ভারতীয় পড়ুয়া ছাড়াও নেপাল- ভুটান ও মালদ্বীপের পড়ুয়াদেরও ফেরানো হয়েছে ভারতে। কত কয়েক দিন ধরেই বাংলাদেশে চলছে কার্ফু, বন্ধু যাতায়াত ব্যবস্থা,ইন্টারনেট পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে তৎপর হল ভারতীয় হাই কমিশন।কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা, মালদার মহদিপুর কিংবা দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত, সর্বত্র ছবিটা একই রকম। হিলি সীমান্তে এ দিন প্রায় ৩০০ জন পড়ুয়া এসে পৌঁছন। তাঁরা নিজের বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন। হিলি দিয়ে যাঁরা ঢুকেছেন, তাঁদের মধ্যে ভারতীয় যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন নেপালের পড়ুয়ারাও। এদিকে কৃষ্ণগঞ্জ থানার গেদে সীমান্ত দিয়েও সোমবার বহু পড়ুয়া ভারতে ফিরেছেন। পাশাপাশি মালদার মহদিপুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ১০০ জন করে পড়ুয়ারা ভারতে ফিরছেন।
এপ্রসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফেরা ছাত্ররা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি বর্তমানে ভয়াবহ হলেও তার কোনও আঁচ তাঁরা পাননি। তাঁদের উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে বাংলাদেশের পুলিশ কর্মীরা ভারত সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেন।
এদিকে বাংলাদেশে কার্ফু জারি হওয়ার কারণে রবিবার থেকে আমদানি ও রফতানি বন্ধ হয়ে গেল হিলি সীমান্তের স্থলবন্দর দিয়ে। এপ্রসঙ্গে হিলি এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সুব্রত সাহা জানান, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় আমদানিকারী সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত দু-দেশের মধ্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে বলে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানা গেছে। এর ফলে রফতানি করার জন্য কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যার জেরে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে রফতানিকারীরা।