কিশওয়ার চৌধুরী, ছবি-ফেসবুক
দিল্লি : হতদরিদ্র বাঙালির ঘরে নুন আনতে যা ফুরোয়, সেই পান্তাভাত পেশ করলেন কিশওয়ার ৷ যে প্রতিযোগিতা নাকি নির্ধারণ করে বিশ্বের সেরা রন্ধশিল্পীকে, সেই ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’-র ত্রয়োদশ (MasterChef Australia 13) মরসুমে ৷ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে নির্বাচিত হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়াবাসী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশওয়ার (Kishwar Chowdhury) ৷ শ্রেষ্ঠত্বের মুখোমুখি হয়ে তিনি ফিরে গিয়েছিলেন শিকড়ে ৷ চূড়ান্ত পর্বের জন্য বেছে নিয়েছিলেন পান্তাভাত, আলুভর্তা ৷ সঙ্গে সার্ডিনমাছ ভাজা এবং সালসা ৷
এর আগে বাঙালি হেঁশেলের খিচুড়ি ও বেগুন ভর্তা খাইয়েও বিচারকদের চমকে দিয়েছিলেন কিশওয়ার ৷ সেই তিন বিচারক মেলিসা লিয়ং, অ্যান্ডি অ্যালেন ও জোক জোনফ্রিলোকে চূড়ান্ত পর্বে তিনি বলেন, ‘‘এই খাবার পৃথিবীর কোনও রেস্তরাঁয় আপনারা পাবেন না ৷ ফাইনালে এই খাবার রান্না করতে বেশ ভয় লেগেছে ঠিকই৷ কিন্তু আবার অন্যদিকে নিজেকে সম্মানিত বোধ করেছি৷’’
জলে ভেজা ভাত, শুকনো লঙ্কা পোড়া দিয়ে মাখা আলুসিদ্ধ আর কড়া করে ভাজা সার্ডিন মাছ দেখে বিচারক মেলিসা বলেন, ‘‘ইতিহাস এবং সুগন্ধ, দু’দিক দিয়েই এই খাবার শক্তিশালী৷’’ আর এক বিচারক অ্যালেনের কথায়, ‘‘বালিশের মতো আলু, ভাত এবং ধোয়াঁটে জল, সঙ্গে তেলমাখা মাছ, সবমিলিয়ে অপূর্ব বৈপরীত্য ও বৈচিত্র৷’’ মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া তাদের ইনস্টাগ্রাম পেজের প্রোমোও করেছে কিশওয়ারের পান্তাভাত দিয়েই ৷
৩৮ বছর বয়সি কিশওয়ার ব্যবসায়ী ৷ বাংলাদেশে শিকড় ফেলে আসা অস্ট্রেলিয়াবাসী চৌধুরী পরিবারে তাঁর জন্ম মেলবোর্নে ৷ বড় হয়ে ওঠাও এই শহরেই ৷ গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন লন্ডনে ৷ এর পর জার্মানিতে কিছু দিন থাকার পর তিনি ৬ বছর ছিলেন বাংলাদেশে ৷ সেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠার পর তিনি ২০১৫ সালে ফিরে আসেন মেলবোর্নে ৷
কৈশোরের প্রেমিককে বিয়ে করে মেলবোর্নেই আপাতত ভরপুর সংসারী কিশওয়ার ৷ স্বামী এহতেশাম, ১১ বছরের ছেলে মিখাইল এবং ৪ বছরের মেয়ে সেরাফিনাও তাঁর হাতের রান্নার ভক্ত ৷ কিশওয়ারের স্বপ্ন, বাংলাদেশের রান্নাবান্না নিয়ে বই লেখা ৷
মাস্টারশেফ-এ শিরোপা পাওয়ার স্বপ্ন অবশ্য এ যাত্রা তাঁর অধরাই রয়ে গেল ৷ প্রথম স্থান পেয়েছেন ২৭ বর বয়সি ভারতীয় বংশোদ্ভূত পশ্চিম অস্ট্রলিয়ার বাসিন্দা জাস্টিন নারায়ণ ৷ দ্বিতীয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে তিনি এই খেতাব পেলেন ৷ তাঁর আগে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে এই সম্মান পেয়েছিলেন শশী চেলিয়াহ ৷
এ বার জাস্টিন প্রথম হওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন পিটার ক্যাম্পবেল ৷ তৃতীয় হয়েছেন কিশওয়ার ৷ তবে অসংখ্য নেটিজেনদের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন তিনি ৷ সামাজিক মাধ্যম বলছে, মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার চূড়ান্ত পর্বে পান্তাভাত-আলুভর্তা রাঁধবার জন্য সাহস লাগে! তথাকথিত অকুলীন এই খাবারকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার জন্য কিশওয়ারকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা ৷
Follow us on
Download News18 App
Monthly Archives: February 2024
নারী আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের গণভবনে ডেকেছে আ.লীগ
সংরক্ষিত নারী আসনে কাকে কাকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হবে, আগামী বুধবার তা ঠিক করবে আওয়ামী লীগ। ওই দিন মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
source
পিঠে পাখনা, পাখি না মাছ? জেলের ভাগ্য বদলে দিল জল থেকে উঠে আসা এই প্রাণী!
