Monthly Archives: June 2024

ট্রাম্পের বিচারে নীরব ড্যানিয়েল

Asia Monitor18 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেশ সাহসের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে পর্ণ তারকা ড্যানিয়েলস। এই লড়াইয়ে তাকে ঘাবড়ে যেতে দেখা যাইনি। ২০০৬ সালে ট্রেইলর  পার্কে ড্যানিয়েল ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন। এরপর  ট্রাম্প ড্যানিয়েলকে বলেছিলেন তার সাথে ঘটা এই ঘটনা গোপন রাখতে।  ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই বিষয়টি গোপন রাখার জন্য ট্রাম্প ড্যানিয়েলকে ঘুষ হিসাবে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দেন। এই  অর্থ লেনদেনের তথ্যটি তিনি তার ব্যবসায়ীক নথিতে গোপন রাখার ফলে জালিয়াতির অভিযোগে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের ডিসট্রিক্ট  আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। এই মামলায়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪ টি অভিযোগ আনা হয় এবং প্রত্যেকটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।

ড্যানিয়েলস যার প্রকৃত নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের  বাসিন্দা তিনি।মায়ের সাথেই বসবাস করতেন। তিনি গরীব ছিলেন। ড্যানিয়েল নগ্ন মডেলিং ও পর্ণ ছবিতে অভিনয় শুরু করেনএছাড়াও বেশ কয়েকটি সফল সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন। ট্রাম্প ফৌজদারি মামলায়ে দোষী প্রমাণিত হলে একটিও শব্দ করেননি ৪৫ বছর বয়সি ড্যানিয়েল। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি ট্রাম্পের সমর্থকদের নানা কথার ও সমালোচনার শিকার হন এবং তিনি আদালতে সাক্ষ্য দেন।তিনি ট্রাম্পের সমর্থকদের নানা হুমকির শিকারও হন। ট্রাম্পের মামলায়ে শুনানি চলার সময় বেশ কয়েকটি জরিপে ভোটারদের প্রশ্ন করা হলে যে ট্রাম্প যদি দোষী প্রমানিত হয় তবে তারা কি বলবেন? উত্তরে তারা বলেন ট্রাম্প দোষী প্রমাণিত হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন কিছু সুবিধা পাবেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ ইসরায়েলের

Asia Monitor18 গাজা উপত্যকায়ে অবিরাম যুদ্ধের ফলে শান্তি স্থাপনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন  তিন স্তরের একটি যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা পেশ করেন। তিনি গত শুক্রবার এই পরিকল্পনা পেশ করেন। আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি হামাসের শাসন ও সামরিক ক্ষমতা শেষ করা এবং সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা কোন যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে না। তবে শেষমেশ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে রাজি হলেও ইসরায়েলের আরও দুই ডানপন্থী মন্ত্রী নাম জাতীয় নিরাপত্তা  মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল হুমকি দিয়ে বলেছেন যদি এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয় তবে তারা জোট সরকার ভেঙে দেওয়ার এবং নেতানিয়াহু এর পদত্যাগের হুমকি দিয়েছে। তারা বলেছেন হামাসকে ধ্বংস করার আগে সব চুক্তিই ইসরায়েলের বিপক্ষে। তাদের মতে এই চুক্তি মেনে নেওয়া মানে হামাসকে ধ্বংসের থেকে সরানো ও যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানো।

অন্যদিকে আবার বাইডেনের এই সিদ্ধান্তে ইসরায়েলই সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তেল আবিবের বেশ কয়েকহাজার মানুষ। এতে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ হলে হোক বলে দাবি করেছে তারা। আবার ইসরায়েলের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের অন্যতম নেতা ইয়ার ল্যাপিড জানিয়েছেন তিনি নেতানিয়াহু রাজি থাকলে এই বিষয় তার সমর্থন আছে। বাইডেনের তিন স্তরের চুক্তির দ্বারা ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। এই তিন স্তরের মধ্যে প্রথম স্তরে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে ইসরায়েলই সেনা প্রত্যাহার,নারিসহ কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস এছাড়া বয়স্কও আহত ফিলিস্তিন বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।দ্বিতীয় স্তরে পুরুষ সহ অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি প্রদান। তৃতীয় স্তরে মৃত ইসরায়েলই জিম্মিদের দেহাবশেষ গাজা থেকে ফেরত আনা এবং গাজায়ে ধ্বংস হওয়া ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল প্রভৃতি পুনর্নির্মাণ করা।

