‘স্প্ল্যাশ অফ কালারস’, যেন একগুচ্ছ রং ছড়িয়ে দেওয়া! করোনা কালের এই কঠিন সময়েও মন ভাল করে দেওয়া সব সৃষ্টি। বিবির মতোই তাঁর নতুন কাজের সম্ভার যেন রামধনুর সাত রঙে রঙিন। বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলার বুকের সব রং যেন জড়ো করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল তাঁর মনের অদৃশ্য প্যালেটে। আর তাই দিয়েই ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁর বিশেষ ‘রেঞ্জ অফ প্রোডাকশন ফর ফিফটি ইয়ার্স সেলিব্রেশন অফ বাংলাদেশ’।
‘বিবি’স প্ৰডাকশন’-কে বিশ্বের ফ্যাশন মানচিত্রে সবথেকে বেশি পরিচিতি দিয়েছে গ্রাম বাংলার নিজস্ব ‘গামছা’। তাই দিয়েই ৫০ বছরের বাংলাদেশকে বিশেষ ‘বার্থডে গিফট’ অর্থাৎ জন্মদিনের উপহার দিতে চেয়েছেন বিবি। শিল্প এবং সৃষ্টির এই খেলায় তাঁকে সঙ্গ দিয়েছে বিবি রাসেলের সেই চিরকালীন প্রিয় ‘গামছা’ ফ্যাব্রিক আর গ্রাম বাংলার তাঁত শিল্পীরা।
বানিয়েছেন শাড়ি থেকে ‘এক্সেসরিজ’। চমৎকার সব ড্রেস। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই রয়েছে একগুচ্ছ নতুন চমক। ফেব্রিক থেকে রং সবেতেই এবারে যেন এক বিপ্লবের ছোঁয়া বিবির কাজে। বাংলাদেশের নিজস্ব বাহারি জামদানি থেকে শুরু করে নরম কটনের বাটিক। কী নেই?
আর রং? বাংলাদেশের আকাশ-মাটি-চরাচরে খেলা করা সব রঙ যেন হাজির বিবির পসরায়! শেডস অফ ব্লু থেকে কাঁচা হলুদ! পাকা ধান ক্ষেতের সেই আগুনে ‘অরেঞ্জ’ থেকে কচি কলাপাতা! ‘সোনার বাংলার’ নদী-নালা-আকাশে ছুঁয়ে থাকা নীল রঙের ছড়াছড়িও চোখে পড়ার মত।
এর আগে লাল রং নিয়ে তেমন কাজ করেননি বিবি। এবার কিন্তু সেই রক্তিম বর্ণেরও সব শেড হাজির বিবির কাজে। যেমন এই লাল জামদানি দিয়ে বানানো র্যাপ অন-টি। এভাবেই ফিউশনের ছোঁয়ায় ভরপুর বিবির এক একটি সৃষ্টি। লাল রঙের ক্ষেত্রেও রয়েছে বৈচিত্র। গোলাপি লাল থেকে টকটকে লাল সব রঙ রয়েছে এই ফ্যাশন রেঞ্জে।
বরাবরই প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্যকে কে মিলিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশে ছোটবেলা কাটানো এবং পরে বড় হয়ে লণ্ডনের কলেজ অব ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন থেকে পড়াশোনা। ভোগ-সহ আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনে দীর্ঘদিন মডেলিং। সে পাট শেষ করে বাংলাদেশে ফিরে সেখানকার তাঁতিদের নিয়ে আলাদা পরিচিতি তৈরি করেন বিবি রাসেল। নাম হয় ‘বিবিজ প্রোডাকশন’। এরপরে আসে তাঁর ‘ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট’।
তাঁর কাজের নিজস্ব স্টাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের নিজস্বতাকে জারিত করেই তৈরি করেছেন এক একটি পোশাক ও এক্সেসরিজ। এই করোনাকালের কথা ভেবেই নির্বাচন করেছেন বাংলার নিজস্ব সুতি ও রং দিয়ে বানানো সাদামাটা অথচ স্মার্ট পোশাক যা বার বার ধোয়াতেও কোনও অসুবিধে নেই। এবং দাম-ও সাধারণের নাগালের মধ্যেই। একইভাবে মাথায় রেখেছেন এমন পোশাকের কথা যাতে হাত খালি থাকে। পোশাকে পকেট থাকে। ব্যবহারিক দিকটা মাথায় রেখেছেন বিবি।
পোশাকের পাশাপাশি নজর কাড়ছে বিবির চেনা এক্সেসরিজ। যার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এই কচুরিপানা চুড়ি। নদী-নালা ঘেরা বাংলাদেশের ঘরোয়া প্রাকৃতিক ভেষজ রঙ দিয়ে তৈরি এই চুড়ি একদিন বিশ্ব ফ্যাশন মানচিত্রে তাবড় মানুষ-জনকে অবাক করেছিল।
আর থাকছে বিবির নিজস্ব রিকশা আর্ট। জুতো, চশমা, টিপ থেকে গৃহস্থালির সরঞ্জাম সবেতেই নজর কাড়ছে এই রিকশা আর্ট। তবে সবই ‘প্রকৃতি বান্ধব’ রঙ ও কাপড় দিয়ে তৈরি। বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের মাটির সোঁদা গন্ধ মাখানো এক ঝলক টাটকা বাতাস যেন বিবির এই প্রোডাকশন।