বাংলাদেশের নদীতে ফের দেখা মিলল সামুদ্রিক পাখি মাছের। প্রায় ৯ ফুট লম্বা মাছটি সিরাজগঞ্জের যমুনা নদী থেকে ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে মৎস্যজীবীর জালে মাছটি ধরা পড়ে, তিনি এলাকার লোকজনের কাছে মাছটি ৫০০ টাকা কেজি দরে ২৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
মাছটি আগে কখনও এই অঞ্চলের মানুষ দেখেননি। স্থানীয় মৎস্য বিশেষজ্ঞরা মাছটিকে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সেইল ফিশ বলে দাবি করেছেন। ফলে মাছটি দেখার জন্য এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসেন।
মাছটির পিঠে বিশাল আকারের পাখনা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে কেউ কেউ একে পাখি মাছও বলে থাকেন, আবার কেউ বলেন গাং চ্যালা। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি সামুদ্রিক মাছ। যেহেতু এর একটি বড় পাখনা রয়েছে এবং গা তেলতেলে সেহেতু এটিকে সেইল ফিশ বলে মনে করা হচ্ছে।
অনেকেই বলছেন, এই মাছটি সমুদ্রে থাকে, কিন্তু কোনও কারণে এটি নদীতে চলে এসেছে। তবে, ওই মৎস্যজীবী প্রথমে বুঝতে পারেননি তাঁর জালে সেইল ফিশ ধরা পড়েছে, পরে যখন বুঝতে পারেন, তিনি নিজেও সন্দিহান ছিলেন, এই মাছ বিক্রি করা যাবে কিনা, তা ভেবে।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সেইল ফিশের বৈজ্ঞানিক নাম Istiophorus platypterus। সেইল ফিশের আরেকটি জাত রয়েছে আটলান্টিক সেইল ফিশ (Istiophorus albicans)। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ন্যাশনাল ওশান সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, সেইল ফিশ মহাসাগরের সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রাণী। মাছটি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে, তর্কসাপেক্ষে যা ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
বাংলাদেশের নদীতে ফের দেখা মিলল সামুদ্রিক পাখি মাছের। প্রায় ৯ ফুট লম্বা মাছটি সিরাজগঞ্জের যমুনা নদী থেকে ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে মৎস্যজীবীর জালে মাছটি ধরা পড়ে, তিনি এলাকার লোকজনের কাছে মাছটি ৫০০ টাকা কেজি দরে ২৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
মাছটি আগে কখনও এই অঞ্চলের মানুষ দেখেননি। স্থানীয় মৎস্য বিশেষজ্ঞরা মাছটিকে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সেইল ফিশ বলে দাবি করেছেন। ফলে মাছটি দেখার জন্য এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসেন।
মাছটির পিঠে বিশাল আকারের পাখনা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে কেউ কেউ একে পাখি মাছও বলে থাকেন, আবার কেউ বলেন গাং চ্যালা। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি সামুদ্রিক মাছ। যেহেতু এর একটি বড় পাখনা রয়েছে এবং গা তেলতেলে সেহেতু এটিকে সেইল ফিশ বলে মনে করা হচ্ছে।
