন শুধু গাজার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই; বরং এটি পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলছে। প্রতিবেশী দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, কিন্তু কার্যকর সমাধান এখনও অধরা।

গাজায় এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ফলে যে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে, তা দ্রুত সমাধান না হলে, এটি আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অথচ, আপাতত শান্তি এবং স্থিতিশীলতার কোনো সুরাহা দেখা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রবল বিক্ষোভ মিছিল দেশজুড়ে, নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের দাবিতে জমায়েত শাহবাগে

বাংলাদেশে সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া সহিংস হামলা এবং বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিরাপত্তা ও সমান অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে ঢাকার শাহবাগে একটি বিশাল জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এবং বসতবাড়িতে হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। শাহবাগের কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ মিছিলটি দেশের অন্যান্য শহরেও অনুরূপ আন্দোলনের সূচনা করেছে।

বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, তাদের ধর্মীয় উৎসব এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে তারা চরম উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তারা সরকারের কাছে অবিলম্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানান। শাহবাগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, “আমরা আমাদের নিজ দেশে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। সরকারকে অবশ্যই আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অনেকেই জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দুদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে না। তারা আরও বলেন, এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, কিন্তু সঠিক পদক্ষেপের অভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া হিসেবে বলা হয়েছে, দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং যেকোনো ধরনের সহিংসতা কঠোরভাবে দমনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উপর নজর রাখবে বলে জানিয়েছে। তাদের মতে, দেশের শান্তি ও সহাবস্থান নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন জরুরি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই বৃহত্তম আক্রমণ,পুতিনের কী প্রতিক্রিয়া?কুরস্কে খয়ক্ষতি কতটা ইউক্রেনের হামলায়…

ইউক্রেন কি এখনও রাশিয়াকে আক্রমণ করছে! ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির পর, মঙ্গলবার ৬ আগস্টের আক্রমণটিকে “সবচেয়ে বড় আন্তঃসীমান্ত আক্রমণ” হিসাবে ধরা হয়। সোমবার একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে,ইউক্রেনের সেনারা ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে রাশিয়ার অভ্যন্তরে। তবে বেশিরভাগ মিডিয়া আউটলেট এই পদক্ষেপকে “আশ্চর্যজনক আক্রমণ” বলে অভিহিত করেছে।

৬ আগস্ট ইউক্রেন কুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে একটি বিস্ময়কর আক্রমণ চালায়। প্রায় ১,০০০ সৈন্য এবং ২৫টিরও বেশি সাঁজোয়া যান ও ট্যাঙ্ক ব্যবহৃত হয়।ইউক্রেনীয় সৈন্যরা কুরস্ক অঞ্চলের ২৮টি শহর ও গ্রাম দখল করেছে। এই আক্রমণে ১,০০,০০০ এরও বেশি বেসামরিক মানুষ পালিয়ে গেছে। কুরস্কের গভর্নর অ্যালেক্সি স্মিরনভ একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং প্রতিবেশী বেলগোরোড অঞ্চলেও পালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই আক্রমণের দায় স্বীকার করেনি, তবে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ‘বীরত্ব’ সম্পর্কে প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, রাশিয়াকে আরও চাপ দিলে শান্তি আরও তাড়াতাড়ি আসবে।বার্তা সংস্থা এএফপি-এর মতে, গত সপ্তাহে ইউক্রেনের হামলা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিদেশী সেনাবাহিনীর দ্বারা সবচেয়ে শক্তশালী আক্রমণ ” ।

পুতিন অভিযোগ করেছেন যে, ইউক্রেনের আক্রমণ বেসামরিক ভবন এবং অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে এবং এটি একটি বৃহৎ প্ররোচনা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, তারা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ধ্বংস করতে বিমান হামলা, রকেট এবং আর্টিলারি ফায়ার ব্যবহার করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবাই বলেছেন যে, তারা ইউক্রেনীয় অংশীদারদের সাথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে এবং কোনও নীতি পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, “রাশিয়া ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।”

রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনীয় সৈন্যদের পদক্ষেপের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পুতিন অভিযোগ করেছেন যে, ইউক্রেনের আক্রমণ একটি নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে এবং পশ্চিমা শক্তিগুলি ইউক্রেনকে তাদের আদেশ অনুসরণ করতে বাধ্য করছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী এই অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের সরাতে কঠোর পরিশ্রম করবে।

বাংলাদেশে ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ইস্তফা দিতে চাপ, যেন ‘তালিবানি’ শাসন চলছে

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের পদত্যাগের জন্য ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই চাপের পরিমাণ এবং তার প্রকৃতি নিয়ে সমালোচকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, অনেকেই এটিকে ‘তালিবানি’ শাসনের সাথে তুলনা করছেন।

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনের মধ্যে চলমান বিরোধ, অভিযোগ, এবং আন্দোলনের ফলে কয়েকজন উপাচার্যকে পদত্যাগের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ট্রাফিক কন্ট্রোল এবং প্রশাসনের নির্দিষ্ট মহল থেকে উপাচার্যদের ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। এ প্রসঙ্গে একাধিক উপাচার্য জানিয়েছেন, তারা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছেন এবং স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে এ ধরনের হস্তক্ষেপ এবং চাপ প্রয়োগের ফলে শিক্ষার মান এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, এভাবে চলতে থাকলে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা এবং মান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, ছাত্রসংগঠন এবং নাগরিক সমাজ এ পরিস্থিতির তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা বলছেন, উপাচার্যদের ওপর এমন চাপ প্রয়োগ করা দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং শিক্ষার স্বার্থের বিপক্ষে যায়। শিক্ষাঙ্গনে এ ধরনের অবস্থা চলতে থাকলে, ভবিষ্যতে শিক্ষাব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে।

এদিকে, সংশ্লিষ্ট মহলগুলো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করেছে। তবে সাধারণ জনগণ এবং শিক্ষাবিদরা এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু সমাধান আশা করছেন।

বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা ফেরাতে ফের পথে নামছে পুলিশ

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশজুড়ে পুলিশের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় অপরাধমূলক কার্যকলাপ, সহিংসতা, এবং সামাজিক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অপরাধ দমন এবং আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে পুলিশ নতুন করে ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিশেষ করে, বড় শহরগুলোতে এবং সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে চেকপোস্ট স্থাপন, সন্দেহভাজনদের তল্লাশি, এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। বিশেষ বাহিনী এবং গোয়েন্দা বিভাগগুলোও এই অভিযানে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকবে।

সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং জনসাধারণের আস্থা অর্জনে পুলিশের এই উদ্যোগকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেশজুড়ে এই তৎপরতা চলমান থাকবে এবং অপরাধের মাত্রা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জনগণকে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর ড্রোন হামলা, নিহত দুই শতাধিক

বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা রোহিঙ্গাদের ওপর ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত দুই শতাধিক নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

বহুদিন ধরেই গৃহযুদ্ধ চলছে মায়ানমারে। এখনও পর্যন্ত নেভেনি সংঘর্ষের আগুন। বার্মিজ সেনা তথা ‘টাটমাদাও’-সের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এর আঁচ এসে লাগছে পড়শি দেশগুলোতেও। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাংলাদেশ সীমান্তে ভিড় জমাচ্ছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা।

এই হামলার জন্য আরাকান আর্মিকে দায়ী করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের তিনজন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরাকান আর্মি।

এদিকে, এই ঘটনার জন্য মিলিশিয়া এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একে অপরকে দোষারোপ করেছে।

হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন তা যাচাই করতে পারেনি বা স্বাধীনভাবে দায় নির্ধারণ করতে পারেনি রয়টার্স।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে কর্দমাক্ত মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহের স্তূপ, তাদের স্যুটকেস এবং ব্যাকপ্যাকগুলোকে চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। হামলায় বেঁচে ফেরা তিন ব্যক্তি দাবি করেছেন, ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, কমপক্ষে ৭০টি মৃতদেহ তিনি দেখেছেন।

মিয়ানমারের উপকূলীয় মংডু শহরের ঠিক বাইরে ভিডিওগুলোর অবস্থান যাচাই করেছে রয়টার্স। তবে সেগুলো কবে ধারণ করা হয়েছে তা স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি সংস্থাটি।

error: Content is protected !!