Daily Archives: May 13, 2024

রুশ পরামর্শক না আসায় কারণে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি দ্বিগুণ

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অত্যাধুনিক ও উচ্চগতির এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য ৩৭৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছিল।

বিশেষ এই টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অফসাইট ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় আধুনিক টেলিফোন ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা, জাতীয় পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তা বিষয়ক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের সঙ্গে রূপপুর কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা ছিল, প্রকল্প সূত্রে জানা গিয়েছে।বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর আগেই এ ধরনের টেলিযোগাযোগব্যবস্থা স্থাপনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

প্রকল্পের সংশোধন প্রস্তাব সূত্রে জানা গেছে,প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হয়নি কারণ অনুমোদিত ডিপিপিতে রুশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহণের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি ক্রয় ও অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদনের উল্লেখ ছিল। কিন্তু বিদ্যমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার কোনো প্রতিষ্ঠানকে অর্থ পরিশোধ করার জটিলতার কারণে চুক্তি করা যায়নি।পরবর্তী কালে স্থানীয় পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হওয়ায় এর মেয়াদ বৃদ্ধিসহ প্রকল্পটি সংশোধন করার কথা বলা হচ্ছে।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দের থেকে জানা গেছে,এই প্রকল্পের অন্যতম মূল অংশ বিভিন্ন সরকারি মালিকানাধীন কম্পানি থেকে অপটিক্যাল ফাইবার লিজ নেওয়ার যে মূল্যতালিকা পাওয়া গেছে তা অনুমোদিত ডিপিপির প্রাক্কলিত ব্যয়ের তুলনায় অনেক বেশি। এ ছাড়া বাস্তব কারণে যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য খাতেও ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

জানা গেছে, প্রকল্পটি ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে মার্চ ২০২৪ মেয়াদে ৩৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের কথা ছিল।
তবে প্রকল্পের মূল কাজ শুরুই হয়নি। এখন মেয়াদ দুই বছর তিন মাস বাড়িয়ে জুন ২০২৬ পর্যন্ত এবং প্রাক্কলিত ব্যয় ৩৪৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বাড়িয়ে ৭২৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা করার জন্য প্রকল্পের প্রথম সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য,৩৭০ কিলোমিটার রাস্তা কাটার ক্ষতিপূরণ, আট বছরের অগ্রিম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণসংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়, অপটিক্যাল ফাইবার লিজ (রেলওয়ে, পিজিসিবি, বিটিসিএল, স্যাটেলাইট চ্যানেল লিজ) সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়, স্থানীয় ও বৈদেশিক পরামর্শক সেবা ক্রয়, টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম ক্রয়, বৈদেশিক ও স্থানীয় প্রশিক্ষণ এবং চারটি মোটরযান ভাড়া ও তিনটি মোটরযান ক্রয় করা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, এই প্রকল্পটি মূল প্রকল্পের সহায়ক হিসেবে দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পের প্রয়োজনীয় টেলিযোগাযোগ সুবিধা প্রদান এবং আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সুবিধা সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এই প্রকল্প।

ফের ডলারের দাম বাড়ার আশঙ্কা, চাপে পড়বে ভোক্তারা, মত অর্থনীতিবিদদের

এক লাফে ডলারের দাম বাড়ল ৭ টাকা।এতদিন বাংলাদেশ ব্যাংক হতে বলা হচ্ছিল ডলারের সংকট কমে আসবে। শিগগির আসবে স্থিতিশীলতা।এখন বাংলাদেশ ব্যাংকই এক লাফে ডলারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সাত টাকা। ১১০ টাকার ডলার তারা নির্ধারণ করে দিয়েছে ১১৭ টাকা।এক দিনের ব্যবধানে ৭ থেকে ৯ টাকা বেড়েছে গেছে দাম।খোলাবাজারে ডলারের দাম আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সিদ্ধান্তে ডলারের খোলাবাজারে এর ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়েছে।

৮ই মে বুধবার এক সার্কুলার জারির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন এ দাম ঘোষণা করে।ডলারের এই দাম বাড়ানোর ফলে পণ্যের দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, ডলারের এ দাম বৃদ্ধির ফলে আমদানি ব্যয় বাড়তে পারে। তারা বলেন, এতদিন ডলার পাওয়া নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছিল এবং দাম তুলনামূলক কম ছিল। এখন একসঙ্গে সাত টাকা বাড়ানোর ফলে আমদানি ব্যয় বাড়বে, বাড়বে পণ্যের দাম। একই সঙ্গে বাড়বে মূল্যস্ফীতি,ফলে সাধারণ মানুষরা চাপে পড়বেন।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আমদানিকারকরা বলছেন, প্রায় দেড় বছর ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারিত একটি সীমার মধ্যে ধরে রাখলেও বাস্তবে কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে তাঁদের ১১৭ থেকে ১২০ টাকায় ডলার কিনতে হয়েছে।

