Daily Archives: August 9, 2024

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেন ও কিয়েভের গোলাবর্ষণ হামলায় গুরুতর আহত বেশ কয়েকজন

গতকাল ইউক্রেন ও কিয়েভের সেনারা কুরস্কে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে রাশিয়ার সেনাদের সাথে তীব্র লড়াই হয়।ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণ হামলায় রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে ৫৫ জন আহত হয়েছে,যারা এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা খুবই গুরুতর, সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এমনটাই জানিয়েছে রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো।

“কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের গোলাবর্ষণ হামলায় আহত ৫৫ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ১২ জন রোগীর অবস্থা গুরুতর,যার মধ্যে ৮জন শিশু রয়েছে। আউটপেশেন্ট কেয়ার পেয়েছেন ২০ জন, যার মধ্যে দুজন শিশু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মুরাশকো আরও বলেন, শক্তিশালী চিকিৎসা দল তৈরী করা হয়েছে,যারা দ্রুত গতিতে কাজ অব্যাহত রেখেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ফেডারেল ডিজাস্টার মেডিসিন সেন্টার চিকিৎসা সহায়তার বিতরণ সমন্বয় করছে। “আহতরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন,” মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন।

৬ আগস্ট, কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে ব্যাপক আক্রমণ করা হয়। গোলাবর্ষণ এবং ড্রোন হামলায় অন্তত পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন এবং ৬০ জনেরও বেশি আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের মস্কো সহ অন্যান্য রুশ অঞ্চলে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, বাটলগ্রুপ নর্থ এবং ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) সুদঝানস্কি এবং করেনেভস্কি জেলায় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর প্রবাহিত হওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে। কুরস্ক অঞ্চলে সামরিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে কিয়েভ প্রায় ৯৪৫ জন সেনা এবং ১০২টি যন্ত্রপাতি হারিয়েছে, যার মধ্যে ১২টি ট্যাঙ্ক এবং ১৭টি আর্মার্ড পারসোনেল ক্যারিয়ার অন্তর্ভুক্ত।

ইউক্রেন ও কিয়েভপন্থী সেনারা রুশ সীমান্তে ঢুকে পড়ায় বাড়ে বিপত্তি,চলে তুমুল যুদ্ধ

বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই পক্ষের চরম যুদ্ধ হয়।ইউক্রেনের সেনা এবং কিয়েভপন্থী যোদ্ধারা কুরস্ক অঞ্চল দখল করার চেষ্টা করে।গত মঙ্গলবার রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী অঞ্চলটিতে ইউক্রেনের সেনা এবং কিয়েভপন্থী যোদ্ধারা ঢুকে পড়ে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয় জানায় যে, কুরস্কের পুরো অঞ্চলটি ইউক্রেন ও কিয়েভের সেনারা দখল করার চেষ্টা করে কিন্তু রুশ সেনারা তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করে। ২০২২ সালের ইউক্রেনে হামলার পর থেকে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কিয়েভপন্থী যোদ্ধারা অনেকবার অনুপ্রবেশ করেছে।আবার কখনো কখনো ইউক্রেন সেনাদের অনুপ্রবেশের খবরও পাওয়া যায়।

গতকাল ইউক্রেন ও কিয়েভের সেনারা কুরস্কে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে রাশিয়ার সেনাদের সাথে বাঁধে তীব্র লড়াই।রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয় থেকে এটিও জানানো হয় যে,রুশ সেনারা বুধবার ইউক্রেনের ৭টি যুদ্ধট্যাঙ্ক,সেনা পরিবহনের ৮টি গাড়ি, ৩১ টি যুদ্ধপরিবহনের গাড়িসহ মোট ৫০ টি যান ধ্বংস করে।ইউক্রেনের সেনা এবং কিয়েভপন্থী যোদ্ধারা কুরস্ক অঞ্চলে অনুপ্রবেশকে ‘বড় ধরণের উস্কানি’  বলে মন্তব্য করে রুশ প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার সকালে দুই ডজন সাঁজোয়া নিয়ে প্রায় এক হাজার ইউক্রেনীয় সেনা কুরস্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়ে।প্রথমদিকে রুশ সরকার অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও সীমান্ত থেকে সেনাদের হাটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটিও নিশ্চিত করে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইএসডব্লিউ সর্বশেষ পরিস্থিতির তথ্য দিয়ে জানায়, রুশ ভূখণ্ডের এ অভিযানে কুরস্ক প্রশাসনিক এলাকার প্রায় ১০ কিলোমিটার ভেতরে অগ্রসর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

সুদঝা শহরেই রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম রাখার কেন্দ্র। এই শহরকে ঘিরেই ইউক্রেনীয় সেনারা অগ্রসর হয়।প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দার এই শহর ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

বাংলাদেশেকে হাতিয়ার করেই কী এবার ‘চিন’ জলপথে ভারতের উপর নজরদারী চালাবে!

অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল হওয়ার পরই চিনা জাহাজের দেখা মিলল ভারত মহাসাগরে।ভারত মহাসাগরে কয়েক মাস ধরেই তাদের উপস্থিতি চোখে পড়ছিল। বর্তমানে চিনের তিনটি জাহাজ ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি চলে আসে। উপগ্রহ চিত্রে সেই সমস্ত জাহাজের অবস্থান চিহ্নিত করা গেছে,যা ভারতের জন্য একটি উদ্বিগ্নের বিষয়।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন মুহাম্মদ ইউনূস।ইউনূসের সাথে চিনের সম্পর্ক হাসিনা অপেক্ষাকৃত ভালো।ভারতের কূটনীতিবিদরা এটি অনুমান করছেন যে,ভারতের পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপর নজরদারী রাখার জন্যই চিনা জাহাজগুলি ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি বারংবার আসছে।আরও একটি উদ্বেগের বিয়ষ হল ভবিষ্যতে এই সমস্ত চিনা জাহাজগুলি শ্রীলঙ্কা অথবা মালদ্বীপে ঘাঁটি গড়তে পারে কিংবা বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী কোনো বন্দরে।

হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী কোনো বন্দরে ঘাঁটি গড়ার সুযোগ চিন সরকার পায়নি।কিন্তু চিন ইউনূস ঘনিষ্ট হওযায় সেই সুযোগ শি জিনপিং সরকারের কাছে রয়েছে।পূর্বেও চিন ভারতের উপর নজরদারী চালানোর জন্য ভারতের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপে ঘাঁটি গেড়েছিল।

একটি প্রতিবেদনের দাবি অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পূর্ব থেকে শুরু করে মূল ভারতীয় ভূখণ্ড এবং আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মাঝামাঝি আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করছে শিয়াং ইয়াং হং ০৩, জোং শান ডা শু এবং ইউন ওয়াং ৭ নামে তিনটি চিনা জাহাজ। এর মধ্যে জোং শান ডা শু চিনের ‘সামুদ্রিক গবেষণাগার’ নামে পরিচিত। ১১৪.৩ মিটার দীর্ঘ এবং ১৯.৪ মিটার প্রস্থ ৬৮০০ টনের জাহাজটি চিনের বৃহত্তম গবেষণা জাহাজ।

বৃষ্টির মধ্যেই স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান উপদেষ্টা। বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজান।পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে নিয়ে আবারও স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ড. ইউনূস স্মৃতিসৌধের দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছেন। ১০টার কিছু পরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা প্রথমে এককভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরে বাকি ১৩ উপদেষ্টাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই তাঁরা শ্রদ্ধা জানান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এ সময় ছাতা নিয়ে আসেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভকামনা জানালেন নরেন্দ্র মোদি

হাসিনার দেশত্যাগের তিন দিনের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হল বাংলাদেশে। গতকাল বাংলাদেশের বঙ্গভবনে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হল নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন ১৬ জন সদস্য।প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ায় তাঁকে শুভকামনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ নেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এই শুভকামনা জানান মোদি।

পাশাপাশি সেদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপরেও জোর দিয়েছেন। মোদি বলেন, ‘বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানাই, আমরা আশা করি খুব দ্রুত বাংলাদেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করা হবে।’

এদিন রাত ৯ টা নাগাদ বাংলাদেশের বঙ্গভবনের দরবার হলে মহম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি শাহবুদ্দিন। একই সঙ্গে ষোলো জন উপদেষ্টার মধ্যে ১৩ জন এদিনই শপথ নেন। টানা আন্দোলনের শেষে গত সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে আসেন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। তবে আগামীতে তাঁর গন্তব্য কী হবে তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জুড়ে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আক্রান্ত হন সংখ্যালঘু মানুষ। আওয়ামি লিগ নেতাকর্মীদের বাড়িও আক্রান্ত হয়। যদিও আন্দোলনরত ছাত্রদের পরামর্শ মেনেই মহম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করা হয়। আপাতত দেশে শান্তি ফেরানোর পাশাপাশি ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন করানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে ইউনূসের সামনে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানালো যুক্তরাষ্ট্র

হাসিনার দেশত্যাগের তিন দিনের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হল বাংলাদেশে। গতকাল বাংলাদেশের বঙ্গভবনে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হল নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন ১৬ জন সদস্য।

হাসিনার দেশত্যাগের তিন দিনের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হল বাংলাদেশে। সেই মতোই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে শপথ নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুস৷ গতকাল বাংলাদেশের বঙ্গভবনে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হল নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন ১৬ জন সদস্য।এর পরেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানায় আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে তারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

বৃহস্পতিবার মহম্মদ ইউনুসের শপথ গ্রহণের পরই আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিংসা বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন মহম্মদ ইউনুস৷ আমরা তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকার এবং মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সচেষ্ট। তাই আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং ইউনুসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত৷”

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধে ড. ইউনূসের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চায়। তাই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি।তিনি জানান, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার কূটনীতিক হেলেন লা ফাভে উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।এদিকে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, ইইউ বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের জটিল এ কাজে তাদের সহায়তা করা হবে। এ প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর ৬ আগস্ট বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এরপর ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে।

error: Content is protected !!