স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি ফিলিস্তিনকে

Asia Monitor18 ইউরোপের তিনটি দেশ ফিলিস্তিনকে  আগামী ২৮শে মে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাদের এই সিদ্ধান্তটি ইসরায়েলের বিপক্ষে ও হামাসের পক্ষে কোনটি নয় বলে জানিয়েছেন তারা। তারা বলেছেন এটি শুধুমাত্র শান্তির পক্ষে। ইউরোপের এই তিনটি দেশ যথাক্রমে আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ পরিষ্কার বলেছেন যে যারা ইসরায়েলকে ছোটও করবে এবং এর নিরাপত্তা নষ্ট করবে তাদের প্রতি ইসরায়েল নীরব থাকবে না। এর পরিণতি হবে গুরুতর। এই একই বার্তা তারা তিন দেশ আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, ও স্পেন উভয় কে দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে, ফিলিস্তিনিকে ভিন্ন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি প্রস্তাব পাস করেছে পরিষদের ১৪৩ টি দেশ যার মধ্যে অন্যতম হল বাংলাদেশ। তবে বেশ কিছু দেশ স্বীকৃতি দেইনি তারা হল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ অন্যান্য দেশ। এর মধ্যেও স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন  যে ২৮ শে মে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল।

আকাশছোঁয়া দামে নিলামে উঠল বিশ্বের সবচেয়ে দামি পালক

Asia Monitor18 বিশ্ব রেকর্ড করেছে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের হুইয়া পাখির পালক নিলাম। এই পালক নিলামে ২৮ হাজার ৩৬৫ মার্কিন ডলার যা নিউজিল্যান্ড ডলারের প্রায় ৪৬ হাজার ৫২১ ডলারে বিক্রি হয়েছে। গত সোমবার এটি নিলামে বিক্রি হয়। একটি আন্দাজ করা হয়েছিল এই পালকের দাম প্রায় ৩ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে কিন্তু তা রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

মাওরি জাতি হল নিউজিল্যান্ড ভূখণ্ডের আদিবাসী এবং পলিনেশিয় জাতি। এরা ১৩২০-১৩৫০ সালের মধ্যে বিভিন্ন যাত্রায়ে নিউজিল্যান্ডে আসে। মাওরি জাতির কাছে হুইয়া পাখি একটি পবিত্র পাখি। এই পাখির পালক মাওরি পরিবারের সদস্যরা মাথায়ে পরে থাকেন। তারা এই পালক ব্যবসার কাজে এবং উপহার হিসেবে দিয়ে থাকেন।

হুইয়া জাতের এই পাখিটি নিউজিল্যান্ডের ওয়ালবার্ড প্রজাতির ছোট গানের পাখি। এই পাখি প্রধানত তার সুসজ্জিত পালক এবং লাফানোর ভাল ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। নিউজিল্যান্ডের জাদুঘর অনুসারে, নিউজিল্যান্ডে যারা এসেছিলেন তাদের মধ্যে এই পাখির পালক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই প্রজাতির পাখিটি ফ্যাশন ব্যবসায়ীদের লাভের লোভে তাদের বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দিয়েছে।

ভারতে বাংলাদেশি সংসদ সদস্যের হত্যা: রহস্য ঘনীভূত

বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ছিলেন আনোয়ারুল আজিম অনার । কলকাতায় নিখোঁজ হয়ে হত্যার ঘটনাটি এখন একটি জটিল রহস্যে পরিণত হয়েছে।  

ভারতে প্রবেশ (১২ই মে ২০২৪)

আনোয়ারুল ১২ই মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসেন । তার নিয়মিত বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় যাতায়াত ছিল। কলকাতায় ওনার এক পারিবারিক বন্ধু ছিলেন, যার নাম গোপাল বিশ্বাস। তিনি গোপাল বিশ্বাসের সাথে দেখা করতে কলকাতার নিউটাউনের ফ্ল্যাটে যান।  

নিখোঁজ হওয়া (১৩ই মে ২০২৪)

 ১৩ই মে সকাল বেলা তিনি একজন চিকিৎসককে দেখানোর জন্য গোপালের বাড়ি থেকে বের হন। তিনি বলেন দিল্লি যাবেন এবং সেখানে ভিআইপিদের সাথে দেখা করবেন।  সেই দিন সন্ধ্যায় গোপালকে জানান যে তিনি দিল্লি পৌঁছে গেছেন এবং তাকে ফোন করতে নিষেধ করেন।