তবে ডলারের দাম একলাফে ৬.৩৬ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানি আমদানির খরচ বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। এতে বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, এই চাপ মোকাবেলায় সরকারকে ভিন্ন কোনো ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাষ্ট্রপুঞ্জে ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন অস্ট্রেলিয়ার

শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে এই ভোটটি অনুষ্ঠিত হয়। ১৪৩ টি দেশ পক্ষে, নয়টি দেশ বিপক্ষে- যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েল ছিল এবং ২৫ টি দেশ এই ভোট থেকে বিরত ছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জ, প্যালেস্টাইনকে সংগঠনের পূর্ণ সদস্য হওয়ার প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে এবং অস্ট্রেলিয়া প্যালেস্টাইনদের পক্ষে ভোট দিয়েছে।

প্রায় সাত মাস ধরে গাজায় ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলার পর, রাষ্ট্রপুঞ্জে পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করে প্যালেস্টাইন।

প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রপুঞ্জের পূর্ণ সদস্যপদ না দেওয়া হলেও শুধুমাত্র যোগদানের জন্য তাদের আরও ‘অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা’ দেওয়া হবে।

ওমর আওয়াদাল্লা যে কিনা জাতিসংঘের সহযোগ মন্ত্রী ও প্যালেস্টাইন লিবারেশন সংগঠনের সদস্য তিনি বলেছেন যে, “আমরা অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্তের কদর করি এবং এই পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানাই”। তিনি আরও বলেন যে, “অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্তটি দুটি রাষ্ট্রের সমস্যাকে সমাধান করেছে এবং যে যে রাষ্ট্রগুলি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি, ন্যায় ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করতে চায় তাদেরও অস্ট্রেলিয়ার মতো একই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত”। এবং প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য হিসেবে স্বীকার করা উচিত।    

ভোটের আগে, প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর জাতিসংঘের সমাবেশে বলেছেন যে, তার জনগণ ‘শান্তি ও স্বাধীনতা’ চায়।আরো বলেন যে ‘হ্যাঁ’ ভোট প্যালেস্টাইন এর অস্তিত্বের পক্ষে ভোট। এটি কোন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়।

ভোটের পরে রবার্ট উড জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন যে, “তার দেশের ‘না’ ভোট প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রের বিরোধিতা করে না”।

আরও বলেন যে,”এর পরিবর্তে, এটি একটি স্বীকৃতি যে রাষ্ট্রীয়তাই হল একটি প্রক্রিয়া যা দলগুলির মধ্যে আলোচনার সাথে জড়িত।

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌসেনার উপস্থিতি, নৌবাহিনীর সতর্ক থাকার নির্দেশ চীনের

শুক্রবার দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌ সেনার এক ডেস্ট্রয়ারকে চীনের সামরিক  বাহিনী সর্তকতা জানিয়েছে । ঘটনাটি ঘটে যখন ইউএসএস হালসে প্যারাসেল দ্বীপের কাছাকাছি যাত্রা করছিল। চীনের এক সেনা প্রতিনিধি বলেন যে” তারা জাহাজটির গতিপথের দিকে নজর রাখছিল এবং নৌ ও বিমান বাহিনী দ্বারা সতর্কতা জারি করছিল”।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ চীনের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তাকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করে। পিপেলস লিবারেশন আর্মি, ওয়াশিংটনকে “নিরাপত্তা ঝুঁকির স্রষ্টা” বলে দাবি করে এবং আরো বলে যে ইউএস শুধুমাত্র দক্ষিণ চীনের ওপর নজরদারি করার জন্য এই কাজটি করে। মার্কিন নৌসেনা ইউএসএস হালসে এর কাছে অধিকার আছে চীনের দক্ষিণ সাগরের কাছে প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের কাছে যাত্রা করার।

চীন দক্ষিণ চীন সাগরের যে বৃহত্তম অংশ দাবি করে তা ফিলিপাইন,মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম,ইন্দোনেশিয়া ও ব্রুনাই  দাবি করা অংশগুলির মধ্যে পড়ে ।২০১৬ সালে আদালতের রায় অনুযায়ী বেইজিংয়ের করা দাবীগুলি আন্তর্জাতিক আইনের চোখে ভিত্তিহীন।

