Daily Archives: August 1, 2024

মৃত্যুদণ্ড না দেওয়ার শর্তে দোষ স্বীকারে রাজি গুয়ানতানামোর ৩ বন্দিঃ ৯/১১ হামলা

Asia Monitor18 দুই যুগ অর্থাৎ প্রায় ২৪ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা পৃথিবীকে পাল্টে দিয়েছিল। সেই নাইন-ইলেভেনের ষড়যন্ত্রের দায় স্বীকার করতে রাজি হয়েছেন গুয়ানতানামোর তিন বন্দি। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল-কায়েদার সেই হামলায় নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া ও পেনসিলভেনিয়ায় প্রায় তিন হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এর জের ধরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে  যুদ্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তান ও ইরাকে শুরু হয় অভিযান। ১৯৪১ সালে হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের পার্ল হারবারে জাপানি হামলার পর ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা।

 মৃত্যুদণ্ড না দেওয়ার শর্তে ওই তিনজন আদালতে দোষ স্বীকার করতে রাজি হয়েছেন। বিচারের আগে চুক্তিতে পৌঁছানো তিন ব্যক্তির নাম হল– ওয়ালিদ মুহাম্মদ সালিহ মুবারক বিন আতাশ, মুস্তাফা আহমেদ আদম আল-হাওসাভি এবং খালিদ শেখ মোহাম্মদ।তারা বিনা বিচারে কিউবার গুয়ানতানামো’ তে মার্কিন নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে বছরের পর বছর ধরে আটক রয়েছেন।

প্রধান কৌঁসুলি রিয়ার অ্যাডমিরাল অ্যারন রুঘের চিঠিতে বলা হয়, “মৃত্যুদণ্ডের সম্ভাব্য শাস্তি না দেওয়ার শর্তে অভিযোগপত্রে তালিকাভুক্ত ২,৯৭৬ জনকে হত্যা সহ সব অপরাধের দোষ স্বীকার করতে সম্মত হয়েছেন তিন অভিযুক্ত।”তাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা, আইন লঙ্ঘন করে হত্যা, উড়োজাহাজ ছিনতাই, সন্ত্রাসবাদসহ আরও নানরকমের অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রধান কৌঁসুলি রুঘ তার চিঠিতে লিখেছেন, তিন আসামির সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে বলে বিষয়টি হালকা হয়ে যাচ্ছে তা মনে করার কিছু নেই। বিচারের জন্য এটি ‘সবচেয়ে ভালো পথ’। ৯/১১ হামলায় নিহত জিম স্মিথের স্ত্রী চুক্তির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই পশুগুলো আমাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে যা করেছে, তার বিচার আদালতে দেখার জন্য নিহতদের পরিবারগুলো ২৩ বছর ধরে অপেক্ষা করছে।

হানিয়ার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ খামেনির

Asia Monitor18 হানিয়া হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধের জন্য ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইরানি কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার সকালে ইরান জানিয়েছেন,হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে এবং এটা জানানোর কিছু সময় পরেই দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে খামেনি ওই আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন তারা।

তবে ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধরত ইসরায়েল হানিয়া হত্যার কথা স্বীকার বা অস্বীকার, কোনোটাই করেনি। স্বীকার না করলেও ইসরায়েলের এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটানোর প্রমাণ আছে। এর আগেও তারা ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী ও সামরিক কমান্ডারদের এ ধরনের গুপ্ত হামলা চালিয়ে হত্যা করেছিল।  

মঙ্গলবার হানিয়া তেহরানে গিয়েছিলেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। ওই অনুষ্ঠান শেষের কয়েক ঘণ্টা পর বুধবার দুপুর রাতে তেহরানে নিজ বাসভবনে সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন হানিয়া।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাস কম্পাউন্ডে ইসরায়েলি হামলায় বেশ কয়েকজন ইরানি কমান্ডার নিহত হওয়ার পর এপ্রিলে ইসরায়েলের ওপর প্রকাশ্যে সবচেয়ে বড় হামলাটি চালিয়েছিল তেহরান। হামলাটি চালাতে কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছিল তারা।

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি আরও বলেন, “হানিয়ার রক্তের বদলা নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।” কারণ তার হত্যাকাণ্ড ইরানের অভ্যন্তরে ঘটেছে। ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান, অন্য কর্মকর্তারা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গার্ডস ও ইরানের জাতিসংঘ মিশন, সবাই প্রকাশ্যে বলেছেন, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে এবং সার্বভৌমত্বে সীমা লঙ্ঘনের জবাব দেওয়ার অধিকার তাদের আছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার অভিযোগে নতুন মামলাঃ চট্টগ্রামে

Asia Monitor18  চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একটি নতুন মামলা করা হয়েছে সহিংসতার অভিযোগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৩০শে জুলাই রাতে কর্ণফুলী থানায় এই মামলাটি করা হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি-পিআর) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজের তরফ থেকে জানা যায়, ‌চট্টগ্রাম নগরীতে কোটা আন্দোলনে হত্যা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নাশকতার অভিযোগে নতুন একটি মামলা সহ বিভিন্ন থানায়  ২৩টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে নগর পুলিশের অভিযানে এ পর্যন্ত ৫৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।     

অন্যদিকে, জেলার থানাগুলোতে মামলা রয়েছে ১১টি। নগরী ও জেলায় সহিংসতার অভিযোগ মিলিয়ে মোট মামলার সংখ্যা ৩৪টি। মামলা গুলিতে আসামির সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় এই মামলাগুলিতে আরও ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশের অভিযানে  গ্রেফতার করা হয়েছে  প্রায়১২ জন এবং ৫ জন।  সব মিলিয়ে বুধবার বিকাল পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা ৩৪ মামলায় ৯৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু তৈয়ব জানিয়েছেন,, ‌‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সহিংসতার অভিযোগে জেলার বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জেলায় এ পর্যন্ত এসব মামলায় ৪০৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

error: Content is protected !!