নিখোঁজ ডায়রি ১ (১৪ই মে- ২০২৪ )

১৪ই মে থেকে তার ফোন বন্ধ থাকে, এরপর আনোয়ারুলের মেয়ে বাংলাদেশের পুলিশের কাছে নিখোঁজ হওয়ার একটি ডায়েরি করেন এবং পুরো বিষয়টি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হয় ,তারপরেই তার দপ্তরে থেকে দিল্লি ও কলকাতায় কূটনৈতিক ভবন ও ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগকে বিষয়টি জানান।  

নিখোঁজ ডায়েরি ২ (১৮ই মে ২০২৪)

১৪ই মে থেকে গোপাল বিশ্বাস বন্ধুর সাথে বারংবার যোগাযোগে ব্যর্থ হওয়ায় কলকাতার বরাহনগর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

পুলিশি তদন্ত  (১৮ই মে এর পর)

 বরাহনগর থানার পুলিশ গোপালের নিখোঁজ ডায়েরি নথিভুক্ত করার পর থেকেই সাংসদের খোঁজ চালানো হয় । পুলিশ নিউটাউন এলাকার নানান জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সাংসদের খোঁজ শুরু করেন ,তাতে দেখা যায় তিনি ওই এলাকার একটি স্কুলের কাছ থেকে একটি গাড়ি বুক করেন । পুলিশ সেই গাড়ির চালক ও মালিকের সঙ্গেও কথা বলেন এবং তাতে জানা যায় নিউটনের বাসস্ট্যান্ডে তাকে নামানো হয় । বরাহনগর পুলিশ সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানতে পারি যে সাংসদ দ্বিতীয় একটি গাড়িতে চেপেছিলেন , তার সাথে সেই গাড়িতে একজন মহিলা ও একজন পুরুষও ছিল। নিউটাউন এর একটি আবাসনে তাদের ঢুকতে দেখা যায়।

মৃতদেহের খোঁজ চালানো (২২শে মে ২০২৪)

 ইতিমধ্যেই সংসদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। কলকাতা নিউটাউনে অ্যাকোয়াটিকার পাশে ওই আবাসনে ব্যারাকপুর ও বিধান নগর কমিশনারেটের পুলিশ ওখানে পৌঁছায়। সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে তা নিয়ে তদন্ত চলে।। ফ্ল্যাটের ভিতরে লালচে দাগ ও দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় সেই দিন যারা সাংসদের সাথে ভেতরে যায় তারা বিভিন্ন দিনে ওই ফ্ল্যাট থেকে বের হন এবং তাদের হাতে বড় বড় ট্রলি ব্যাগও ছিল । অনুমান করা হয়েছে যে সাংসদকে খুন করে তার দেহ টুকরো করে ওই ট্রলি ব্যাগে ভরে  পাচার করা হয়েছে।

গ্রেফতার ও তদন্ত

তদন্তে উঠে এসেছে যে ,আনোয়ারুলকে খুন করিয়েছিলেন তার বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান ওরফে শাহীন। খুনের জন্য মুম্বাই থেকে জিহাদ হাওলদার নামক এক কসাইকে আনা হয়। আখতারুজ্জামান একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আমেরিকান নাগরিক । বনগাঁ এলাকা থেকে জাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাজ ছিল খুনিদের সহায়তা করা এবং দেহাংশ লুকিয়ে রাখা ।পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় জেরায় জিহাদ শিকার করে যে আজিমকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। জিহাদ সহ পাঁচজন মিলে এই কাজ করেছিল বলে জানা যায় পুলিশ সূত্রে,সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের পুলিশ আমানুল্লা আমান , শিলাস্তি রহমান এবং ফয়সাল আলী নামক তিন খুনিকে গ্রেফতার করে। এখনো পর্যন্ত জিহাদের দুই সঙ্গি মোস্তাফিজুর ও সিয়ামের খোঁজ মেলেনি।