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যার জেরে মৃত অধিকাংশ নারী ও শিশু

Asia Monitor18 আফগানিস্তান জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ। উত্তর আফগানিস্তানে ভয়াবহ আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ জনে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগ  নারী ও শিশু বলে জানান হয়েছে। “হামদর্দ জানিয়েছেন”, ‘যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছে তাদের তাঁবু, কম্বল এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। জলাবদ্ধ রাস্তা এবং মৃতদেহগুলো সাদা ও কালো কাপড়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

এছাড়াও দেখা গেছে চারদিকে শিশুদের কান্নার আওয়াজ এবং অনেকে বন্যার জলে ভেসে যাওয়া ঘরের ভাঙা কাঠ এবং ধ্বংসাবশেষের দিকে অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছেন।কৃষিজমি জলের নীচে ডুবে গেছে। দেশটিতে ৪০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের ৮০ শতাংশ কৃষির ওপর নির্ভরশীল।

বিশ্বব্যাংকের মতে, আফগানিস্তানের অর্ধেক জনসংখ্যা দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে এবং ১৫ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে। চার দশকের যুদ্ধে বিধ্বস্ত বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হল আফগানিস্তান। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে এই দেশটি।

জাপানের  বিখ্যাত ব্র্যান্ডের পাউরুটির প্যাকেটে মরা ইঁদুর

Asia Monitor18 জাপানের অন্যতম পাউরুটির ব্র্যান্ড পাসকো এখন সমস্যার সম্মুখীন। পাউরুটির প্যাকেটে  ইঁদুরের শরীরের অংশ পাওয়ার জন্য বাজার থেকে তুলে নিতে হচ্ছে প্যাকেট।প্রায় ১ লাখ ৪ হাজার রুটির প্যাকেট বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে।পাউরুটির ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই পাসকো শিকিশিমা কর্পোরেশন। কোম্পানিটি জানিয়েছে, পাউরুটি প্রত্যাহার বাবদ ভোক্তাদের অর্থ ফেরত দেবে।

বহু জাপানি পরিবারেই প্রধান খাবার এই রুটি।দেশটির প্রায় সব দোকানেই এ ব্র্যান্ডের রুটি পাওয়া যায়।কোম্পানি জানিয়েছে তারা আন্তরিক ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।তবে খবর সূত্রে জানা গেছে এই পাউরুটি খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়নি। পাউরুটিগুলো টোকিওর একটি কারখানায় উৎপাদন করা হয়েছে এবং বর্তমানে পুরো কারখানাটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

জাপান ছাড়াও পাসকো ব্র্যান্ড যুক্তরাষ্ট্র, চীন, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরে বেকারি পন্য বিক্রি  করে।জাপানে বাজার থেকে এমনভাবে খাবার তুলে নেওয়ার ঘটনা বিরল।তবে এর আগেও মিয়াগি প্রশাসনিক এলাকায় শত শত শিক্ষার্থী তাদের স্কুল থেকে দেওয়া দুধ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।ওষুধ প্রস্তুতকারক কোবায়াশি ফার্মাসিউটিক্যাল তাদের কোলেস্টেরল কমানোর ডায়েট সাপ্লিমেন্ট প্রত্যাহার করেছে। এই সাপ্লিমেন্ট খেয়ে পাঁচ জনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে এবং ঘটনা তদন্ত করে তা সত্য প্রমানিত হয়।এছাড়াও আগে খাবারে তেলাপোকাও পাওয়া যায়ে যার জন্য তারা ক্ষমাপ্রার্থী ছিলেন।

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অভ্যাহত, চাপ বাড়ছে ইজরায়েলের উপর

Asia Monitor18 গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরু হওয়া ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে শত শত শিক্ষার্থী মিছিল করেন। এ সময় নিজেদের দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছে ‘মুক্ত অঞ্চল নামে প্রতিবাদশিবির স্থাপন করা হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ শুরু হয়।পরে তা আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ে জার্মানি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো ও সুইজারল্যান্ডে।

ইউরোপের কয়েকটি অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও গাজায় সহিংসতার প্রতিবাদে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশীদারির অবসানের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং বিভিন্ন ভবন দখল করে নিয়েছেন। আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশকে লাঠিপেটা করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, বিক্ষোভ মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে যুক্তরাজ্যের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের।