অনেকেই বলছেন, এই মাছটি সমুদ্রে থাকে, কিন্তু কোনও কারণে এটি নদীতে চলে এসেছে। তবে, ওই মৎস্যজীবী প্রথমে বুঝতে পারেননি তাঁর জালে সেইল ফিশ ধরা পড়েছে, পরে যখন বুঝতে পারেন, তিনি নিজেও সন্দিহান ছিলেন, এই মাছ বিক্রি করা যাবে কিনা, তা ভেবে।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সেইল ফিশের বৈজ্ঞানিক নাম Istiophorus platypterus। সেইল ফিশের আরেকটি জাত রয়েছে আটলান্টিক সেইল ফিশ (Istiophorus albicans)। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ন্যাশনাল ওশান সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, সেইল ফিশ মহাসাগরের সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রাণী। মাছটি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে, তর্কসাপেক্ষে যা ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
Follow us on
Download News18 App
রান্নার প্রাথমিক শিক্ষাটা বাবার কাছ থেকেই পেয়েছেন মেয়ে ফারহা নাজ জামান
প্রথম আলো ডটকমের সহযোগিতায় জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) ‘সেলিব্রেটিং ডটার্স’ ক্যাম্পেইনের আওতায় বিশেষ এ উদ্যোগের দ্বিতীয় পর্ব আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
source
জনতাকে লকডাউন মানাতে এবার প্রয়োজনে সেনা নামবে বাংলাদেশে
বাংলাদেশে কঠোর লকডাউন প্রণয়নে সেনা নামতে পারে।
#ঢাকা: লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণ রুখতে বাংলাদেশ কঠোরতম লকডাউন জারি হচ্ছে আগামী সোমবার থেকে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই দফায় নিয়ম বিধি পালন করাতে রাস্তায় সেনাও নামতে পারে। বাংলাদেশের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আপাতত সাতদিন কঠোরতম বিধি-নিষেধ পালিত হবে। প্রয়োজনে এই বিধি-নিষেধ বাড়বে। জনতাকে এই সিদ্ধান্ত মানাতে পুলিশ থাকবে রাস্তায়, থাকবে বিজিবি, প্রয়োজনে সেনাও নামানো হতে পারে।
চলতি বছরে গত ৫ এপ্রিল বাংলাদেশ দ্বিতীয় বারের জন্য কঠোরতম বিধি-নিষেধ জারি হয়। ক্রমেই বাড়তে থাকে এই লকডাউনের মেয়াদ। কিন্তু তাতেও সংক্রমণে রাশ টানা যায়নি। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২৪ জুন বাংলাদেশের মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জনের। তারপরেই ২৫ জুন সকালের রিপোর্টে দেখা যায় বাংলাদেশের মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জনের। সরকারি সূত্রে খবর ৬১ টি জেলার মধ্যে অন্তত ৪০ টি জেলা অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এই অবস্থায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন চাইছে কোনও ভাবেই জনতা যাতে নিয়মবিধি অমান্য না করে তা নিশ্চিত করতে। আর সেই কারণেই এই কঠোর বিধি-নিষেধ। প্রশাসন মনে করছে ইদ-উল-ফিতরেও সংক্রমণের গতিবৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, এই কড়া লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারবে না। অ্যাম্বুলেন্স এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা ছাড়া কোনও গাড়ি রাস্তায় থাকবে না। সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে অবশ্য কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস।
ইতিমধ্যেই আশেপাশের মানিকগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ,গোপালগঞ্জ, থেকে জরুরি পরিষেবা ছাড়া মূল শহরে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি বলছে পরিসংখ্যানই। ফলে বাংলাদেশে চাইছে সংক্রমণ রুখতে আরো কঠোর হতে।
Follow us on
Download News18 App
রাজস্থানের পর নয়াদিল্লিতে
আচমকা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি, ১৪ দিনের ‘শাট ডাউনের’ পথে বাংলাদেশ?