'স্প্ল্যাশ অফ কালারস', যেন একগুচ্ছ রং ছড়িয়ে দেওয়া! করোনা কালের এই কঠিন সময়েও মন ভাল করে দেওয়া সব সৃষ্টি। বিবির মতোই তাঁর নতুন কাজের সম্ভার যেন রামধনুর সাত রঙে রঙিন। বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলার বুকের সব রং যেন জড়ো করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল তাঁর মনের অদৃশ্য প্যালেটে। আর তাই দিয়েই ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁর বিশেষ 'রেঞ্জ অফ প্রোডাকশন ফর ফিফটি ইয়ার্স সেলিব্রেশন অফ বাংলাদেশ'।
'বিবি'স প্ৰডাকশন'-কে বিশ্বের ফ্যাশন মানচিত্রে সবথেকে বেশি পরিচিতি দিয়েছে গ্রাম বাংলার নিজস্ব 'গামছা'। তাই দিয়েই ৫০ বছরের বাংলাদেশকে বিশেষ 'বার্থডে গিফট' অর্থাৎ জন্মদিনের উপহার দিতে চেয়েছেন বিবি। শিল্প এবং সৃষ্টির এই খেলায় তাঁকে সঙ্গ দিয়েছে বিবি রাসেলের সেই চিরকালীন প্রিয় 'গামছা' ফ্যাব্রিক আর গ্রাম বাংলার তাঁত শিল্পীরা।
বানিয়েছেন শাড়ি থেকে 'এক্সেসরিজ'। চমৎকার সব ড্রেস। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই রয়েছে একগুচ্ছ নতুন চমক। ফেব্রিক থেকে রং সবেতেই এবারে যেন এক বিপ্লবের ছোঁয়া বিবির কাজে। বাংলাদেশের নিজস্ব বাহারি জামদানি থেকে শুরু করে নরম কটনের বাটিক। কী নেই?
আর রং? বাংলাদেশের আকাশ-মাটি-চরাচরে খেলা করা সব রঙ যেন হাজির বিবির পসরায়! শেডস অফ ব্লু থেকে কাঁচা হলুদ! পাকা ধান ক্ষেতের সেই আগুনে 'অরেঞ্জ' থেকে কচি কলাপাতা! 'সোনার বাংলার' নদী-নালা-আকাশে ছুঁয়ে থাকা নীল রঙের ছড়াছড়িও চোখে পড়ার মত।
এর আগে লাল রং নিয়ে তেমন কাজ করেননি বিবি। এবার কিন্তু সেই রক্তিম বর্ণেরও সব শেড হাজির বিবির কাজে। যেমন এই লাল জামদানি দিয়ে বানানো র্যাপ অন-টি। এভাবেই ফিউশনের ছোঁয়ায় ভরপুর বিবির এক একটি সৃষ্টি। লাল রঙের ক্ষেত্রেও রয়েছে বৈচিত্র। গোলাপি লাল থেকে টকটকে লাল সব রঙ রয়েছে এই ফ্যাশন রেঞ্জে।
বরাবরই প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্যকে কে মিলিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশে ছোটবেলা কাটানো এবং পরে বড় হয়ে লণ্ডনের কলেজ অব ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন থেকে পড়াশোনা। ভোগ-সহ আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনে দীর্ঘদিন মডেলিং। সে পাট শেষ করে বাংলাদেশে ফিরে সেখানকার তাঁতিদের নিয়ে আলাদা পরিচিতি তৈরি করেন বিবি রাসেল। নাম হয় 'বিবিজ প্রোডাকশন'। এরপরে আসে তাঁর 'ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট'।
তাঁর কাজের নিজস্ব স্টাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের নিজস্বতাকে জারিত করেই তৈরি করেছেন এক একটি পোশাক ও এক্সেসরিজ। এই করোনাকালের কথা ভেবেই নির্বাচন করেছেন বাংলার নিজস্ব সুতি ও রং দিয়ে বানানো সাদামাটা অথচ স্মার্ট পোশাক যা বার বার ধোয়াতেও কোনও অসুবিধে নেই। এবং দাম-ও সাধারণের নাগালের মধ্যেই। একইভাবে মাথায় রেখেছেন এমন পোশাকের কথা যাতে হাত খালি থাকে। পোশাকে পকেট থাকে। ব্যবহারিক দিকটা মাথায় রেখেছেন বিবি।
পোশাকের পাশাপাশি নজর কাড়ছে বিবির চেনা এক্সেসরিজ। যার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এই কচুরিপানা চুড়ি। নদী-নালা ঘেরা বাংলাদেশের ঘরোয়া প্রাকৃতিক ভেষজ রঙ দিয়ে তৈরি এই চুড়ি একদিন বিশ্ব ফ্যাশন মানচিত্রে তাবড় মানুষ-জনকে অবাক করেছিল।
আর থাকছে বিবির নিজস্ব রিকশা আর্ট। জুতো, চশমা, টিপ থেকে গৃহস্থালির সরঞ্জাম সবেতেই নজর কাড়ছে এই রিকশা আর্ট। তবে সবই 'প্রকৃতি বান্ধব' রঙ ও কাপড় দিয়ে তৈরি। বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের মাটির সোঁদা গন্ধ মাখানো এক ঝলক টাটকা বাতাস যেন বিবির এই প্রোডাকশন।
Follow us on
Download News18 App
Check Also
নেতানিয়াহুকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইসরায়েলিকে নিয়োগ ইরানের
Asia Monitor18 এক ইসরায়েলই নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যাকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সহ শীর্ষ ইসরায়েলই …