কিভাবে খুন করা হয় এবং দেহ লোপাট

 জিহাদ স্বীকার করে যে প্রথমে আজিমকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় । এরপর তার দেহ মাংস কুচি কুচি করে কাটা হয় , হাড় গুলোকে টুকরো টুকরো করা হয়। ওই টুকরো টুকরো মাংস হলুদ মাখিয়ে পলি প্যাকে করে নিয়ে যায় তারা এবং শহরের যত্রতত্র ফেলে দেয় বলে দাবি পুলিশের। বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান কলকাতা সিআইডিকে অনুরোধ করেন দেহাংশ খুঁজতে, যা স্থানীয় নিকাশী নালা ও সেপটিক ট্যাংকের পরীক্ষা করে বের করা হয়। প্রায় ৪ কেজি ওজনের মাংস ওই আবাসনের সেপটিক  ট্যাংক থেকে উদ্ধার হয় । খুনের পর দেহ আশি টুকরো করে ভাঙ্গরের জলাশয় ফেলা হয়েছে বলে ধৃত বলেন, কিন্তু সেখান থেকে এখনো পর্যন্ত কিছু উদ্ধার হয়নি।  

খুনের পরিকল্পনা

খুনের পরিকল্পনা দীর্ঘ দিনের। এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে নিউটাউনের আবাসনটি প্রায় লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে ভাড়া নেয় সাংসদের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও ব্যবসায়ী সহযোগী শাহীন । সাংসদকে খুনের আগেই শাহীন কলকাতা ছেড়ে ঢাকা হয়ে অন্য কোন দেশে চলে যায়, পুলিশ সূত্রে দাবি । ৩০ এপ্রিল আমানুল্লা ও শিলাস্তিকে নিয়ে কলকাতায় আসেন শাহীন এবং তারা নিউমার্কেটে কোন এক হোটেলে উঠেছিল। জিহাদ খুলনার লোক , তবে সে বেআইনিভাবে মুম্বাইয়ে থাকে। সিআইডি সূত্রে খবর খুনের পরের দিন ১৪ ই মে প্রথমে আবাসন থেকে বার হয় জিহাদ এবং সিয়াম ,পরের দিন আমানুল্লাহ ও শিলাস্তিকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। ১৮ই মে ফয়সাল এবং মোস্তাফিজুর ওই আবাসন ছাড়েন । জিহাদ এবং সিয়াম বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে যাতায়াত করত। প্রধান খুনী আমান “খুলনার এাস”ফেরা সন্ত্রাসী নেতা শিমুল ভূঁইয়ার সাথে শাহিনের ৫ কোটি টাকার চুক্তি হয় সাংসদ কে খুন করে দেহ লোপাট জন্য, পুলিশ সূত্রে খবর।

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম অনার কলকাতায় মৃত্যুর ঘটনা একটি হৃদয়বিদারক এবং জটিল রহস্যে পরিণত হয়েছে। দুই দেশের পুলিশ এবং গোয়েন্দা বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টায় তদন্ত এগিয়ে চলছে, এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সকলেই চেষ্টা করছে।

আনোয়ারুল কি আদতেই একজন সু রাজনৈতিকবিদ ছিলেন!

আজিম আনোয়ারুল প্রথম জীবনে এক ব্যবসায়ী ছিলেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন বিএনপি নেতা ও পরে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৯২ সালে আনোয়ারুল বিএনপি নেতা হিসেবে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয় ।১৯৯৫ সালে আব্দুল মান্নার বিএনপি ছেড়ে আওয়ামীলীগে যোগ দিলে আজিমও সেই দলে যোগ দেয় ।

২০১৪ সালের দশম ,২০১৮ সালের একাদশ এবং ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।  

যদি এই সাংসদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা হয় তবে দেখা যায়, যে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের অভিযোগে মামলা ছিল । আনোয়ারুল এর বিরুদ্ধে অস্ত্র ,বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ,স্বর্ণ চোরা চালান, চাঁদাবাজি ,টেন্ডারবাজি,দখল বাজি এবং জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়ার মত ৯টিরও বেশি মামলা চলছিল।  

আনোয়ারুল আনার ১৯৮৬ সালের দিকে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন মাদক কারাবারে জড়িয়ে পড়েন । ভারতের বাগদা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের বাঘাভাঙ্গা সীমান্ত পথে চোরাচালান করতেন । এই মাদক পাচারের মাধ্যমে প্রচুর টাকার মুনাফা করেন সাংসদ।  

ঝিনাইদহের আরেক চোরাকারবারি পরিতোষ ঠাকুরের সঙ্গে মিলে স্বর্ণ চোরাচালানোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯৬ সালে সাংসদ বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয় এবং তখন মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানোর কারবারের সঙ্গে অস্ত্র কারবারেও যোগ দেয়।