ফের লকডাউন বাংলাদেশে?
#ঢাকা: হঠাৎই করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি বাংলাদেশে। ওপার বাংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৮ জন। যা গত ৭৪ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্তকরণের রেকর্ড। আর হঠাৎই সংক্রমণজনিত করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এবং দেশবাসীর জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশজুড়ে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাট ডাউনের’ সুপারিশ করেছে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, বর্তমানে সারা বাংলাদেশে বিধিনিষেধ চলছে, যা ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা। এ ছাড়া করোনার বিস্তাররোধে ঢাকার আশপাশের সাতটি জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে রাজধানী ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টার কথাও বলা হয়েছে।
ওই কমিটির দাবি, দেশের যে সব জায়গায় পূর্ণ শাট ডাউন করা হয়েছে, সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তাই সারা দেশে ১৪ দিন সম্পূর্ণ শাট ডাউনের সুপারিশ করেছে ওই কমিটি। কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, শাট ডাউন মানে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ রাখার কথা বোঝানো হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টার চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ১২ এপ্রিল। সেদিন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭ হাজার ২০১ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আজকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩০ হাজার ৩৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৯.৯৩ শতাংশ।
ফলে দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৮৬৮ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৮৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৩০ জন।
Follow us on
Download News18 App
সিটিকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই শীর্ষস্থান থেকে নামাল লিভারপুল
শেষ পর্যন্ত চাপ সামলে আর ফোফানার ‘জোড়া ভুলে’৩–১ গোলে জিতলেও অ্যানফিল্ডের রেকর্ড ৫৯, ৮৯৬ দর্শকের হয়তো মন ভরাতে পারেনি ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
source
এপার বাংলা বানভাসী, পদ্মাপারে কতটা প্রভাব ফেলল ইয়াস?
বাংলাদেশে কতটা প্রভাব ইয়াসের?
চট্টগ্রাম: বাংলার বিপদ অনেকটাই কমিয়ে ওড়িশায় আছড়ে পড়ল ইয়াস (Cyclone Yaas)। যদিও পশ্চিমবঙ্গের নানা প্রান্ত বানভাসী হয়ে গেল ইয়াসের দাপটে। একদিকে যখন এপার বাংলায় বানভাসী ছবি, তখন ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বুধবার চট্টগ্রামে থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি চলছে। সমুদ্রের উপকূলে জলস্তরের উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে বেশ কয়েকটা। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইয়াসের প্রভাবে সমুদ্রে জলস্তরের উচ্চতা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৬ ফুট বেশি হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল। তিনি জানিয়েছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের ওড়িশায় আছড়ে পড়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের সমুদ্রের উপকূলীয় এলাকায় জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শুধু ইয়াস নয়, এ ক্ষেত্রে পূর্ণিমারও প্রভাব রয়েছে। জোয়ারের জলে উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি দিনভর বৃষ্টিও হতে পারে চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের বড় অংশজুড়ে।’
এদিন সকালেই চট্টগ্রাম আউটার রিং রোড তথা বাঁধের নিচের এলাকা জোয়ারের জলে ভেসে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম শহরের ১৩টি ওয়ার্ডে ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। চিকিৎসক দল ও স্বেচ্ছাসেবীদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে সরকারের তরফে। সোমবার থেকেই মানুষকে ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে সতর্ক করা শুরু করেছিল প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত না হানলেও সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো বাতাস বইছে। এই ঝোড়ো বাতাস অব্যাহত থাকবে বেশ কিছুক্ষণ। এ ছাড়া গোটা বাংলাদেশজুড়েই বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে সে দেশের আবহাওয়া দফতর।
Follow us on
Download News18 App
শেষ দিনগুলোতে নিভৃতচারী জীবনযাপন, কী অভিমান ছিল রুবেলের?
কেন নিভৃতচারী জীবন যাপন করতেন এই অভিনেতা। কী অভিমান ছিল তাঁর?
source