ইসলামী আমিরাতের দাবি, UNAMA-র রিপোর্ট প্রচারমূলক

Asia Monitor18 যারা জনগণের রক্ত ​​ঝরিয়েছে সেইসব ধ্বংসাত্মক ব্যক্তিদের  ধরতে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশন দ্বারা প্রকাশিত “আফগানিস্তানে মানবাধিকার পরিস্থিতি” শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে 2024 সালের প্রথম পাঁচ দিনে আফগানিস্তানে তিনটি বিস্ফোরণে প্রায় 80 জন বেসামরিক লোক মারা গেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, সবচেয়ে মারাত্মক বিস্ফোরণটি ছিল কান্দাহার শহরে 21শে মার্চ, যার ফলে  75 জন নিহত হয়েছিল। একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক,সেলিম পাইগার জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের ইসলামিক এমিরেটকে অবশ্যই আজ বা গতকাল বিদ্যমান নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে বোমা হামলা এবং আত্মঘাতী হামলার মাধ্যমে কাজ করে এমন কিছু গোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করা যায়।”

প্রতিবেদনে মানবাধিকার পরিস্থিতি, খোস্ত ও পাকতিকা প্রদেশে বিমান হামলায় হতাহতের ঘটনা, শারীরিক শাস্তি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং অন্যান্য কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

এই প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে, আঠারোই মার্চ পাকিস্তানি বিমান হামলা এবং পাকিস্তানি বাহিনী এবং ইসলামিক আমিরাতের বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে, বিশ জনেরও বেশি বেসামরিক লোকও হতাহতের শিকার হয়।

ইসরায়েলের  হামলায় গাজায়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজারেরও বেশি

Asia Monitor18 ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত অক্টোবরে গাজা উপত্যকায়ে ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায়ে এই হামলায়ে নিহতের সংখ্যা ৬৩ এবং আহত প্রায় ১১৪।মোট নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৩৪ জন এবং আহত ৭৮ হাজার ৭৫৫ জন। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নীচে পৌঁছতে না পারায়ে সেখানে অনেক মানুষ আটকা পড়ে রয়েছে

ইসরায়েল এখন আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে  গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে বলা হয়েছে এবং গাজার বেসামরিক মানুষদের সাহায্য প্রদানের নিশ্চয়তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।ইসরায়েলকে রাফা থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে।

৭ই অক্টোবরের  ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আন্তসিমান্ত আক্রমণে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছিল। তারপর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায়ে নির্দয়ে ভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে। উত্তর গাজার বাসিন্দারা অনাহারের স্বীকার হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, খাদ্য, বিশুদ্ধ জল ও ওষুধের অভাবে ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে।  

আফগানিস্তানে বন্যায় পুরো গ্রাম বিধ্বস্ত, নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

Asia Monitor18 ভয়াবহ বন্যার ফলে আফগানিস্তানের উত্তর অঞ্চলের সমস্ত গ্রাম ধংস হয়ে গেছে। এই বন্যার ফলে এখনও পর্যন্ত ৩১৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ৬০০ জনের ও বেশি আহত বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কত্রিপক্ষ। রাস্তাঘাট জল ও কাদার তলায়ে তলিয়ে গেছে। গ্রামবাসীরা মৃতদেহগুলির সমাধি দিচ্ছে।ইতিমদ্ধে হাজারও ঘরবারি নষ্ট হয়েছে এবং বহু গবাদি পশু মারা গেছে।

সাহায্যকারী সংস্থাগুলি বিপর্যয়ের ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক করছে। জনগণ খাদ্য ও আশ্রয় নিয়ে বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। ৪২ টি বাড়ির মধ্যে মাত্র দুটি বা তিনটি বাড়ি বাদে পুরো উপত্যকা ধংস হয়ে গেছে। মহম্মদ ইহাওকুব নামে এক ব্যক্তি তার পরিবারের ১৩ জন সদস্যকে হারিয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেনের আফগানিস্তানের পরিচালক আরশাদ মালিক বলেন , ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে ১০ হাজার শিশু বাস করত যারা সবকিছু হারিয়েছে। সাধারণ জনগণের খাদ্য ও বাসস্থানের সাথে সাথে অর্থের ও অভাব দেখা দেওয়ায়ে তারা ভীষণভাবে বিধ্বস্ত। তারা এই পরিস্তিথির বাইরে বেরনোর জন্য প্রার্থনা করছে।

error: Content is protected !!