আনোয়ারুল এর খুনের খবর নিশ্চিত করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। সাংসদের খুনের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে উঠে আসে নানান চঞ্চলকর তথ্য। ছাত্রাবস্থা থেকেই নাকি অন্ধকার জগতের সাথে যোগাযোগ আনোয়ারুলের। জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, এমনকি আত্মীয়দের নৃশংসতা ভাবে খুন ও খুনের চেষ্টা করেন ঝিনাইদহ-৪ এর এই বাংলাদেশী সাংসদ।  

এক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুসারে আনোয়ারুল নাকি আসলে একজন মাফিয়া। বাংলাদেশের চরমপন্থী ইসলামী জঙ্গিদের অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ, আশ্রয় দেওয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে , এছাড়াও মাদক ও সোনা পাচারের টাকার ভাগ দিত স্থানীয় দুষ্কৃতীদের।   

আনোয়ারুল কে ধরতে একসময় ইন্টারপোলের নোটিশ পর্যন্ত জারি করা হয়। বাংলাদেশী পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও দুষ্কৃতীরা হামলার চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। সাংসদ হওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে থাকা নানান মামলা একের পর এক খারিজ হয়ে যায়। মনে করা হয় দেশ-বিদেশে কয়েক হাজার সাম্রাজ্য রয়েছে আনোয়ারুলের।

ইসলামিক ধর্মের বদল চীন সরকারের

Asia Monitor18  চীন সরকার চীনে কঠোর ব্যবস্থা ঘোষণা করেন  ইসলামিক ধর্মের বিশ্বাসের উপর। চীনা সরকারের দ্বারা বহু মসজিদ ধ্বংস করা হচ্ছে বিশেষত যেগুলি সরকারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়এবং তাদের ঐতিহ্যপূর্ণ ধর্মীয় পোশাক হেডস্কার্ফ অবধি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও ইসলামিক অনুশীলনের গণ্ডি সীমিত করার জন্য ইসলামিক গ্রন্থগুলি সেন্সর করা হয়।

বেশি ইসলামিক জনসংখ্যা সমন্বিত অঞ্চলগুলিতে এই ব্যবস্থা বা বিধিনিষেধের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যেমন উইঘুর মুসলিম জনসংখ্যার আবাসস্থল জিন জিয়াঙ এর মতো অঞ্চলে। মধ্যচীনের ঠাণ্ডা ধুলোমাখা জায়গায়ে এক ছোটো মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে এক স্থানীয় মুসলিম নেতা যিনি বলেছেন “ধর্ম মরে যাচ্ছে”। এছাড়াও তিনি এই কঠোর ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেছেন।

নজরদারই আর শক্তিশালী করা হয়েছে। এই বিধিনিষেধ গুলির জন্য ইসলামদের প্রতিদিনের জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বহু ধর্মীয় বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার ফলে শিশুদের ধর্মশিক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। চীন সরকার এও বলেছেন যে ভিন্নমতের প্রচার হিসেবে বিবেচিত হওয়ায়ে কোরআন ও অন্যান্য ধর্মীয় সাহিত্য পরিবর্তন করা হবে।  

চোখের পলকে ৩৩ তম বর্ষ অতিক্রম নিউইয়র্কের বইমেলার

Asia Monitor18 বইমেলা যা বাঙালির একটি জনপ্রিয় উৎসব।যার মাধ্যমে বাঙ্গালিরা  এক ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। প্রবাসে অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এই আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার এবারে ৩৩ তম বর্ষ। মুক্ত ধারা ফাউন্দেশনের উদ্যোগে এই মেলা আয়োজিত হয়েছে। মোট ৪১ টি প্রকাশনা সংস্থা এবারে উপস্থিত ছিল। কর্মকর্তারা ও সাধারণ মানুষ সূত্রে খবর পূর্ববর্তী বছর গুলির তুলনায়ে এ বছর বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে।

শুক্রবার এই মেলা শুরু হয়েছিল এবং সোমবার ছিল এই মেলার শেষ দিন। চার দিন ব্যাপী চলেছিল এই মেলা। মেলায়ে বই বিক্রির সাথে সাথে সেমিনার,চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, ও নানা বৈচিত্র্যময়ে আয়োজনে ভরপুর ছিল এই মেলা প্রাঙ্গণ। এই মেলা উদ্বোধন করেন বাংলা অ্যাকাদেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা। তিনি বলেন তিনি ২০০৪ সালে  নিউইয়র্ক বইমেলা উদ্বোধনে একবার এসেছিলেন। সেবার যুক্তরাষ্ট্রের চারটি শহরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বইমেলা থেকে পুরস্কার পেয়ে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।

এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ হল মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার। যার আর্থিক মূল্যায়ন ৩ হাজার ডলার। যা এবারে জিতে নিয়েছেন বাংলাভাষার অন্যতম জনপ্রিয় লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।তিনি বলেছেন তিনি এই পুরস্কার পেয়ে খুবই আপ্লূত।

এই বইমেলার মাধ্যমে প্রবাসে বাঙালি ভাষা, সংস্কৃতি, মিলেমিশে গেছে।এ যেন এক মিলন উৎসব। আয়োজক কমিটি জানিয়েছেন,তারা আগামী বছরেও এই মেলার আয়োজন করবেন।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে অনুপস্থিত বিরাট কোহলি

Asia Monitor18 T-20 বিশ্বকাপ শুরু হবে ২য় জুন থেকে। ১লা জুন শনিবার নিউইয়র্কের নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে  ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে শুরু করবে এই বিশ্বকাপ।এজন্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের নানা প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতির মধ্যে ব্যস্ত দেখা গেছে। আইসিসি জানিয়েছেন,T-20 বিশ্বকাপের অংশগ্রহণে ২০ টি দলের মধ্যে ১৭ টি দল এই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারবে। কিন্তু গত T-20  বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, এবং রানার-আপ পাকিস্তান ও এছাড়াও নিউজিল্যান্ড যা ছিল সেমি-ফাইনালিস্ট কোন প্রস্তুতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করতে পারবে না কারণ ২২মে থেকে শুরু হতে চলেছে ইংল্যান্ড VS পাকিস্তান চার ম্যাচের T-20 সিরিজ।

আইপিল ফাইনালের পরেই সব খেলোয়াড়রা আমেরিকায়ে যাওয়ার জন্য বেরন। রোহিত শর্মাকে সেখানে প্র্যাকটিস করতে দেখা যায়ে।  অন্যদিকে আবার বিরাট কোহলই একমাত্র সেই T-20 খেলোয়াড় যিনি এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছনই। বাকি আরও ১৮ জন ক্রিকেটার চার রিসার্ভ সহ খেলার জন্য উপস্থিত হন আমেরিকাতে। কোহলিকে নিয়ে নানা জল্পনা করা হচ্ছে। কেউ বলছেন কোহলি হয়তো এই ম্যাচ খেলবে না আবার কেউ বলছেন কোহলির হয়তো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ খেলবে না প্রভৃতি। কিন্তু এবার এই সব জল্পনার অবসান অবশেষে যানা গেছে কোহলি ৩০শে মে আমেরিকা যাওয়ার জন্য বেরোবেন এবং ৩১শে মে তিনি তার দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন তারপর ১মে ভারতের হয়ে ওয়ার্ম আপ ম্যাচে খেলবেন।

ভারতের  বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ ৫ই জুন আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। তাদের পরের ম্যাচ ৯ই জুন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবং বাকি দুটি ১২ই জুন আমেরিকা এবং ১৫ই জুন কানাডার বিরুদ্ধে।

আইসিসির বিরোধিতা যুক্তরাষ্ট্রের

Asia Monitor18  আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চিফ প্রসিকিউটার করিম খান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ত এবং হামাসের তিন নেতা যথাক্রমে হানিয়েহ,সিনওয়ার,দাইফের  বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছেন। এই আবেদন মানতে নিষিদ্ধ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন এই আবেদনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য যদি রিপাবলিকানদের সাথে কাজ করতে হয় তবে আমি রাজি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে যুদ্ধবন্দি ও পনবন্দিদের মুক্তি নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চুক্তিতে পৌঁছানো কঠিন হবে। তাই তিনি বলেছেন করিম খানের এই সিদ্ধান্ত ভুল। ইসরায়েল ও হামাসের তুলনা হয় না।

জার্মানি মনে করেন হামাস ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামলা করেছে,তাই তাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করাটা স্বাভাবিক। ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষার অধিকার আছে। জার্মানি এও মনে করেন যে ইসরায়েল একটি গণতান্ত্রিক দেশ যার স্বাধীন বিচারব্যবস্থা আছে।

 ৭ই অক্টোবর হামাস ইসরায়েলকে যেভাবে আক্রমণ করেছে তার তীব্র বিরোধিতা করেছে ফ্রান্স। আবার ইসরায়েলকে বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মানা উচিত।

ইতালির মতে ও হামাস ও ইসরায়েলের তুলনা অবাস্তব।

error: Content is protected !!